ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

আলোকচিত্রে দুর্গম গিরি অভিযানের গল্প

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ০১ জুন ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
আলোকচিত্রে দুর্গম গিরি অভিযানের গল্প

রোদ ঝলমলে দিন; হিমালয় পর্বতমালা অভিযানে গিয়ে বাংলাদেশের একদল অভিযাত্রী তখন পৌঁছে গেছেন নেপালের রোলওয়ালিং উপত্যকায়। ক্লান্ত অভিযাত্রীরা পথ চলতে চলতে কিছু সময় বিশ্রাম নিলেন বেদিংখোলা নদীর তীরে। তখন সূর্য হেলে পড়েছে পশ্চিম আকাশে। অভিযাত্রী কাজী বাহলুল মজনুর ক্যামেরায় রোলওয়ালিং উপত্যকার সেই স্বর্গীয় দৃশ্য। শেষ রোদের আলোয় প্রমত্তা বেদিংখোলা বেয়ে যেন নেমে আসছে স্বর্ণালি স্রোত।

গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশের বাংলা মাউন্টেরিয়ান ক্লাবের অভিযাত্রীরা হিমালয়ের নানা পর্বতশিখর জয় করেছেন। ভয়ংকর, সুন্দরতম এসব অভিযানে দুঃসাহসী অভিযাত্রীদের ক্যামেরায় পর্বতমালা, অভিযানের নানা দৃশ্য, নদী উপত্যকা ও উপত্যকাসংলগ্ন গ্রামীণ জীবন উঠে এসেছে নানা অধ্যায়ে। ল্যান্ডস্কেপ, পোর্ট্রেইট, স্ট্রিট, অ্যারিয়াল ফটোগ্রাফিতে উঠে এসেছে সেসব অভিযানের গল্প। 

১৮ জন অভিযাত্রীর ১০৯টি ছবি নিয়ে শুক্রবার (৩১ মে) থেকে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার গ্যালারি-২ এ শুরু হয়েছে ‘মাউন্টেইন মেমোরিজ: কানেক্টিং পিকস অ্যান্ড পিপল’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

ঢাকার নেপাল দূতাবাসের আয়োজনে এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি, প্রদর্শনীর কিউরেটর ইনাম আল হক।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, হিমালয়ের চূঁড়ায় যা ঘটছে তার সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের নিচু ভূমিতে এসে পড়ছে। তাই শুধু সৌন্দর্য উপভোগের জন্য নয়, বেঁচে থাকার জন্যও পাহাড়ের ইকোসিস্টেম রক্ষা জরুরি। আমরা পর্বতজয় সেলিব্রেশন করব আবার সেখানে যা ঘটছে তার সম্পর্কেও সচেতন থাকব। মনে রাখতে হবে পাহাড় ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকব। 

মঞ্চে ডেকে এভারেস্ট বিজয়ী মো. বাবর আলীকে আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা জানান অতিথিরা।
 
এ সময় তাকে নেপালি টুপি পরিয়ে দেন ঘনশ্যাম ভান্ডারি। ফুল ও ক্রেস্ট তুলে দেন অন্য অতিথিরা।


 

ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, পাহাড় আমাদের আইডেনটিটি মার্কার। অ্যাডভেঞ্চার লাভারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এসব পাহাড়। এসব পাহাড় মানুষ ও প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যেও সম্পর্কে ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, হিমালয় পৃথিবীর স্পন্দনের মতো। হিমালয়ে যা ঘটে তার প্রভাব সারা বিশ্বে পড়ে। এই প্রদর্শনী মূলত বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের চোখে হিমালয়ের সৌন্দর্যের দৃশ্য নিয়ে। এতে নেপালের বিখ্যাত কয়েকজন আলোকচিত্রীসহ বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের ১২০টি ছবি রয়েছে।

আয়োজকরা জানান, এ প্রদর্শনীতে অভিযাত্রী, রোপ ফোর, অল্টিচিউড হান্টার্স, মাউন্টেইন ম্যাডেনস, দ্য কোয়েস্ট, ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স এবং বিএমটিসি সদস্যদের তোলা ছবি ঠাঁই পেয়েছে। 

