ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

শুরু হয়েছে ১৭তম ঢাকা মোটর শো ২০২৪

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৪ মে ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
শুরু হয়েছে ১৭তম ঢাকা মোটর শো ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

নতুন গাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ নানারকম অটোমোবাইল পণ্য নিয়ে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ১৭তম ঢাকা মোটর শো-২০২৪। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে এই আয়োজন।

এ প্রদর্শনী চলাকালে একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘অষ্টম ঢাকা বাইক শো-২০২৪’, ‘সপ্তম ঢাকা অটো পার্টস শো-২০২৪’, ‘ষষ্ঠ ঢাকা কমার্শিয়াল অটোমোটিভ শো-২০২৪’ ও ‘প্রথম ইলেকট্রিক ভেহিকেল বাংলাদেশ এক্সপো-২০২৪’।

অন্যদিকে সেমস-গ্লোবাল ও বাংলাদেশ মোটর স্পোর্টসের যৌথ আয়োজনে বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণে গতকাল প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় মোটরবাইক প্রতিযোগিতা ‘প্রথম ডার্ট ট্র্যাক চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’। একই সঙ্গে ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে অফ-রোড রেসট্র্যাক সম্পর্কিত বাংলাদেশের জমকালো মোটর স্পোর্টস প্রতিযোগিতা ‘চতুর্থ র‍্যালিক্রস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’। প্রতিযোগিতা দুটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস। 

প্রদর্শনীগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী সদস্য মহসিনা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. তাজুল ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবুল হোসেন।

আয়োজকরা জানান, ঢাকা মোটর শো ও তৎসংশ্লিষ্ট প্রদর্শনীগুলো মোটরপ্রেমী এবং অটোশিল্প ব্যবসার ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য একটি ওয়ান স্টপ প্লাটফর্ম। এতে বৈশ্বিক পরিসরে পারস্পরিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বাংলাদেশের মোটর, বাইক, যানবাহন ও মোটর স্পোর্টস-সংশ্লিষ্ট খাতের অগ্রগতিতে প্রদর্শনীগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ঢাকা মোটর শো বাংলাদেশের মোটর, বাইক ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশের তথা অটোমোটিভ শিল্পের সবচেয়ে বড়ো ও একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। যেখানে এক জায়গায় এ শিল্পের জন্য অত্যাধুনিক ও নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়। এখানে ক্রেতা, দর্শক ও উদ্যোক্তারা ব্র্যান্ডনিউ গাড়ি, যন্ত্রাংশ, আনুষঙ্গিক উপকরণ ও নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

 একযোগে শুরু হওয়া ‘ঢাকা মোটর শো’, ‘ঢাকা বাইক শো’, ‘ঢাকা অটোপার্টস শো’, ‘ঢাকা কমার্শিয়াল অটোমোটিভ শো’ এবং ‘প্রথম ইলেকট্রিক ভেহিকেল বাংলাদেশ এক্সপো’তে জাপান, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১৭টি দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ১৭৫টিরও বেশি কোম্পানি, ৬০০টি বুথ নিয়ে অংশ নিচ্ছে। প্রদর্শনীতে রয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্রান্ডের গাড়ি ও বাইক। প্রথম ইলেকট্রিক ভেহিকেল বাংলাদেশ এক্সপোতে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি।

ঢাকা বাইক শো বাংলাদেশের মোটরসাইকেল, স্কুটারস, বাইসাইকেল, হালকা বৈদ্যুতিক যানবাহন ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশগুলোর সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী, যা সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর বাজারকে ক্রম প্রসারিত করতে ভূমিকা পালন করছে। একই সঙ্গে ঢাকা কমার্শিয়াল অটোমোটিভ শো বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যানবাহন শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী। এটি বাংলাদেশে বাণিজ্যিক গাড়ির উৎপাদন, বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। 

একমাত্র ঢাকা অটোপার্টস শোতে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক গাড়ি ও অটো কম্পোনেন্ট প্রদর্শনী করা হয়। এটি অটোকম্পোনেন্ট ও অটোমোবাইল প্রযুক্তির নতুন নতুন মডেল উপস্থাপন করার জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একটি চমৎকার প্লাটফর্ম। হ্যাভাল,  মার্সিডিজ-বেঞ্জ, কিয়া মটরস ও হোন্ডসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের উপস্থিতি আছে প্রদর্শনীতে। ইউনাইটেড বাইক স্টেশন বিভিন্ন মডেলের বাইক নিয়ে হাজির হয়েছে এ আয়োজনে।

সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ আয়োজিত ১৭তম ঢাকা মোটর শো চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। প্রদর্শনী চলাকালে আজ সন্ধ্যা ৬ টায় প্রদর্শনী প্রাঙ্গণ মাতাবে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ‘চিরকুট’। দর্শনার্থীরা সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী উপভোগ করতে পারবেন।

 

এয়ারব্যাগ সমস্যায় বিপুলসংখ্যক গাড়ি রিকল করেছে টয়োটা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
এয়ারব্যাগ সমস্যায় বিপুলসংখ্যক গাড়ি রিকল করেছে টয়োটা
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার জাতীয় সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা সংস্থা ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ) আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটার গ্র্যান্ড হাইল্যান্ডার ও লেক্সাস টিএক্স মডেলের গাড়ি রিকলের ঘোষণা দিয়েছে। এই রিকলের আওতায় রয়েছে মডেল দুটির ২০২৪ সালের মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৪টি গাড়ি। গাড়িগুলো এয়ারব্যাগ সমস্যার কারণে রিকল করা হয়েছে।

ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নথিতে গত সপ্তাহে টয়োটার ঘোষণা করা বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি গাড়িগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়ে সমস্যা সমাধান করে আবার ফেরত দেবে। এখানে জানানো হয়েছে, ড্রাইভারের পাশের কার্টেন এয়ারব্যাগ দুর্ঘটনার সময় সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। ফলে গুরুতর আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদিও প্রতিষ্ঠানটি এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে।

টয়োটা চলতি বছরের ৫ থেকে ১৯ আগস্টের মধ্যে গ্রাহকদের এ বিষয়ে অবহিত করবে। এই রিকলে দীর্ঘদিনের টয়োটা গ্র্যান্ড হাইল্যান্ডারও রয়েছে। টয়োটা জানিয়েছে, গ্র্যান্ড হাইল্যান্ডার ও লেক্সাস টিএক্সে ত্রুটিপূর্ণ এয়ারব্যাগ থাকতে পারে। স্বেচ্ছায় এই এসইউভিগুলোর প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার গাড়ি রিকল করা হয়েছে। কারণ দুর্ঘটনার সময় এসব গাড়িতে কার্টেন-শিল্ড এয়ারব্যাগ ঠিকমতো না খোলার সমস্যা খুঁজে পেয়েছে। 
টয়োটা এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, সমস্যাযুক্ত এয়ারব্যাগগুলো চালকের পাশে অবস্থিত। যদি চালকের পাশের উইন্ডো নিচে নামানো থাকলে, তাহলে এয়ারব্যাগ সঠিক সময়ে খোলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্পষ্টতই এটি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। টয়োটা আরও জানিয়েছে, বর্তমানে এয়ারব্যাগ সমস্যাটির সমাধানের ওপর কাজ করছে। আগস্টের মাঝামাঝি নাগাদ সকল গ্র্যান্ড হাইল্যান্ডার ও টিএক্স মালিকদের অবহিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

ভক্সওয়াগেন ৫০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করছে রিভিয়ানে

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
ভক্সওয়াগেন ৫০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করছে রিভিয়ানে
ছবি: সংগৃহীত

জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগেন সর্বোচ্চ ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিভিয়ানে। প্রথম ধাপে ভক্সওয়াগেন ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটিতে। জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ধাপে ধাপে বাকি ৪০০ কোটি ডলার ২০২৬ সালের মধ্যে বিনিয়োগ করবে। আমেরিকান গণমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে ভক্সওয়াগেনের এ বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে।

রিভিয়ানে ২০২৫ ও ২০২৬ সালে প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে ভক্সওয়াগেনের। ২০২৬ সালে যৌথভাবে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির কাঠামো ও সফটওয়্যার প্রযুক্তি উন্নত করতে আরও ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

