![পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু, আসামিকে ৩দিনের রিমান্ড](uploads/2024/04/29/1714367849.jpg)
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় পুলিশের হেফাজতে অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি এস এম আসাদুজ্জামানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম তৃতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আকতারের আদালতে এস এম আসাদুজ্জামানের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্রোপলিটন ইউনিট। দীর্ঘ শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবদুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল সকালে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মোজাফফর নগর থেকে এস এম আসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
পুলিশের হেফাজতে অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের মামলার ৫ নম্বর আসামি তিনি।
দুদকের ওই কর্মকর্তার মৃত্যুতে তার স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ারের করা মামলার আসামিরা হলেন- চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এস এম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীম (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬), কলি আক্তার (১৯)।
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে বাকলিয়া থানার রাহাত্তালপুল এলাকা থেকে আসামি জসীম উদ্দীন ও গত ১২ ফেব্রুয়ারি নগরের চকবাজার এলাকা থেকে আসামি মো. লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক (ডিডি) ছিলেন। ছিলেন। ২০১৮ সালে অবসরে যান এই কর্মকর্তা। নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে গত ২৯ আগস্ট ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে রনি আক্তার তানিয়া নামে একজন আদালতে মামলা করেন।
মামলার শুনানি শেষে ওইদিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আসামিরা আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওইদিনই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে দেন। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানার পুলিশ। থানায় তাকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারা যান তিনি।
তারেক মাহমুদ/জোবাইদা/অমিয়/