ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশে টেকসই ডেইরি ভ্যালু চেইন মডেলে ডেনমার্কের অর্থায়ন

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
বাংলাদেশে টেকসই ডেইরি ভ্যালু চেইন মডেলে ডেনমার্কের অর্থায়ন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশে “গ্রিন ডেইরি পার্টনারশিপ ইন বাংলাদেশ- ক্রিয়েটিং এ সাসটেইনেবল অ্যান্ড প্রোডাকটিভ ডেইরি ভ্যালু চেইন ইন সাউথওয়েস্ট বাংলাদেশ” শীর্ষক একটি অভিনব দুগ্ধ প্রকল্পে প্রায় ২৫.৪ কোটি টাকা (২৫.৫ মিলিয়ন ড্যানিশ ক্রোনা) অর্থায়ন করল ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডানিডা গ্রিন বিজনেস পার্টনারশিপ (ডিজিবিপি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকায় এই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।

একটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং বাণিজ্যিকভাবে কার্যকরী প্রবর্তনের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি ৩০% গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস এবং ১০,০০০ খামারি গৃহস্থালির আয় ৩০% বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে। খামারি গৃহস্থালির সংখ্যা ৫০,০০০-এ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনাও রয়েছে এই প্রকল্পটির। উপরন্তু, এই ৫ বছরব্যাপী প্রকল্পটির খামারিদের মধ্যে ৮০% নারী খামারি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীকালে, প্রকল্পটি দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশে দুধ সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণকে সহজতর করবে, এবং বাজারে আরও টেকসইভাবে উৎপাদিত দুগ্ধজাত পণ্য প্রবর্তন করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এর সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এবং বাংলাদেশে ডেনমার্ক দূতাবাসের হেড অফ ট্রেড অ্যান্ড ডানিডা বিজনেস আলী মুশতাক বাটসহ প্রকল্পের সহযোগি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা।

সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার পরিচালনায় এই প্রকল্পটির প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রাণ ডেইরি এবং সহযোগিতাপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে আরলা ফুডস বাংলাদেশ, আইডিআরএন-বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সেগেস ইনোভেশন এবং ডেনমার্ক এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড কাউন্সিল।

আরলা ফুডস এবং সেগেস ইনোভেশন প্রবর্তিত টেকসই দুগ্ধ খামার ব্যবস্থা “বিগ ফাইভ” স্থানীয়করণ করে লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনের মাধ্যমে প্রকল্পটি প্রাণ ডেইরিকে বাণিজ্যিকভাবে সহায়তা প্রদান করবে। “বিগ ফাইভ” ব্যবস্থাটির মূল পাঁচটি অংশ হচ্ছে: গরুর জন্য কার্যকরী খাদ্য, খাদ্য সামঞ্জস্যতা, পশুর সুস্থতা, সার ব্যবস্থাপনা এবং জমির কার্যকরি ব্যবহার। এই ব্যবস্থাটির মাধ্যমে ২৫% গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাকি ৫% জ্বালানি, খাদ্য বর্জ্য এবং প্যাকেজিং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হ্রাস করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রকল্পটির সামগ্রিক কার্যকারিতা এবং ফলাফল ব্যবস্থাপনা করবে আইডিআরএন এবং সেগেস ইনোভেশন।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এর চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, এই প্রকল্পটির অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি টেকসই এবং কার্যকরী দুগ্ধ ব্যবস্থা তৈরি করতে প্রাণ ডেইরি নিবিড়ভাবে খামারিদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এই টেকসই প্রকল্পটির অংশ হিসেবে আমরা গরুর জন্য কার্যকরী খাদ্য, খাদ্য সামঞ্জস্যতা, পশুর সুস্থতা, সার ব্যবস্থাপনা এবং জমির কার্যকরী ব্যবহার নিয়ে খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করছি।

আরলা ফুডস এর হেড অফ ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনাবিলিটি আইরিন কুইস্ট মরটেনসেন বলেন, প্রবর্তক হিসেবে এই প্রকল্পটির অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের বিশ্বাস যে এর ফলাফল হিসেবে দুগ্ধ শিল্পের স্বয়ংসম্পূর্ণতা, ব্যক্তি স্বয়ংসম্পূর্ণতা, কর্মসংস্থান, সমতা ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আমরা বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্যমাত্রার সহায়ক হতে পারবো।

সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া এর কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান বলেন, বাংলাদেশ এই মূহুর্তে একটি দ্বৈত উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়ায়ধীন। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের যাত্রায় একটি অপরিহার্য অংশ হবে নিরাপদ এবং টেকসই খাদ্য। এরই আওতায় এই প্রকল্পটি খামারিদের এবং বেসরকারি খাতের জন্য মানসম্পন্ন দুধ উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য একটি বাণিজ্যিকভাবে কার্যকরী উপায় নিয়ে আসছে যা কার্বন নিরপেক্ষ হবে।

