ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০২:১৯ পিএম
আপডেট: ০৯ জুন ২০২৪, ০২:১৯ পিএম
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

দেশসেরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে চাওয়া আমার-আপনার যে কারোরই স্বপ্ন হতে পারে। আর সেই স্বপ্নগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান তো উপরের দিকেই। ভর্তিযুদ্ধ শেষে ঢাবিতে চলছে ভর্তিপ্রক্রিয়া। যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এবং ভর্তি হয়েছেন, আপনার জন্য যে জীবনের একটি বিশেষ সময় অপেক্ষা করছে এটা নিশ্চয়ই অজানা নয়। তবে যারা ভর্তি হতে পারেননি তাদের জন্য দুঃখেরও কিছু নেই। চেষ্টা, পরিশ্রম এবং ভাগ্য সবার যদি একই হতো, তা হলে তো সবাইকে স্থান দিতে হতো! সেসব কথা বাদ দিয়ে একটু জেনে নেওয়া যাক ক্যাম্পাসের খুঁটিনাটি।

শুরুটা হোক খাবার দিয়ে। ঢাবি প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট উচ্ছেদ করাতে আপনি কিছু মুখরোচক খাবারদাবারের দেখা হয়তো পাবেন না, তবে কলাভবনের পাশ ঘিরে ক্যাম্পাস শ্যাডো, হাকিম চত্বরের ভাজাপোড়া, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দই-ফুচকা, টিএসসির চা-চপের দোকানে কারণে-অকারণে, একা কিংবা বন্ধু নিয়ে কখনো প্রিয়জন নিয়ে হাজির হতেই হবে।

আপনি যদি খুব পড়ুয়া হোন, আপনার হলের রিডিং রুমে, বিভাগে, ক্যাম্পাসের নানা জায়গায় চাইলে বসে যেতে পারবেন বইশিট নিয়ে। আর একটু সংগ্রাম করতে পারলে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির আসন পেতেও পারেন, তবে এর নিশ্চয়তা আমি দেব না।

ক্যাম্পাসে পাবেন অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা বহন করে এমন একটি পরিবেশ। নিজেকে তুলে ধরার, প্রমাণ করার সুবর্ণ সুযোগ তো দেশসেরা এই বিদ্যাপিঠেই। বিভিন্ন ক্লাব, সভা-সেমিনারে অংশ নিয়ে নিজেকে নানাভাবে পরিপক্ব করে গড়ে তোলা সম্ভব। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা আপনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে একটু বেশিই পাবেন।

আবাসিক হলের স্মৃতিগুলো আপনার জীবনে বেশি মনে থাকবে। দেশের বিভিন্ন জেলার সিনিয়র-জুনিয়রের পরিবারে আপনি হবেন নতুন সদস্য। এখানে কিছু নিয়মকানুনের বেড়াজালে পরবর্তী জীবনের নিয়মের চর্চার ভিত্তিটাও দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবেন।

খেলাধুলা, ব্যায়াম কিংবা সাঁতার কাটতে চাইলেও আপনার জন্য সুযোগ রয়েছে। দোয়েল চত্বরের পাশেই সুইমিংপুল। একটু গরম লাগলে দৌড়ে এসে ঝাঁপ দিতে পারবেন খুশিমতো। 

ক্যাম্পাসে কেউ বেড়াতে এলে তাকে নিয়ে যেতে পারবেন সবার আকাঙ্ক্ষিত কার্জন হলের সম্মুখে। পড়ন্ত বিকেলে চারুকলা অনুষদে কিংবা গল্পে গল্পে হারিয়ে যেতে পারবেন মল চত্বরে।

পরিবার-পরিজন রেখে ঢাকায় এলে একটু মন খারাপ হতেই পারে। এ জন্য চাইলে নিরিবিলি বসে থাকতে পারেন সবুজে ঘেরা কোথাও- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জহুরুল হক হল কিংবা শহীদুল্লাহ্ হলের পুকুরপাড়ের ঠাণ্ডা বাতাস আপনাকে প্রশান্তি দিতে পারে। চাইলে হাঁটতে পারেন জহুরুল হক হলের টিনশেডের সম্মুখে লম্বা রাস্তা ধরে।

আর কি আছে জানেন? আপনার মতোই একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণ- যারা আপনার সহপাঠী হবে, বন্ধু হবে, যাদের সঙ্গেই কেটে যাবে স্নাতক, স্নাতকোত্তর।

দিনের শুরুতে কিংবা বেলা গড়ানোর আগে, গান ধরে ছুটে চলতে পারবেন ঢাবির লাল বাসে; সেই লাল বাসে চড়ার স্বপ্ন আপনাকে এতটা পথ পাড়ি দিতে সাহায্য করেছে।