গত মঙ্গলবার ট্রেডিং শেষ হওয়ার পর রিভিয়ানের শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। রিভিয়ান বিনিয়োগকারীদের জন্য এক অনুষ্ঠান আয়োজনের দুদিন আগে ভক্সওয়াগেন প্রতিষ্ঠানটিতে এই বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। রিভিয়ানের নগদ অর্থ ব্যয় ও উল্লেখযোগ্য লোকসানের কারণে ওয়াল স্ট্রিটে রিভিয়ানের ওপর চাপ ছিল।

ভক্সওয়াগেন রূপান্তরযোগ্য বন্ডের মাধ্যমে প্রথম ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে, যা চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর বা এরপরে রিভিয়ানের শেয়ারে রূপান্তরিত হবে।

ভক্সওয়াগেন বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানিটির দ্বিতীয় বড় বিনিয়োগকারী। ২০২১ সালে রিভিয়ান পাবলিক হওয়ার সময় ফোর্ড মোটর রিভিয়ানের বৃহত্তম অংশীদার ছিল। ২০২৩ সালে রিভিয়ান থেকে বেরিয়ে যায় ফোর্ড। রিভিয়ানের সঙ্গে ইভি তৈরির পরিকল্পনা বাতিল করে।

রিভিয়ান কয়েক মাস ধরে খরচ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। তারা কর্মীদের সংখ্যা কমিয়েছে, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দেশটির ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের প্লান্টটি পুনর্গঠন করেছে তারা। একই সঙ্গে জর্জিয়ায় বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয়ে একটি নতুন কারখানার নির্মাণ স্থগিত করেছে এই ইভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

জাপানে ইলেকট্রিক গাড়ির নতুন মডেল উন্মোচন করল বিওয়াইডি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম
জাপানে ইলেকট্রিক গাড়ির নতুন মডেল উন্মোচন করল বিওয়াইডি
ছবি: সংগৃহীত

চীনের শেনঝেনভিত্তিক বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিল্ড ইয়োর ড্রিমস বা বিওয়াইডি চলতি সপ্তাহে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির নতুন মডেল উন্মোচন করেছে। এটি একটি সেডান গাড়ি, যা জাপানের বাজারে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে দামি মডেল। জাপানে গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো পছন্দ করে আসছেন।

শেনঝেনভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে জাপানে ফ্ল্যাগশিপ ‘সিল’ মডেলের ইভির জন্য অর্ডার নেওয়া শুরু করেছে। দেশটিতে এই গাড়ির রিয়ার-হুইল-ড্রাইভ সংস্করণের প্রস্তাবিত খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে জাপানি মুদ্রায় ৫২ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন, যা মার্কিন মুদ্রায় প্রায় ৩৩ হাজার ১১১ ডলার। চীনের বাজারে এই মডেলের দাম শুরু হয়েছে চীনা মুদ্রায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ ইউয়ান থেকে, যা মার্কিন মুদ্রায় প্রায় ২৪ হাজার ৭৫৯ ডলার।

জাপানে বিল্ড ইয়োর ড্রিমসের গাড়ির বাজার সম্প্রসারণ দেশীয় গাড়ি নির্মাতাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হতে পারে। কারণ জাপানি গাড়ির ব্র্যান্ডগুলো চীনের বাজারে বিওয়াইডি ও অন্যান্য চীনা ইভি ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছে। তবে জাপানের বাজারে শুধু ব্যাটারিচালিত গাড়িই বিক্রি করছে বিওয়াইডি। প্রতিষ্ঠানটি দেশটিতে প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ি বাজারজাত করেছে না। চীনের বাজারে প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ির বড় ধরনের প্রতিযোগী বিওয়াইডি। জাপানের রাজধানী টোকিওতে সিল মডেলের গাড়ি উন্মোচন কালে বিওয়াইডি অটো জাপানের প্রেসিডেন্ট আৎসুকি তোফুকুজি জানান, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসে গত বছরের তুলনায় দেশটিতে তাদের গাড়ি বিক্রি কিছুটা কমেছে। জাপান সরকার ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার ফলে গাড়ির বিক্রি হ্রাস পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা জাপানে রিয়ার-হুইল-ড্রাইভ এবং অল-হুইল-ড্রাইভ দুটি সংস্করণ বাজারজাত করবে। উভয় সংস্করণে ৮২ দশমিক ৫৬ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি থাকবে। রিয়ার-হুইল-ড্রাইভ সংস্করণের গাড়িটি একবার চার্জে ৬৪০ কিলোমিটার চলবে, অন্যদিকে অল-হুইল-ড্রাইভ সংস্করণের গাড়িটি চলবে ৫৭৫ কিলোমিটার।

