ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কানে দ্যুতি ছড়িয়েছেন যারা

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
কানে  দ্যুতি ছড়িয়েছেন যারা

ফ্রান্সের কান শহরে বসেছে চলচ্চিত্রের বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক আয়োজন ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। ১৪ মে কান উৎসবের ৭৭তম আসরের পর্দা উঠে। শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব এটি। ১২ দিনব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে তারকাদের এ মিলনমেলা চলে ২৫ মে পর্যন্ত। বরাবরের মতো এবারও লালগালিচায় আলো ছড়িয়েছেন হলিউড-বলিউডসহ বিশ্বের নামিদামি তারকারা। আজকের বিশ্ব ফ্যাশন নিয়ে লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি 

বেলা হাদিদ
মার্কিন সুপারমডেল বেলা হাদিদ। কান চলচ্চিত্র উৎসবে একেবারে শেষে দিকে হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক লাল কেফিয়াহ দিয়ে বানানো পোশাক পরে নজর কেড়েছেন সবার। এভাবে বেলা নিজের শিকড় ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির নাগরিকদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের দূত হয়ে ফ্রান্সের কান সৈকত থেকে দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি।

 

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন
গত শুক্রবার  কান উৎসবের লালগালিচায় হাঁটেন ভারতীয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। প্রতি বছরের মতো এবারেও ঐশ্বরিয়ার পোশাকে ছিল আকর্ষণের কেন্দ্র। ভারতীয় ফ্যাশন হাউজ ফাল্গুনি-শেন পিককের কালো-সোনালি গাউনে মুগ্ধ করে ভক্ত-অনুসারীদের। গাউনের লম্বা টেইল নজরকাড়া ছিল। তবে দ্বিতীয় লুক, অর্থাৎ ১৭ মে গতানুগতিক ধারা বাইরে বেরিয়ে ভিন্ন লুকে হাজির হন  ঐশ্বরিয়া। পরেছেন সবুজ-রুপালি গাউন। যদিও পোশাকটি দেখলে মনে হবে, জন্মদিনের প্লাস্টিকের চকমকি ফিতা দিয়েই বানানো গাউনটি। তবে নাটকীয় পোশাকের লম্বা টেইল এবং সুউচ্চ হাতা বিশেষভাবে নজর কেড়েছে।

কিয়ারা আদভানি
বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি প্রথমবারের মতো কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছেন। রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশন উইমেন ইন সিনেমা গালায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। কিয়ারা প্রবাল গুরুং ডিজাইন করা সাদা রঙের গাউনে নজর কাড়ে  সবার। ডিপ নেকলাইন ও হাই-স্লিটেড গাউনের মানানসই মুক্তোর লম্বা দুল ও সাদা হাই হিলে সেজেছিলেন। এক হাতে আংটি, অন্য হাতে সুন্দর কাজ করা রিস্টব্যান্ড। তাকে স্টাইল করেছেন  স্টাইলিস্ট লক্ষ্মী লেহর। গালা ডিনার ইভেন্টের জন্য কিয়ারা বেছে নিয়ে ছিলেন সিল্কের কাপড়ে তৈরি অফ শোল্ডার গোলাপি ও কালো একটি গাউন। পোশাকটির পেছনে একটি বড় বো ছিল।

হাতে পরেছিলেন কালো লেইসের গ্লাভস। গয়না হিসেবে ব্র্যান্ড বুলগারির ব্র্যান্ডের হীরার নেকপিস আর আংটি বেছে নিয়েছিলেন । চুল বেঁধে উঁচু খোঁপা করেছিলেন। একেবারেই মিনিমাল মেকআপে নিজেকে সাজিয়েছিলেন তিনি। চোখে লেন্স পরে  পিংক আইশ্যাডো, উইং আইলাইনার আর মাসকারাতে। ঠোঁটে দিয়েছিল ন্যুড পিংক লিপস্টিক।

