![জেলায় জেলায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন](uploads/2024/03/27/1711512429.6.-Compile-news-pic.jpg)
সারা দেশে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। শহিদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা, ৩১ বার তোপধ্বনি, দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। ব্যুরো অফিস ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট-
সিলেট: শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেটে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর সকাল ৮টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। একে একে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ, বাসদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
রাজশাহী: জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনায় দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে রাজশাহীতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের পর পুলিশ লাইনসে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ উপলক্ষে সকাল ৮টায় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
খুলনা: সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুনু রেজা, বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার, কেডিএ, শ্রম দপ্তর, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ফরিদপুর: সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের গোয়ালচামোট শহিদ স্মৃতিফলকে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ঝর্না হাসান, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সব সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ফরিদপুর প্রেস ক্লাব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জাতির বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
যশোর: মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শহরের মণিহার এলাকার বিজয়স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারা। এরপর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিজয়স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
টাঙ্গাইল: মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জেলা পুলিশ, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব, জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাগেরহাট: মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জেলার দশানী এলাকায় শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন।
রাঙামাটি: সকাল ৬টায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল চত্বরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রেমলিয়ানা পাংখোয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরপ্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ঝিনাইদহ: সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের পৌর স্মৃতিসৌধ পার্কের শহিদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে প্রেরণা একাত্তর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
রাবি: সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।