![কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি](uploads/2024/06/06/DU2-1717690492.jpg)
সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে প্রত্যাখ্যান করে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধনের জন্য জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কোটার বিষয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাহলে ১৮ সালের পরিপত্র বহাল রেখে পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা হাইকোর্টের এই রায়কে প্রত্যাখ্যান করলাম। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।’
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা বলেন, ‘কোন যুক্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে? কোন যুক্তিতে ২ শতাংশ জনগণের জন্য ৫৬ শতাংশ কোটা রাখা হবে আর বাকি ৯৭ শতাংশ জনগণের জন্য বাকি মাত্র ৪৪ আসন? কোন যুক্তিতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে, আমরা জানতে চাই।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ’, ‘কোটা কোটা, বাতিল করো বাতিল করো’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
একই দিন বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালকে প্রতারণামূলক আখ্যায়িত করে রাজপথে ও আদালতে লড়াইয়ের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ঘোষণা দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘যে কোটাব্যবস্থা ২০১৮ সালে কবর দেওয়া হয়েছে, কোনোভাবেই তা ফিরিয়ে আনা যাবে না। কোটা প্রথা ফিরিয়ে আনলে মেধাবীরা যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবে না। আদালতের রায় মোকাবিলা করতে আমরা আপিল করব।’
এ ছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একই দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়ে মশাল মিছিল করে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।