![বাঘাইছড়িতে জেএসএস-ইউপিডিএফের বন্দুকযুদ্ধ](uploads/2024/05/14/ranggamati_guli-1715694313.jpg)
আগামী ২৯ মে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। গতকাল সোমবার (১৩ মে) দেওয়া হয়েছে প্রতীক বরাদ্দ। জাতীয় রাজনৈতিক দলের কোনো প্রার্থী না থাকলেও লড়ছেন পাহাড়ের বিবদমান আঞ্চলিক দুই দলের প্রার্থীরা।
নির্বাচনের আগে ভোটের মাঠ দখলে মরিয়া দল দুটি। তাই নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে প্রতীক বরাদ্দের দিনেই অবতীর্ণ হয়েছে বন্দুকযুদ্ধে। এদের একটি সন্তুলারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। অন্যটি সন্তুলারমার ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের এককালে নেতৃত্ব দেওয়া প্রসীত খীসার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। এমনকি সংগঠন দুটিও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদ জানিয়েছেন, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নে দুলোবনিয়া এলাকায় বিকেল ৪টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। পরে এই যুদ্ধ থামে সন্ধ্যার দিকে। কয়েক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবারও দুই পক্ষ শুরু করে বন্দুকযুদ্ধ। এ সময় কয়েক শ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আঞ্চলিক সংগঠনের সশস্ত্র হামলায় আটজন নির্বাচনি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ৩৩ জন। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সন্তুলারমার জনসংহতি সমিতি-জেএসএস সমর্থিত বড়ঋষি চাকমাকে দায়ী করেন তার প্রতিদ্বন্ধি সংস্কারপন্থি জনসংহতি সমিতি-জেএসএস (এমএন লারমা) সমর্থিত স্বতন্ত্র ও বিজয়ী প্রার্থী সুদর্শন চাকমা। এ ঘটনায় মামলা হলেও দীর্ঘ পাঁচ বছরেও খুনিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এবারও নির্বাচনকে ঘিরে আঞ্চলিক দলগুলোর অপতৎপরতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার বিষয়ে জেএসএস ও ইউপিডিএফের স্থানীয় একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।