আব্দুল হাই সরকার আবারও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
আব্দুল হাই সরকার আবারও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত
আব্দুল হাই সরকার

আগামী দুই বছরের জন্য ঢাকা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হাই সরকার।

সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংকটি। 

আব্দুল হাই সরকার সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (এম. কম) সম্পন্ন করেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং প্রগতিশীল নেতৃত্বের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক কংগ্লোমারেট পূর্বাণী গ্রুপ।

আব্দুল হাই সরকার ঢাকা ব্যাংক পিএলসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সাবেক সহসভাপতি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সাবেক চেয়ারম্যান এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সাবেক পরিচালক। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

ওয়ালটন জাতীয় ফুটভলি প্রতিযোগিতা রবিবার শুরু

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:১৬ এএম
ওয়ালটন জাতীয় ফুটভলি প্রতিযোগিতা রবিবার শুরু
‘ওয়ালটন চতুর্থ জাতীয় (নারী ও পুরুষ) ফুটভলি প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এ অংশগ্রহণকারী দলের জার্সি উন্মোচন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ ফুটভলি অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আগামী রবিবার (৩০ জুন) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ওয়ালটন চতুর্থ জাতীয় (নারী ও পুরুষ) ফুটভলি প্রতিযোগিতা-২০২৪’। 

রাজারবাগ পুলিশ লাইন মাঠে দুই বিভাগে মোট ১৪টি দলের অংশগ্রহণে দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

প্রতিযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড স্পোর্টস) ও বাংলাদেশ ফুটভলি অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সোহেল রানা (পিপিএম-সেবা), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ফোর্স) মো. ওবায়দুর রহমান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড স্পোর্টস) আমানউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আজম আলী খানসহ অন্যান্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ওয়ালটন চতুর্থ জাতীয় ফুটভলি প্রতিযোগিতার পুরুষ বিভাগে ৮টি ও নারী বিভাগে ৬টিসহ মোট ১৪টি দল অংশ নিবে। 

পুরুষ বিভাগের ‘ক’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ পুলিশ, জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফিরোজ স্মৃতি সংসদ ও জিদান স্পোর্টিং ক্লাব। 

‘খ’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ আনসার, তোতা স্পোর্টিং ক্লাব, খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। 

নারী বিভাগের ‘ক’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ আনসার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেবি স্পোর্টিং ক্লাব। 

‘খ’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ পুলিশ, পরান মকদুম স্পোর্টিং ক্লাব ও জামালপুল জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

পুরুষ বিভাগের প্রতি গ্রুপ থেকে চারটি দল সেমিফাইনালে উঠবে। সেখান থেকে দুটি দল খেলবে ফাইনাল। নারী বিভাগের দুই গ্রুপ থেকেও মোট চারটি দল উঠবে সেমিফাইনালে। আর দুটি দল খেলবে ফাইনাল। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন, রানার্স-আপ ও তৃতীয় হওয়া দলকে ট্রফি ও মেডেল দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘ফুটভলির শুরু থেকেই আমরা ওয়ালটন পরিবার ছিলাম। নতুন খেলা হলেও অল্প সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বেশ ভালো করছে ফুটভলি। আশা করছি নতুন এই খেলাটি তরুণদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিবে।’

রবিউল ইসলাম মিলটন বলেন,‘ফুটভলি নতুন খেলা। যার শুরু থেকেই ওয়ালটন পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশ ও দেশের বাইরে ফুটভলি সাফল্য পেয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতেও সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে। এবারের এই জাতীয় প্রতিযোগিতা থেকে নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে। যারা জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে আমাদের সাফল্য এনে দিবে।’

বরাবরের মতো এবারও জাতীয় প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোহাম্মদ সোহেল রানা (পিপিএম-সেবা) বলেন, ‘ওয়ালটনকে ধন্যবাদ। নতুন খেলা হওয়া সত্ত্বেও তারা ফুটভলির পৃষ্ঠপোষকতায় নিয়মিত এগিয়ে আসছে। আসলে দেশের খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে, টান না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান এভাবে নিরলসভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে যেতে পারে না। কেউ এভাবে বারবার এগিয়ে আসতে পারে না। ওয়ালটনকে আমরা পাশে পাই, সে জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ফুটভলিকে এগিয়ে নিতে ওয়ালটনের যে অংশগ্রহণ সেটা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।’

