![রাঙ্গাবালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩ জনের প্রার্থীতা বাতিল](uploads/2024/06/02/rangabalikk-1717338633.jpg)
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (২ জুন) নির্বাচন কমিশনের শুনানি শেষে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন প্রার্থীর শুনানি শেষে প্রার্থিতা বাতিল করেছে কমিশন।
তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী।
এর আগে, গত ৩১ মে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের হয়েছে অভিযোগ এনে ইসিতে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
ইসি জানায়, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট নামক স্থানে ও চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপি এই তিন জনকে প্যানেল করে অবৈধ ভাবে প্রকাশ্যে ভোট চেয়েছেন। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২২ অনুসারে নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন। সেজন্য তাদের আজ ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছিল। আজ তারা হাজির হলে শুনানি শেষে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করে কমিশন।
এছাড়াও শুক্রবার (৩১ মে) রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডা গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ এবং ত্রাণ বিতরণে যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান। ওইসময়ে প্রতিমন্ত্রীকে বহনকারী স্পিডবোটে প্রটোকলে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তার পাশে বসেই ইউএনওর কাঁধে মাথা রেখে রেস্ট নিতে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনকে।
এর আগেও গত ১০ মে (শুক্রবার) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন পরিষদের বিতর্কিত চেয়ারম্যান মু. সাইদুজ্জামান মামুনের পদত্যাগ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নানান নাটকীয়তার আশ্রয় নিয়েছিলো। যা নিয়ে দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে ইউএনও মামুনের সন্দেজনক অবৈধ সখ্যতার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে ইউএনও বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
হাসিবুর রহমান/এমএ/