![জনতা ব্যাংকের ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা](uploads/2024/04/04/1712203631.Sirajganj-janata-bank-dodok.jpg)
প্রতারণা, অসদাচরণ, বিশ্বাসভঙ্গ ও একে অপরের সহযোগিতায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচি জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ভল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার আসামিরা হলেন বেলকুচি জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪), সাবেক ক্যাশ অফিসার মো. খালেদ ইউনুস (৩১), অফিসার রাশিদুল হাসান (৩৪), ক্যাশ অফিসার শাহ মখদুম উদ্দৌলা (২৯)।
গত সোমবার দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। গতকাল বুধবার বিকেলে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খাইরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে জানা যায়, গত ২০ মার্চ জনতা ব্যাংক তামাই শাখায় অডিট করা হয়। অডিটের সময় ক্যাশ ভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ক্যাশ লেনদেনে সন্দেহ দেখা দিলে গত ২৪ মার্চ আবারও তামাই শাখায় উপস্থিত হয়ে লেনদেনের সব কিছু অডিট করা হয়। এ সময় ক্যাশ ভল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হিসাব গড়মিল পাওয়া যায়। পরে ২৪ মার্চ ব্যাংকটির এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম তামাই শাখার ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি। পরে তাদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে ওইদিন রাতে পুলিশ তাদের আটক করে এবং আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
এ ব্যাপরে দুদকের উপপরিচালক মো. খাইরুলর হক বলেন, ‘গ্রাহকের ও ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’