এর আগে জাপানে অ্যাটো-থ্রি (Atto 3) ও ডলফিন (Dolphin) মডেলের ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে এনেছে বিওয়াইডি। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়োকোহামায় প্রথম গাড়ি বিক্রি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। প্রতি বছর জাপানে অন্তত একটা নতুন মডেল যোগ করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে তারা।

জিপের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি ‘ওয়াগনিয়ার এস’

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
জিপের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি ‘ওয়াগনিয়ার এস’

বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকেলের (ইভি) বাজার প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে, সঙ্গে বাড়ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। গাড়ি নির্মাতাগুলোও এ বাজারে যুক্ত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিপ দেশটির বাজারে ‘ওয়াগনিয়ার এস’ মডেলের নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি উন্মোচন করেছে।

ওয়াগনিয়ার এস মডেলের গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ মাইল। গাড়িতে রয়েছে ১০০ কিলোওয়াটের ব্যাটারি, যা মাত্র ২৩ মিনিটে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা যায়। ফোর হুইল ড্রাইভ সুবিধার গাড়িটি সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৪ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তুলতে পারে। ড্যাশবোর্ডে রয়েছে ৪৫ ইঞ্চি পর্দার বিশাল ডিজিটাল ডিসপ্লে। গাড়িতে রয়েছে ‘অটো’, ‘স্পোর্ট’, ‘ইকো’, ‘স্নো’ ও ‘স্যান্ড’ নামের পাঁচটি ড্রাইভ মোড, যা সব ধরনের রাস্তায় চালানোর উপযোগী করে তুলেছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, সাধারণ ইভির তুলনায় ওয়াগনিয়ার এস মডেলের গাড়ি ৩৫ শতাংশ নিঃশব্দে চলবে। গাড়িটি চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ বাজারে আসবে। এটির জন্য গাড়িপ্রেমীদের খরচ করতে হবে ৭১ হাজার ৯৯৫ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা (১ ডলার = ১১৭ টাকা ধরে)। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা রয়েছে জিপ ব্র্যান্ডের গাড়ির। আকর্ষণীয় ডিজাইন, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় জিপের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়িটি জনপ্রিয়তা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগেনের ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিক্রিতে ধীরগতির কারণে কৌশল পরিবর্তন করছে। ইভির পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানটি প্লাগ-ইন হাইব্রিড ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা পিএইচইভি মডেল তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। একই পথে হাঁটছে আরেক আমেরিকান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড। ইউরোপজুড়ে ২০৩০ সালের মধ্যে শুধু বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল ফোর্ড। এই অঞ্চলে ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রি আশানুরূপ না হওয়ায়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানিটি আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে।

আবরার জাহিন/জাহ্নবী

 

টয়োটার হাইড্রোজেনচালিত গাড়ি

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
টয়োটার হাইড্রোজেনচালিত গাড়ি

বিশ্বখ্যাত জাপানের গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান টয়োটা পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলনির্ভর পিকআপ মডেলের ‘টয়োটা হিলাক্স’ তৈরি করেছে। বর্তমানে এই গাড়িগুলো বিভিন্ন ধরনের রাস্তায় চালিয়ে পরীক্ষা চলছে। যুক্তরাজ্যে এই পিকআপ ট্রাকের প্রোটোটাইপ নির্মাণ শেষ করেছে টয়োটা ম্যানুফ্যাকচারিং ইউকে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রকল্পটি এখন শেষপর্যায়ে রয়েছে। 

এ প্রকল্পের আওতায় মোট ১০টি প্রোটোটাইপ গাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি দিয়ে গাড়ির সুরক্ষা, কর্মক্ষমতা, কার্যকারিতা ও স্থায়িত্ব পরীক্ষা চলছে। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে টয়োটা বাস্তব পরিস্থিতিতে গাড়িগুলোর ডেটা সংগ্রহ করছে। বাকি পাঁচটি গাড়ি গ্রাহক ও গণমাধ্যমে প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী প্যারিস অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমসেও গাড়িগুলো প্রদর্শিত হবে।

