![রাঙ্গাবালীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদ ধস, তদরকি ছাড়াই চলছিল কাজ](uploads/2024/03/16/1710562677.Patuakhali.jpg)
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে নির্মাণাধীন ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দার ছাদ ঢালাইয়ের সময় ধসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ঢালাই শ্রমিকদের সেন্টারিং ত্রুটির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নির্মাণাধীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বারান্দা অংশের ছাদ ঢালাই দেওয়া হচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে ঢালাই চলার সময়েই বারান্দার অংশের সেই ছাদ ধসে পড়ে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ওইদিন রাতেই সরেজমিনে দেখা গেছে, বারান্দার অংশের ছাদ ধসে পড়ে আছে। সেখান থেকে রড ও অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে নিচ্ছে নির্মাণশ্রমিকরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাউকে সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। এদিকে সন্ধ্যায় এবং কোনো তদারকি ছাড়াই কেন ঢালাই দেওয়া হচ্ছিল, এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা রাহাত হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের পুরো ছাদটি ১০ হাজার স্কয়ার ফুট। এর মধ্যে বারান্দার অংশটুকু ২২ ফুট। আমরা সবাই যখন ইফতার করতে যাই, ওই সময় আমাদের না বলেই বারান্দার সেই অংশটুকু ঢালাই দেওয়া শুরু করেন শ্রমিকরা। সেন্টারিং ভালোভাবে না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।’
জানা গেছে, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) অধীনে জেলার প্রাইম কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজটি করছিল। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের জুলাই মাসে কাজটি শুরু করেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুর্বল সেন্টারিংয়ের কারণে সামনের বারান্দার অংশটির ছাদ ধসে পড়েছে। তাড়াহুড়ো করে কাজটি করছিল মিস্ত্রিরা। তাই ঢালাই দেওয়ার পরপরই পড়ে গেছে। আমরা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর আসল ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’