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের যে উল্লেখযোগ্য ১৮ পর্বতারোহীর ছবি স্থান পেয়েছে তারা হলেন নিশাত মজুমদার, ফজলুর রহমান শামীম, আরিফুর রহমান, অমিত ঘোষ, ফরহান জামান, মাহমুদ রানা, জাফর সাদেক, মোহাম্মদ হোসাইন সবুজ, আবরারুল আমিন, আহাসানুজ্জামান তৌকির, আবু সাইদ মো. রাজীব, কাউছার রূপক, রিয়াসাদ সানভী, ইকরামুল হাসান শাকিল, বাহালুল মজনু বিপ্লব, নূর মোহাম্মদ, সাদিয়া সুলতানা এবং এম এ মুহিত। 

এ আয়োজনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ বিশ্বখ্যাত চার নেপালি শেরপা ক্লাইম্বিং গাইড মিংমা গ্যালজে শেরপা, পেম্বা দর্জি শেরপা, ড্যান্ডি শেরপা, চিরিং ওয়াংচু শেরপার তোলা কয়েকটি ছবি।

পর্বতারোহী রিয়াসাদ সানভী হিমালয় পর্বতমালার লারকি পর্বত অভিযানে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালের অক্টোবরে। সেবার গোরখা জেলায় লোহ গ্রাম থেকে তিনি তোলেন মানাসালু পর্বতের ছবি। লোহ গ্রাম থেকে পর্বতশৃঙ্গের উচ্চতা তিন হাজার মিটার।

ধউলাগিরি সার্কিট থেকে আরিফুর রহমান তুলেছেন মারফা গ্রামের ছবি। ২০১২ সালে এভারেস্ট যাওয়ার পথে সোলোকুম্ভু ভ্যালিতে দাঁড়িয়ে পর্বতারোহী এম এ মুহিত ফ্রেমবন্দি করেন অনিন্দ্য সুন্দর টকটক গ্রামের ছবি। 

গত বছর নভেম্বরে আমাদামলাম অভিযানে যান কাউসার রূপক। তার ছবিতে উঠে আসে সোলোকুম্ভু ভ্যালিতে অভিযাত্রী দল কোথায়, কীভাবে অবস্থান নিয়েছিল। এম এ মুহিত এবং  আবরারুল আমিনের ছবিতে দেখা মেলে তুষারাচ্ছাদিত ইমজা লেকের।

এ ছাড়া লবকা সামিটের যাওয়ার পথে শেরপাদের সমবেত প্রার্থনা, অভিযাত্রীদের দুর্গম গ্লাসিয়ার পার হতে নানা প্রস্তুতির কথা উঠে আসে আলোকচিত্রে। 

কিয়াজো রাই হাই ক্যাম্পের একটি ছবিও দেখা গেলো প্রদর্শনীতে। 

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক পাচ্ছেন ৩৯০ জন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক পাচ্ছেন ৩৯০ জন

পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এবার ৩৯০ জন পাচ্ছেন ‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক। 

শুক্রবার (৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হবে ‘মঞ্চকুঁড়ি’ ও ‘মঞ্চমুকুল’ পদক প্রদান অনুষ্ঠান।

এ অনুষ্ঠানে নাট্যালেখ্য: বাংলার মুখ, শিশুদের সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হবে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকটি মঞ্চায়িত হবে। নাটকটি নির্দেশনায় রয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। 

এছাড়া লোক নাট্যদলের আয়োজনে ৬ জুলাই সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় দেওয়া হবে ‘লোক নাট্যদল পদক ২০২১-২২’। 

২৬২টি শিশু-কিশোর, আদিবাসী ও অবহেলিত শিশু-কিশোর ও যুবনাট্য সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন বিগত ৩৩ বছর ধরে নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। 

