![রিমালের প্রভাব রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা, প্রস্তুত ২৬৭ আশ্রয়কেন্দ্র](uploads/2024/05/28/Rangamati-1716867887.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত রবিবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জেলা শহরসহ জেলার ১০ উপজেলায় পাহাড়ধসের সতর্কতা জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে প্রচার চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
এর মধ্যেই জেলায় ২৬৭টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা দুর্যোগ কমিটি ২৫০ টন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৫০০ বান্ডিল ঢেউ টিন, ৩০০টি কম্বল ও ২০০ তাঁবু মজুত রেখেছে।
এর আগে গত রবিবার মধ্যরাত থেকে জেলায় ভারী বৃষ্টি শুরু হলেও সকাল থেকেই জনগণকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ের পাদদেশে যারা বসবাস করছেন তাদের স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যেতে বলা হয়। তবে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এসব আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ অবস্থান করেননি।
জেলায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ধসের শঙ্কা রয়েছে জানিয়ে রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার ক্যাসিনো মারমা বলেন, ‘আজ (সোমবার) বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এ জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। যে কেউ চাইলে ওই সব কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে জেলায় ২৬৭টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা দুর্যোগ কমিটির কাছে ২৫০ টন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন, ৩০০টি কম্বল ও ২০০ তাঁবু মজুত রয়েছে।’
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের চিঠির পর ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ কমিটির জরুরি সভা হয়েছে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।’