কলি

আশ্বাসে স্থগিত আন্দোলন, মুক্ত বুয়েট উপাচার্য

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:৫৭ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
আশ্বাসে স্থগিত আন্দোলন, মুক্ত বুয়েট উপাচার্য
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৫ পুনর্বহালকে কেন্দ্র করে উপাচার্য ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় মুক্ত হন তিনি। 

এদিকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের আগমুহূর্ত পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (২৪ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তারা। পরে পুলিশের সহায়তায় উপাচার্য তার বাসভবনে চলে যান। 

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলেও তাতে রাজি হননি তিনি। 

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বুয়েটের পদোন্নয়নসংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৫ বাতিল করে জারি করা এক অফিস আদেশকে কেন্দ্র করে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এদিকে বুয়েট টেকনিক্যাল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপাচার্য নতুন নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত ২০১৫ নীতিমালা বহাল রাখতে রাজি হয়েছেন। এটা আগামী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করতে সুপারিশ করে লিখিত দিয়েছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করছি। এরপরের কর্মসূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

এর আগে গত রবিবার (২৩ জুন) প্রকাশিত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই মূলত ক্ষুব্ধ হন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ফিন্যান্স কমিটির ৫৫তম অধিবেশনের কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪০তম সভায় নতুন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব সিদ্ধান্তে জানানো হয়, গত ২৭ ডিসেম্বরের পরবর্তী সময়ে নীতিমালা-২০১৫-এর মাধ্যমে বুয়েটের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রাপ্যতার জন্য বিবেচিত হবেন না এবং এর মধ্যে যাদের পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড সেল দেওয়া হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। যাদের পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল দেওয়া হয়েছে, তাদের চাকরি শেষ হলে বা পদত্যাগ করলে বা অপসারণ বা পদচ্যুত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অর্গানোগ্রাম বহির্ভূত পদ বিলুপ্ত হবে এবং অর্গানোগ্রামভুক্ত মূল পদ শূন্য হবে। পরবর্তী সময়ে কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী যদি সরকারি নীতিমালায় এরই মধ্যে বুয়েট প্রণীত নীতিমালা-২০১৫-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে উচ্চতর গ্রেড অথবা পদপ্রাপ্ত হন তাহলে তা দেওয়া হবে।

আরিফ/পপি/অমিয়/

ইবির ডরমেটরিতে অবৈধ দখল, বকেয়া বিল সাড়ে ৪ লাখ টাকা

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
ইবির ডরমেটরিতে অবৈধ দখল, বকেয়া বিল সাড়ে ৪ লাখ টাকা
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক-কর্মকতাদের জন্য নির্মিত ডরমেটরির-২-এর কাজ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। তবে এখনো এর কক্ষ বরাদ্দ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। নির্মাণকাজ শেষের পর সেখানে বরাদ্দ পেতে আবেদন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তবে কক্ষ বরাদ্দে প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষুব্ধ হয়ে অবৈধভাবে তালা ভেঙে ১৬টি বাসা দখল করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এরপর থেকে সেখানেই এক বছর ধরে অবস্থান করছেন তারা। এ সময়ে তারা কোনো রকম ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা বকেয়া পড়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, ২০২২ সালের জুন মাসে ডরমেটরি-২-এর নির্মাণকাজ শেষে প্রকৌশল দপ্তরের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর ভবনটি প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ শেষে ভবনে কক্ষ বরাদ্দ পেতে বাসা বরাদ্দ কমিটির কাছে আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। বরাদ্দ না দেওয়ায় গত বছরের ২১ জুন তালা ভেঙে ওই ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলার ১৬টি বাসা দখল করেন তারা। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাসা ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও কক্ষ বরাদ্দে কর্তৃপক্ষের ঢিলেমির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

এদিকে অবৈধভাবে বাসা দখলের পর শিক্ষক-কর্মকর্তারা লাখ টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন বলে জানিয়েছে প্রকৌশল দপ্তর। তবে অনুমোদিত কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা সেখানে না থাকায় বিল তুলতে পারছে না দপ্তরটি। এ বিষয়ে প্রকৌশল দপ্তর থেকে প্রশাসনের কাছে নোট দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান মেলেনি।

এ বিষয়ে এস্টেট দপ্তর জানায়, এসব বাসার মাসিক ভাড়া ১ হাজার ৭৫০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরে ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ভাড়া বকেয়া পড়েছে। কিন্তু গত এক বছরেও ভাড়া উত্তোলন ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাসা বরাদ্দের বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ফলে অবৈধভাবে বাসাগুলোতে অবস্থান করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। বাসা দখলকারী এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়নি প্রশাসন। আমরা অবৈধভাবে এখানে থাকতেও চাই না। আর প্রশাসন বাসা বরাদ্দের জন্য কোনো সিদ্ধান্তও নিচ্ছে না।’ 

