![ময়মনসিংহে মেলার শেষ দিনে খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা](uploads/2024/06/13/fair-1718251128.jpg)
ময়মনসিংহে সাত দিনব্যাপী বিভাগীয় পণ্যমেলায় শেষ দিনের বেচাকেনায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। গত কয়েক দিনের চেয়ে শেষ দিন আগের চেয়ে বেশি ক্রেতা আসে পছন্দের পণ্য কিনতে। দামও রাখা হয় আগের চেয়ে কিছুটা কম।
বুধবার (১২ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর জয়নুল আবেদীন পার্কে বৈশাখী মঞ্চের সামনে এই মেলায় সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলার শেষ দিনে বেচাকেনার ধুম পড়ে। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ পছন্দের পণ্য কিনতে ভিড় জমান। সকালেও ক্রেতাদের ভিড়, দুপুরেও ভিড়।
মেলায় আসা দীনা খাতুন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রথম দিনই জানতে পেরেছি এখানে বিভাগীয় এসএমই পণ্যমেলা শুরু হয়েছে। প্রতিবছরই এসএমই পণ্যমেলায় গিয়ে পছন্দের পণ্য কিনি। কারণ পণ্যের মান যেমন ভালো, দামও রাখা হয় কম। গত বছর মেলায় গিয়ে অনেক কিছু কিনেছি। তবে এবার ব্যস্ত থাকায় শেষ দিন মেলায় এসেছি।’
ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার পছন্দ পাটজাত পণ্য। তাই শেষ দিন পরিবেশবান্ধব সুন্দর পাটের একটি ব্যাগ কিনলাম। শেষ দিন মেলায় এসে মনে হচ্ছে, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে অনেক পণ্যের দামও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ক্রেতা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিও বেড়েছে উল্লেখ করে সামিয়া ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী সামিয়া আক্তার বলেন, ‘মেলায় আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে পণ্য কিনছেন। গত কয়েক দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জামাকাপড় বিক্রি হলেও বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যেই ১৮ পিস জামা বিক্রি করেছি। মনে হচ্ছে, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি লাভ হবে।’
রুমাস কারুপণ্য ও ফুড প্রডাক্টসের বিক্রেতা রুমা রানি দাস বলেন, ‘নেত্রকোনা থেকে এসে এই মেলায় স্টল দিয়েছি। আমার স্টলে শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, নকশি কাঁথা, বিছানার চাদর ছাড়াও বিভিন্ন খাবারের জিনিস রয়েছে। মেলার শেষ দিন ক্রেতা বাড়ায় বিক্রিও বেড়েছে। কাপড়ের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে দুধের নাড়ু ও আমের আচার।’
ময়মনসিংহ উদ্যোক্তা উন্নয়ন অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা সেলিমা আজাদ বলেন, ‘গত ৬ জুন থেকে শুরু হয় সাত দিনব্যাপী বিভাগীয় এই এসএমই পণ্যমেলা। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৫০টি স্টল নিয়ে মেলায় বিক্রি হয় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী এবং ফ্যাশন ডিজাইনসহ অন্যান্য সামগ্রী। শেষ দিনের বেচাকেনায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা।
এ বিষয়ে জেলার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি শংকর সাহা বলেন, ‘অনেকে ব্যস্ততার কারণে আসতে না পেরে মেলার শেষ দিনে কেনাকাটা করেছেন। ফলে হঠাৎ করে ক্রেতা কয়েকগুণ বেড়েছে।’