![চট্টগ্রাম-মায়ানমারের অংশ নিয়ে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র বিষয়ক বক্তব্য প্রসঙ্গে](image/lazy-loader.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে অক্লান্ত, নিরলস ও নিবেদিত দেশনেত্রী হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তিনি যে দৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তা আমরা বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সমাজ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার ও সমর্থন করি।
গত ২৩ মে গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের প্রধান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন, যা বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে।
সেখানে তার বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে যা বলা হয়েছে, তার সারসংক্ষেপ হচ্ছে ‘পূর্ব তিমুরের মতো বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং মায়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে এবং চক্রান্ত এখনো আছে।’
এ খবরে আমরা দেশের খ্রিষ্টান সমাজ ও তার কর্তৃপক্ষ ‘বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনি’ এবং ‘ইউনাইটেড ফোরাম অব চার্চেস’ সত্যিই অবাক, বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন। সাম্প্রতিককালে কোনো রাষ্ট্রকে ‘খ্রিষ্টান রাষ্ট্র’ বলে আখ্যায়িত করার যুক্তি ও প্রচলন বিরল। বিশ্বায়নের যুগে এবং অসাম্প্রদায়িক নীতির কারণে এমন আখ্যায়ন কোনো ধর্মের জন্যেই সমর্থনযোগ্য নয়।
এ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী যে মতামত দিয়েছেন তার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনার প্রচেষ্টাকে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। এ কাজে আপনার প্রচেষ্টা যেন সফল হয় তার জন্য প্রার্থনা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থান্বেষী মহল দেশে বিরাজিত ধর্মীয় সুসম্পর্ক, সম্প্রীতি ও শান্তি যেন কোনোভাবে বিঘ্নিত করতে না পারে এবং দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে কোনো হুমকির সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সজাগ দৃষ্টি এবং প্রয়োজনবোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
আমরা প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার, দেশবাসী এবং সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি নেতাদের জন্য প্রার্থনা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তি/পপি/