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ৮৫টি আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে অংশগ্রহণ, ১৫টি জাতীয় শিশু-কিশোর নাট্যোৎসবের আয়োজন, অন্যতম সর্ববৃহৎ ১০ম জাতীয় উৎসবে সর্বোচ্চ ১৩০টি দলের অংশগ্রহণ (একটি আন্তর্জাতিক উৎসব আয়োজন ও ৬টি যুব, অবহেলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিশুনাট্য উৎসব আয়োজন), বিভাগীয় পর্যায়ে ২৭টি শিশু-কিশোর নাট্যোৎসব আয়োজন, ছয় শতাধিক শিশুনাট্য কর্মশালা পরিচালনা, ৭০টি স্কুলে স্কুল থিয়েটার কার্যক্রম, শিশুদের জন্য বড়দের নাটক, যুবনাট্য আন্দোলন (যুবদের নাট্যদল গঠন, কর্মশালা ও উৎসব আয়োজন), আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষকদের পরিচালনায় শিশুনাট্য কর্মশালা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা (থিয়েটার ইন এডুকেশন), মঞ্চকুঁড়ি, মঞ্চমুকুল, মঞ্চসেনা ও শিশুনাট্য পদক প্রদান।

জয়ন্ত সাহা/ইসরাত চৈতী/

আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক
আনোয়ারা সৈয়দ হক

শিশু অধিকারবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আনন ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত ‘আনন শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ পেতে যাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

আগামী ৬ সেপ্টেম্বর আনন ফাউন্ডেশনের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে আনোয়ারা সৈয়দ হকের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। 

আনন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, পুরস্কারের মূল্যমান হিসাবে আনোয়ারা সৈয়দ হক নগদ ১ লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র পাবেন। ‘শিশুর বিকাশে অবিচল আমরা’ এই স্লোগানটিকে সামনে রেখে আনন ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে শিশুর বিকাশে ভূমিকা রেখে চলেছে।

গল্প, উপন্যাস ও ভ্রমণ কাহিনির পাশাপাশি আনোয়ারা সৈয়দ হক শিশুদের জন্যও নিয়মিত লিখছেন। তার শিশুসাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো ছানার নানাবাড়ি, বাবার সাথে ছানা, ছানা এবং মুক্তিযুদ্ধ, পথের মানুষ ছানা, একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা দাদাভাই, মন্টির বাবা, বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত কিশোর গল্প, শ্রেষ্ঠ কিশোর গল্প, কিশোর উপন্যাসসমগ্র (৪ খণ্ড), নির্বাচিত কিশোর গল্প প্রভৃতি।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তিনি ২০১৯ সালে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৬ সালে কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ইউরো শিশুসাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

‘ঐতিহ্য আত্মস্থ করে কাব্যে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন অসীম সাহা’

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
‘ঐতিহ্য আত্মস্থ করে কাব্যে নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন অসীম সাহা’
অসীম সাহা

বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন কবি অসীম সাহা। ব্যক্তি মানুষের আর্তি থেকে সমষ্টি মানুষের আর্তনাদ, শোষণমুক্ত জগৎ গড়ার অঙ্গীকার ভাস্বর হয়েছে তার কবিতার ছত্রে ছত্রে। 

প্রয়াত কবি অসীম সাহা স্মরণে বাংলা একাডেমির স্মরণ সভায় কবি অসীম সাহার সহযাত্রী কবিরা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। বিষণ্নচিত্তে তারা স্মরণ করেন অসীম সাহার কাব্যজীবনের নানা অধ্যায়। ব্যক্তিমানুষকে ছাপিয়ে অসীম সাহা কীভাবে কবি হিসেবে খ্যাতির চূড়ায় আরোহণ করেছিলেন, সেই গল্পও শোনান তাদের কেউ কেউ। 

সোমবার (১ জুলাই) একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে স্মরণসভার শুরুতে অসীম সাহা স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

আয়োজনের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘অসীম সাহা ছিলেন খাপ না খাওয়া মানুষ। তিনি নিজ বিশ্বাস ও অনুভবের কথা কবিতায় তো বটেই, ব্যক্তিগত উচ্চারণ ও আচরণেও সরাসরি প্রকাশ করতেন। এ ছিল তার সারল্য ও দৃঢ়তারই লক্ষণ। তিনি বাংলা কবিতার ধ্রুপদী ঐতিহ্যকে আত্মস্থ করে কবিতায় নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করেছেন। স্বচ্ছন্দ বিচরণ করেছেন সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।’

