![প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়](uploads/2024/06/09/cawe-1717921148.jpg)
দেশসেরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে চাওয়া আমার-আপনার যে কারোরই স্বপ্ন হতে পারে। আর সেই স্বপ্নগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান তো উপরের দিকেই। ভর্তিযুদ্ধ শেষে ঢাবিতে চলছে ভর্তিপ্রক্রিয়া। যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এবং ভর্তি হয়েছেন, আপনার জন্য যে জীবনের একটি বিশেষ সময় অপেক্ষা করছে এটা নিশ্চয়ই অজানা নয়। তবে যারা ভর্তি হতে পারেননি তাদের জন্য দুঃখেরও কিছু নেই। চেষ্টা, পরিশ্রম এবং ভাগ্য সবার যদি একই হতো, তা হলে তো সবাইকে স্থান দিতে হতো! সেসব কথা বাদ দিয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক ক্যাম্পাসের খুঁটিনাটি।
শুরুটা হোক খাবার দিয়ে। ঢাবি প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট উচ্ছেদ করাতে আপনি কিছু মুখরোচক খাবারদাবারের দেখা হয়তো পাবেন না, তবে কলাভবনের পাশ ঘিরে ক্যাম্পাস শ্যাডো, হাকিম চত্বরের ভাজাপোড়া, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দই-ফুচকা, টিএসসির চা-চপের দোকানে কারণে-অকারণে, একা কিংবা বন্ধু নিয়ে কখনো প্রিয়জন নিয়ে হাজির হতেই হবে।
আপনি যদি খুব পড়ুয়া হোন, আপনার হলের রিডিং রুমে, বিভাগে, ক্যাম্পাসের নানা জায়গায় চাইলে বসে যেতে পারবেন বইশিট নিয়ে। আর একটু সংগ্রাম করতে পারলে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির আসন পেতেও পারেন, তবে এর নিশ্চয়তা আমি দেব না।
ক্যাম্পাসে পাবেন অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা বহন করে এমন একটি পরিবেশ। নিজেকে তুলে ধরার, প্রমাণ করার সুবর্ণ সুযোগ তো দেশসেরা এই বিদ্যাপিঠেই। বিভিন্ন ক্লাব, সভা-সেমিনারে অংশ নিয়ে নিজেকে নানাভাবে পরিপক্ব করে গড়ে তোলা সম্ভব। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা আপনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে একটু বেশিই পাবেন।
আবাসিক হলের স্মৃতিগুলো আপনার জীবনে বেশি মনে থাকবে। দেশের বিভিন্ন জেলার সিনিয়র-জুনিয়রের পরিবারে আপনি হবেন নতুন সদস্য। এখানে কিছু নিয়মকানুনের বেড়াজালে পরবর্তী জীবনের নিয়মের চর্চার ভিত্তিটাও দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবেন।
খেলাধুলা, ব্যায়াম কিংবা সাঁতার কাটতে চাইলেও আপনার জন্য সুযোগ রয়েছে। দোয়েল চত্বরের পাশেই সুইমিংপুল। একটু গরম লাগলে দৌড়ে এসে ঝাঁপ দিতে পারবেন খুশিমতো।
ক্যাম্পাসে কেউ বেড়াতে এলে তাকে নিয়ে যেতে পারবেন সবার আকাঙ্ক্ষিত কার্জন হলের সম্মুখে। পড়ন্ত বিকেলে চারুকলা অনুষদে কিংবা গল্পে গল্পে হারিয়ে যেতে পারবেন মল চত্বরে।
পরিবার-পরিজন রেখে ঢাকায় এলে একটু মন খারাপ হতেই পারে। এ জন্য চাইলে নিরিবিলি বসে থাকতে পারেন সবুজে ঘেরা কোথাও- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জহুরুল হক হল কিংবা শহীদুল্লাহ্ হলের পুকুরপাড়ের ঠাণ্ডা বাতাস আপনাকে প্রশান্তি দিতে পারে। চাইলে হাঁটতে পারেন জহুরুল হক হলের টিনশেডের সম্মুখে লম্বা রাস্তা ধরে।
আর কি আছে জানেন? আপনার মতোই একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণ- যারা আপনার সহপাঠী হবে, বন্ধু হবে, যাদের সঙ্গেই কেটে যাবে স্নাতক, স্নাতকোত্তর।
দিনের শুরুতে কিংবা বেলা গড়ানোর আগে, গান ধরে ছুটে চলতে পারবেন ঢাবির লাল বাসে; সেই লাল বাসে চড়ার স্বপ্ন আপনাকে এতটা পথ পাড়ি দিতে সাহায্য করেছে।
কলি