![খাদ্যসামগ্রীসহ সেন্টমার্টিনের পথে পণ্যবাহী জাহাজ](uploads/2024/06/14/cox-1718358512.jpg)
মায়ানমারের গোলাগুলির ঘটনায় ৯ দিন ধরে সেন্টমার্টিনে খাদ্যপণ্য পৌঁছায়নি। এতে দ্বীপে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। ৯ দিন পর প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পৌঁছানো হচ্ছে খাদ্যপণ্য।
শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমবি বার আউলিয়া’।
জেলা প্রশাসন জানায়, জাহাজে ২০০ টনের মতো খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। যেখানে শাক-সবজি, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, গ্যাস সিলিন্ডারসহ যাবতীয় খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। এ ছাড়া কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনবাসীর জন্য পাঁচটি গরু দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘৯ দিন ধরে বন্ধ থাকার কারণে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠবে দ্বীপের মানুষ। জাহাজটিতে অন্তত দেড় থেকে দুই মাসের খাবার যাচ্ছে। এ ছাড়া চিকিৎসা বা বিভিন্ন কাজে কক্সবাজার এসে আটকাপড়া আরও দুই শতাধিক মানুষ এ জাহাজে করে ফিরছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজটিতে কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জাহাজটি না পৌঁছানো পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ জাহাজটি আগামী এক মাস চলাচল সচল রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
‘এমবি বার আউলিয়া’-এর পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতায় দ্বীপের মানুষের পাশে থাকার জন্য কর্ণফুলী শিপিং কোম্পানি সব সময় বদ্ধপরিকর। তাই জেলা প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ অনিশ্চয়তার মধ্যেও সেন্টমার্টিন যাত্রা করছে আমাদের জাহাজ এমবি বার আউলিয়া। আজকে বিশেষ ব্যবস্থায় যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে যদি প্রয়োজন হয় আরও চালানো হবে।’
দ্বীপের ব্যবসায়ী অছিম উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রশাসনের উদ্যোগে জাহাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই চাল, ডাল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কক্সবাজার থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন নিয়ে যাচ্ছি। এখন দ্বীপে খাদ্য সংকট কেটে যাবে।’
খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি দ্বীপে ফিরে যাচ্ছেন টেকনাফে আটকেপড়া অনেক বাসিন্দা। নিরাপদে দ্বীপে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করায় খুশি তারা। তবে তাদেব দাবি, জাহাজটি যেন মায়ানমারের সংঘাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলাচল করে।
দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল রহিম বলেন, নিরাপদে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যেতে পারছি খুবই ভালো লাগছে। ১০ দিন টেকনাফে আটকে ছিলাম। এখন দ্বীপে ফিরছি।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বঙ্গোপসাগর হয়ে চারটি ট্রলারে টেকনাফ ফিরেছেন ৩০০ যাত্রী এবং টেকনাফ থেকে দ্বীপে ফিরে যান ৫০০ বাসিন্দা।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/পপি/