এই প্রতিযোগিতার ইভেন্ট পার্টনার ওয়ালটনের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেল। আর অনলাইন পার্টনার রাইজিংবিডি ডটকম।

উল্লেখ্য, ফুটভলি অনেকটা ভলিবলের মতো খেলা। কোর্টও ভলিবলের মতো। যেটা খেলা হয় পা, বুক ও মাথা দিয়ে। দলে মোট চারজন খেলোয়াড় থাকে। তাদের মধ্যে দুজন খেলার সুযোগ পান। মোট তিন টাচের মধ্যে বল অপর কোর্টে পাঠাতে হয়। মোট তিন থেকে পাঁচ সেটে খেলা হয়। প্রত্যেক সেটে ১৮ পয়েন্ট থাকে। কোনো দল তিন সেটের মধ্যে পর পর দুই সেটে জয়ী হলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ব্যাংক এশিয়ার ‘এএমএল অ্যান্ড সিএফটি’ কনফারেন্স

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:১৪ এএম
ব্যাংক এশিয়ার  ‘এএমএল অ্যান্ড সিএফটি’ কনফারেন্স
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

কর্মীদের মধ্যে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে “এএমএল-সিএফটি : ফস্টারিং অ্যান্ড এনডুরিং এ কালচার অব কমপ্লায়েন্সˮ প্রতিপাদ্য নিয়ে বার্ষিক "এএমএল অ্যান্ড সিএফটি কনফারেন্স ২০২৪" আয়োজন করেছে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি। 

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যাংক এশিয়া টাওয়ারে আয়োজিত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস। 

তিনি তার বক্তব্যে মানিলন্ডারিংয়ে বিরাজমান চ্যালেঞ্জ, সচেতনতার গুরুত্ব এবং রিপোর্টিং প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। 

সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক এশিয়ার বোর্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ বাকী খলীলী। 

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভার আহ্বায়ক ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ক্যামেলকো ও হেড অব চ্যানেল ব্যাংকিং এবং অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার্স অফ ব্যাংকস্ ইন বাংলাদেশ (আকব) এর চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান। 

বিএফআইইউ’র যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক এবং মো. আশরাফুল আলম কনফারেন্সে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রতিদিনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক করণীয় এবং বর্জনীয় নিয়ে তাদের আলোচনা উপস্থাপন করেন। ব্যাংকের শাখা, ডিভিশন, সেন্টার ও ইসলামিক উইন্ডোর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অ্যাজেন্টসহ প্রায় দুই হাজার ৮০০ জন অংশগ্রহণকারী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কনফারেন্সে যোগ দেন।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাগেরহাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে ২০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে।

শনিবার (২৯ জুন) বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নেতৃত্বে জেলার ২০টি তফসিলি ব্যাংককে নিয়ে দিনব্যাপী এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। 

স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম সুকুমার রায়, জনতা ব্যাংকের ডিজিএম মো. মফিজুল ইসলাম, কৃষি ব্যাংকের ডিজিএম দেবদাস সরকার এবং অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম বিপুল মন্ডল।

কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম আমজাদ হোসেন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সাইদ মো. আব্দুল মান্নাফ, সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আসাদুল হক, বাগেরহাটের সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপকবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাগেরহাটের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ। 

অনুষ্ঠানে স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ ও উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়। কনফারেন্সে স্কুল ব্যাংকিং সুবিধা এবং একাউন্ট বৃদ্ধির বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়। 

ইস্টার্ন ব্যাংকের এএমএল ও সিএফটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
ইস্টার্ন ব্যাংকের এএমএল ও সিএফটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা
ছবি: বিজ্ঞাপন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রতিনিধিদের জন্য ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদ অর্থায়ন মোকাবিলা বিষয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। 

শনিবার (২৯ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এ মালেক কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এই কর্মশালায় ৭০ জনের অধিক ব্যাংক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের উপ-প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি শিক্ষামূলক একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য অনুরুপ একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানের জন্য ইবিএলকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মো. আজমল হোসেন এবং মো. মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, সহকারী পরিচালক সাদিয়া ইসলাম প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। 

তারা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদ অর্থায়ন মোকাবিলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় এবং এসব ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ধারা সম্পর্কে বিশদ বক্তব্য রাখেন। 

কর্মশালায় ইস্টার্ন ব্যাংকের মনিটরিং বিভাগ প্রধান মো. আব্দুল আউয়াল, ডেপুটি ক্যামেলকো মো. শাহজাহান আলী এবং সিলেট ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের রিটেইল ও এসএমই প্রধান আবু রাসেল মো. মাসুমসহ অন্যরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/