এদিকে তালা ভেঙে ডরমেটরিতে বাসা দখলের পরই প্রশাসনকে অবহিত করা হয় বলে জানিয়েছেন এস্টেট শাখার প্রধান শামসুল ইসলাম জোহা। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকার কারণে প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। ভিসি স্যার কয়েক দিন আগে প্রধান প্রকৌশলী ও এস্টেট প্রধানকে ডেকেছিলেন। তিনি ডরমিটরিতে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লিস্ট দিতে বলেছেন। আমরা তা জমা দিয়েছি।’

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও বাসা বরাদ্দ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রকৌশল দপ্তর বা এস্টেট শাখা থেকে আমাদের কাছে লিখিতভাবে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়নি। ওইখানে কে বা কারা উঠেছে, সেটা আমাকে লিখিতভাবে জানানো হয়নি। এস্টেট অফিস লিখিতভাবে আমাকে জানালে ব্যবস্থা নেব।’

শেষ কর্মদিবসে অবরুদ্ধ বুয়েট উপাচার্য, বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:১৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
শেষ কর্মদিবসে অবরুদ্ধ বুয়েট উপাচার্য, বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
ছবি: খবরের কাগজ

উপাচার্য মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে এসে এক অফিস-আদেশকে ঘিরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি, কর্মচারী ও কর্মকর্তা নীতিমালা-২০১৫ পুনর্বহাল না করা হলে, তাদের অবস্থান থেকে সরবেন না। সেই সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও হুশিয়ারী দেন তারা। দাবি পূরণে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন প্রায় তিন শতাধিক কর্মচারী। 

বুয়েটের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘গত বছরের একটি আদেশ হঠাৎ করে আজকে জানানো হলো, যা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বার্থবিরোধী। এতদিন নীতিমালা বাতিলের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ লুকিয়ে রেখেছিল। আমরা নীতিমালা বহাল চাই। অন্যথায় আন্দোলন চলমান থাকবে।’ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করতে উপাচার্যকে আহ্বান জানান তিনি।  

সোমবার (২৪ জুন) রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রাসাদ মজুমদার তার কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর পরিচালক (ডিএসডাব্লিউ) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখনও অবস্থানে রয়েছেন। উপচার্য অফিসেই রয়েছেন, যদিও এটিকে বিক্ষোভ বলা ঠিক হবে না।’ তিনি আরো জানান, ‘উপাচার্যের অফিস এবং বাসভবনে লাগোয়া। তাই তিনি চাইলেই অফিস থেকে যেকোন সময় বাসভবনে যেতে পারবেন।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রাসাদ মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এর আগে গত রবিবার প্রকাশিত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরেই মূলত ক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ফিন্যান্স কমিটির ৫৫তম অধিবেশনের কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪০তম সভায় নতুন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়, গত ২৭ ডিসেম্বরের পরবর্তী সময়ে নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে বুয়েটের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রাপ্যতার জন্য বিবেচিত হবেন না; এবং এরইমধ্যে যাদের পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড সেল দেওয়া হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। আর যাদের পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল দেওয়া হয়েছে, তাদের চাকরি শেষ হলে বা পদত্যাগ করলে বা অপসারণ বা পদচ্যুত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অর্গানোগ্রাম বহির্ভূত পদ বিলুপ্ত হবে এবং অর্গানোগ্রামভুক্ত মূল পদ শূন্য হবে। পরবর্তী সময়ে কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী যদি সরকারি নীতিমালায় এরইমধ্যে বুয়েট প্রণীত নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে উচ্চতর গ্রেড অথবা পদপ্রাপ্ত হন, তাহলে তা প্রদান করা হবে। 

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

 

জবি শিক্ষকদের আবারও কর্মবিরতির ঘোষণা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৫:০২ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
জবি শিক্ষকদের আবারও কর্মবিরতির ঘোষণা
ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে আবারও কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতি। 

সোমবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জবি শিক্ষক সমিতি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এ সময় প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। পরীক্ষা কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। আগামী ৩০ জুন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি থাকবে। এ দিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিও পালন করা হবে। তবে এদিনও পরীক্ষা কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে এর আগে আমরা মানববন্ধন ও অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছিলাম। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আগামীকাল থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী একাত্মতা প্রকাশ করে আবার আন্দোলনে যাচ্ছি আমরা।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গত ৪ জুন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছিল। 

মুজাহিদ/পপি/

ঢাবি সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন বুধবার

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
ঢাবি সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন বুধবার
নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন আগামী বুধবার (২৬ জুন) অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বিকেল ৩টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ অধিবেশন শুরু হবে।

সোমবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এতে জানানো হয়, ঢাবি সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন এবং অভিভাষণ দেবেন। সিনেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের বাজেট উপস্থাপন করবেন।

এ ছাড়া ওই অধিবেশনে উপাচার্যের অভিভাষণ এবং কোষাধ্যক্ষের উপস্থাপিত বাজেটের ওপর সিনেট সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেবেন।

আরিফ জাওয়াদ/সালমান/