১৯৯২ সাল থেকে টয়োটা হাইড্রোজেনচালিত যানবাহনের বিকাশে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপ বিশ্বের বৃহত্তম হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলনির্ভর গাড়ির বাজার হবে।

টয়োটা জানিয়েছে, হিলাক্স প্রোটোটাইপ প্রকল্প মহাদেশজুড়ে হাইড্রোজেন প্রযুক্তি ও অবকাঠামোর আরও বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

এটি সাধারণ হিলাক্সের মতো দেখতে, তবে এতে মিরাই এফসিইভি গাড়ির প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটির দৈর্ঘ্য ৫৩২৫ মিমি, প্রস্থ ১৮৫৫ মিমি এবং উচ্চতা ১৮১০ মিমি।

গাড়িটিতে তিনটি উচ্চ চাপের হাইড্রোজেন জ্বালানি ট্যাংক রয়েছে। প্রতিটি ট্যাংকে ২ দশমিক ৬ কেজি হাইড্রোজেন ধারণ করার সক্ষমতা রয়েছে। ট্যাংকগুলো ল্যাডার-ফ্রেম চেসিসের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে।

টয়োটার হাইড্রোজেনচালিত হিলাক্সের প্রোটোটাইপে ৩৩০টি সেলের সমন্বয়ে গঠিত একটি পলিমার ইলেকট্রোলাইট ফুয়েল সেল স্ট্যাক রয়েছে, যা গাড়ির সামনের অ্যাক্সেলের ওপরে। এ ছাড়া গাড়িতে ১ দশমিক ২ কিলোওয়াট-আওয়ারের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি রয়েছে, যা ফুয়েল সেলের উৎপাদিত বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করে। এই ব্যাটারি হাইড্রোজেন ট্যাংকের ওপরে পেছনের দিকে রয়েছে, যেন এর জন্য কেবিনের জায়গা কমে না যায়।
রিয়ার-হুইল ড্রাইভ প্রোটোটাইপটির পেছনের অ্যাক্সেলে একটি ইলেকট্রিক মোটর রয়েছে, যা ১৩৪ কিলোওয়াট শক্তি ও ৩০০ নিউটন-মিটার টর্ক উৎপাদন করে। টয়োটার দাবি, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের মাধ্যমে টয়োটা হিলাক্স টানা ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ চলতে পারে। যা একটি ব্যাটারিচালিত হিলাক্সের চেয়ে বেশি। হাইড্রোজেন সেল ওজনে হালকা হওয়ায় কম জ্বালানি খরচে বেশি পথ পাড়ি দেওয়ার পাশাপাশি বেশি পণ্যও পরিবহন করা যাবে।

প্রকল্পটি ২০২২ সালের শুরুর দিকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল টয়োটা। এ ছাড়া প্রকল্পটিতে বিভিন্ন কনসোর্টিয়াম অংশীদার যোগ দেয়, যার মধ্যে রয়েছে: ইঞ্জিনিয়ারিং ও পরিবেশগত পরামর্শদাতা ফার্ম রিকার্ডো; ইউরোপীয় থার্মোডাইনামিক্স; ইঞ্জিনিয়ারিং সেবা ফার্ম ডি২এইচ অ্যাডভান্সড টেকনোলজি এবং অটোমোটিভ ঝুঁকি বুদ্ধিমত্তা সংস্থা থ্যাচাম রিসার্চ।

২০২৩ সালের প্রথমদিকে গাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১০টি গাড়ি তৈরি করা হয়। গাড়ি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটি এখনো জানায়নি কবে নাগাদ সাধারণ মানুষের কাছে হাইড্রোজেনচালিত হিলাক্স বিক্রি বা লিজের জন্য প্রস্তুত হবে। 
হাইড্রোজেনচালিত হিলাক্স তৈরির পাশাপাশি টয়োটা তার জনপ্রিয় পিকআপ ট্রাকের একটি ব্যাটারিচালিত সংস্করণও প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ২০২৫ সালের শেষের দিকে গ্রাহকদের জন্য নির্মিত এই গাড়ি থাইল্যান্ডে উৎপাদন করা হবে

আবরার জাহিন/জাহ্নবী