উর্বশী রাওতেলা
উর্বশী রাওতেলা এই বলিউড অভিনেত্রী তাঁর অভিনয়ের তুলনায় ব্যতিক্রমধর্মী ফ্যাশনের জন্য বেশি আলোচনায় থাকেন। কান চলচ্চিত্র উৎসবে এবার তিনি সবার নজর কাড়লেন ডিজাইনার খালেদ এবং মারওয়ানের গোলাপি রঙের বডিকন অফ শোল্ডার গাউনটি। লাল ঝলমলে পুঁতি দিয়ে নকশা করা হয়েছে গাউনের জমিন। ডিপ নেকলাইন, থাই-হাই স্লিট, ফ্লোর ছোঁয়া ট্রেন গাউনে তাকে অসাধারণ লেগেছে। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে কাঁধের সঙ্গে যুক্ত রাফেল শ্রাগটি। এর সঙ্গে তাঁর ম্যাচিং গ্লাভস, জুতাও ছিল আকর্ষণীয়। বরাবরের মতো চোখের সাজ নজর কেড়েছে।

এমা স্টোন
আসরের চতুর্থ দিনে রেড কার্পেটে আলো ছড়িয়েছেন অস্কার জয়ী অভিনেত্রী এমা স্টোন। ৩৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী লুই ভিতোঁর বারগেন্ডি হল্টারনেক গাউনে হাজির হয়েছিলেন। পুরো গাউন জুড়ে সিকুইনের কাজ করা ছিল। ভি-নেকের গাউনে সঙ্গে ম্যাচিং করে বারগান্ডি স্যান্ডেল পরেছিলেন।

সেলেনা গোমেজ
জনপ্রিয় হলিউড তারকা সেলেনা গোমেজ নিজের সিনেমার প্রিমিয়ারে এসেছিলেন একদম ওল্ড হলিউড গ্ল্যামার লুকে। ফরাসি ফ্যাশন ব্র্যান্ড স্যঁ লরার সাদা-কালো অফ দ্য শোল্ডার গাউনে তাকে অসাধারণ লেগেছিল। বডি হাগিং ভেলভেট গাউনের নেকলাইনের সাদা ক্রিস-ক্রস  করা ছিল। গয়না হিসেবে বেছে  নিয়েছেন বুলগারির নেকলেস ও শ্যান্ডেলিয়ার কানের দুল। পায়ে ছিল স্যান্টনিরর স্ট্র্যাপি হিল। হালকা মেকআপ সঙ্গে মাঝসিঁথি করে পনিটেইল করে চুল বেধে ছিলেন।  

সালমা হায়েক
হলিউড অভিনেত্রী সালমা হায়েক এমিলিয়া পেরেজ’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে হাজির হয়েছিলেন। কালো সিকুইনের স্ট্র্যাপলেস গাউনে লালগালিচায় মাতিয়েছেন তিনি। কালো গাউনের সঙ্গে বেছে নিয়েছিলেন জ্যামিতিক নকশা করা সোনালি বালা আর কালো চামড়ার ছোট পার্স। তবে বেশ নড়র কেড়েছে কালো পাথর আর হীরা দিয়ে সাজানো বড় নেকলেসটি। কমলা ও বাদামির মিশ্রণের আইশ্যাডো, গাঢ়ো লিপস্টিক,ঢেউ খেলানো কোঁকড়া চুলে অভিনেত্রীকে বেশ স্টাইলিশ লাগেছে।

কলি

 

 

 

কক্ষ বুঝে সোফার ব্যবহার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
কক্ষ বুঝে সোফার ব্যবহার

সব বাড়িতেই সোফা থাকে। এটি রুচিশীল আসবাবের মধ্যে পড়ে। ঘরের নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে সোফা অতুলনীয়। ঘরের আকার আর সোফার আকারের সমন্বয় অন্দরসজ্জাকে ছিমছাম আবহ এনে দেয়। তাই রুমের আকার ও ব্যবহার যোগ্যতা বিবেচনায় রেখে সোফা বেছে নেওয়া উচিত। এ সম্পর্কে লিখেছেন তামিম হাসান