সভাপতির বক্তব্যে শিল্পী হাশেম খান বলেন, ‘কবি অসীম সাহা ছিলেন বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় ব্যক্তিত্ব। তিনি কবিতায় যেমন আমাদের মুগ্ধ করেছেন, তেমনি তার অনন্য জীবনসাধনায়ও সবাইকে আকৃষ্ট করেছেন। তার সৃষ্টিকে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’ 

সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনা করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি দিলারা হাফিজ, কবি ফারুক মাহমুদ, কবি আসাদ মান্নান, কবি ইউসুফ রেজা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, প্রকাশক খান মাহবুব, কবি পিয়াস মজিদ প্রমুখ। অসীম সাহার কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী ও মাসুম আজিজুল বাশার। 

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন উদযাপিত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন উদযাপিত
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

নিতান্ত সাদামাটা আয়োজনে উদযাপিত হলো দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, লেখক, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ৮৯তম জন্মদিন।

রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বাসায় তাকে শ্রদ্ধা-শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন তার ছাত্র, অনুরাগী এবং বামধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। 

তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হন  অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তার ব্যক্তিগত সহকারী মযহারুল ইসলাম বাবলা জানান, রবিবার (গতকাল) বিকেলে বাম নেতারা ধানমন্ডির বাসভবনে আসেন। স্যারের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তারা। দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক হালহকিকত নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে বাম নেতাদের সঙ্গে।

রবিবার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানাতে যান সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এ ছাড়া বাসদ ও বাসদ-মার্কসবাদীর বেশ কজন নেতাও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

বাবলা জানান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ২৯ জুন শনিবার বিকেল চারটায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শুভেচ্ছা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে তিনি ‘ফিরে দেখা’ নামে একটি আত্মজৈবনিক বক্তব্য দেবেন। 

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্ম মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের বাড়ৈখালিতে। শৈশব কেটেছে রাজশাহীতে ও কলকাতায় বাবার চাকরি সূত্রে। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল, নটর ডেম কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন তিনি। যুক্তরাজ্যের লিডস ও লেস্টার ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে উচ্চতর গবেষণাও করেছেন। 

পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৫৭ সালে। শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে সমান সক্রিয় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। প্রবন্ধ, অনুবাদ, কলাম ও কথাসাহিত্য মিলিয়ে তার রচিত বই প্রায় ১১০টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় তিনি ‘মাসিক পরিক্রমা’ (১৯৬০-৬২), ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’ (১৯৭২), ‘ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র’ (১৯৮৪) সম্পাদনা করেছেন। ‘নতুন দিগন্ত’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা করছেন এখনো। ১৯৯৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। সাহিত্যকর্মে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলা একাডেমি স্বর্ণপদক’, ‘বিচারপতি ইব্রাহিম পুরস্কার’, ‘অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার’, ‘বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পুরস্কার’সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি পেয়েছেন।

আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুজ্জামানের সাতরঙ্গ দুপুরের কাব্য

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪, ০১:১০ এএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪, ০১:১০ এএম
আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুজ্জামানের সাতরঙ্গ দুপুরের কাব্য
ছবি: সংগৃহীত

আবৃত্তিশিল্পী মাসুদুজ্জামানের একক আবৃত্তি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের নাটক সরণির বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তন ছিল দর্শক-শ্রোতায় পরিপূর্ণ। 

মাসুদুজ্জামান একে একে ২৭টি কবিতা আবৃত্তি করলেন দর্শকপূর্ণ মিলনায়তনে। মঞ্চসজ্জা, আলোক সম্পাত, শব্দ প্রক্ষেপণ ও আবহ সংগীত এ কবিতাসন্ধ্যাকে প্রাণময় করে তোলে। একেকটি কবিতা মাসুদুজ্জামানের আবৃত্তির মধ্য দিয়ে দর্শক-শ্রোতার মনকে উদ্বেলিত করেছে। দিয়েছে মুগ্ধতার পরশ। 

আবৃত্তিকার মাসুদুজ্জামান স্রোত আবৃত্তি সংসদের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য। দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে তিনি আবৃত্তিচর্চায় যুক্ত আছেন এই সংগঠনে।

সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ দেশের গুণী আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিকজনরা এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।