![ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মারামারি, আহত ২](uploads/2024/06/09/dukk-1717873164.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থীকে অশ্লীলতার অভিযোগে বাধা প্রদানের ঘটনায় তাদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মারধরের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (৮ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা হলেন মাস্টার দা সূর্য সেন হলের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান এবং অন্যজন স্যার এ এফ রহমান হলের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল বায়জিদ। এর মধ্যে তৌফিক বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ডা. মর্তুজা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বায়জিদ নামের ওই শিক্ষার্থী তার এক মেয়ে বন্ধু নিয়ে বসে ছিল। এ সময় অশ্লীলতার অভিযোগে তৌফিক এবং বায়জিদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে বায়জিদ ক্ষিপ্ত হয়ে ইট দিয়ে তৌফিকের মাথায় আঘাত করে। পরে তৌফিকের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তৌফিকের কয়েকজন বন্ধু ও পরিচিতরা বায়জিদকে পাল্টা মারধর করে।
আহত তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘হলে যাওয়ার সময় বাসের আড়ালে বায়জিদ নামের ওই শিক্ষার্থীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাই। বিষয়টি দৃষ্টিকটু লাগলে তাকে কোন হলে থাকে জিজ্ঞেস করি। কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। পরে তিনি হল গেটের সামনে ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন। আঘাতের পরপরই আমি আচেতন হয়ে যাই। তারপরে কী হয়েছে আমি বলতে পারছি না। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে শাস্তির আওতায় এনে বহিষ্কার করুক।’
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ এনে আবদুল্লাহ আল বায়জিদ বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে আমি এবং আমার বান্ধবী সূর্যসেন হলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ তৌফিক কোনো কারণ ছাড়াই আমার পথরোধ করে এবং হেনস্তার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সে এবং তার সহপাঠী আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। পরে আমাকে ইট দিয়ে মারতে শুরু করলে আমি আমার সহপাঠীকে নিয়ে দৌড়ে পালাই। পরে সূর্যসেন হলের কয়েকজনকে বিষয়টি সমাধানের জন্য ডাকলে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। আমি উভয় পক্ষকেই রবিবার বিকেলে ডাকব। দুই পক্ষের কথা শুনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’