![চট্টগ্রামে দখল উচ্ছেদ করে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ](uploads/2024/03/24/1711260821.ctg-sritishoid.jpg)
একসময় যেখানে ছিল পরিবশে বিধ্বংসী চারটি অবৈধ ইটভাটা। এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে চট্টগ্রামের প্রথম ও একমাত্র দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ। ডিসিপার্কসংলগ্ন ৩০ একর জমিতে মাত্র ১৭ দিনে এই অস্থায়ী স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে এটি উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, এই জায়গাটি একসময় স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির দখলে ছিল। সেখান থেকে উদ্ধার করে জায়গাটিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির পরাজয় হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সূতিকারগার। জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৭১ সালের প্রথম প্রহরে জাতির পিতার পক্ষে চট্টগ্রামের কালুঘাট বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়। অপারেশন জ্যাকপটসহ মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর অসামান্য অবদান রয়েছে। কিন্তু গত ৫৩ বছরে এখানে কোনো স্মৃতিসৌধ গড়ে ওঠেনি। মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এখানে স্থায়ী স্মৃতিসৌধ এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর করা হোক। এই দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর এখানে ৩০ একর জমিতে স্মৃতিসৌধ এবং জাদুঘর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। স্থায়ী স্মৃতিসৌধ করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখানে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। এতে উপস্থিত আরও ছিলেন চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার কামালসহ অন্যরা।