বর্তমানে বাসা যেমনই হোক ড্রইংরুমে এক সেট সোফা ছাড়া বাসার সাজ যেন পূর্ণতা পায় না। বসার ঘর দেখেই একজন মানুষের রুচির পরিচয় পাওয়া যায়। সেই জায়গাকে তাই সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা জরুরি। অতিথি এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলাপন ও টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠান বা সিনেমা উপভোগ করার জন্য আমরা বসার ঘরেই সোফার অবস্থান লক্ষ করি কিন্তু এখন আর এটি শুধু বসার ঘরে সীমাবদ্ধ নেই। শোবার ঘর, অতিথি কক্ষ, এমনকি বারান্দায়ও শোভা পায় সুসজ্জিত রঙিন সব সোফা। আজকাল বাজারে নানান আকার ও ডিজাইনের সোফা পাওয়া যায়। কক্ষের আকার, ছাদ ও মেঝের দৈর্ঘ্য, জানালা উচ্চতা, দরজার অবস্থানের দিকে খেয়াল রেখে সোফা বেছে নিতে হবে।

বেডরুম যদি বড় হয় তাহলে বিছানার বিপরীত পাশের দেয়াল ঘেঁষে দুই থেকে তিন আসনের সোফা রাখতে পারেন। শোবার ঘর ছোট হলে সিঙ্গেল সোফা বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া ডিভান ব্যবহার করতে পারেন। আসবাবটি কিছুটা দেখতে সোফার মতো, কিন্তু খাট হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। দেয়ালের রং, পর্দা, ঘরের অন্যান্য ফার্নিচারের সঙ্গে মিল রেখে ডিভান নির্বাচন করা ভালো। সাজানোর ক্ষেত্রে ডিভান যদি দেয়ালের পাশে হয় তবে দেয়াল চিত্রকর্ম, ডেকোরেটিভ আয়না বা ছবি দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। কক্ষ বড় হলে লেদার, কাপড় ও ফোমের ভারী সোফা ব্যবহার করতে পারেন। কক্ষ ছোট হলে হালকা ডিজাইনের কাঠ, বেত, ফেব্রিক, লেদার, রেক্সিন, শৈল্পিক ডিজাইনের বাঁশ বা আয়রনের হালকা সোফা বেছে নিতে পারেন। ঘরের ফাঁকা জায়গা, দেয়ালের রং ও অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে মিলিয়ে সোফা নির্বাচন করতে পারেন।

আধুনিকভাবে সাজাতে চাইলে কাঠ, রড, আয়রনের সোফা আর ঐতিহ্যগত সাজের বেত বা বাঁশের সোফা ভালো দেখাবে। ঘরের আকার বড় হলে সোফা কেনার আগে কেন কিনছেন, কোথায় রাখবেন, কাদের জন্য- এসব বিষয় খেয়াল রাখুন। ড্রইংরুম ও অভ্যর্থনা কক্ষের জন্য এমন সোফা বেছে নিন যেগুলো মজবুত এবং সহজে দাগ পড়ে না এমন ধরনের। বসার ঘর যদি একটু বড় হয় তাহলে একপাশে উঁচু সোফা ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার বসার ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।

ড্রইংরুম, বারান্দা ও বেডরুমে ব্যবহারের সোফার কুশনে নান্দনিক আলপনা, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, আর্টিস্টিক নকশা রাখতে পারেন। দেখতে বেশ ভালো লাগবে। ড্রইংরুম বড় হলে এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের সুব্যবস্থা থাকে তাহলে কুশনের জন্য সিল্কের কাপড় বেছে নিতে পারেন। নানা রঙের একরঙা কুশন কভার বেছে নিন। ঘরের দেয়ালে যদি হালকা রং থাকে তাহলে গাঢ় রঙের মধ্যে শেডগুলো বেছে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সোফার কভারের রং ও প্রিন্টের বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। যে রুমেই সোফা ব্যবহার করুন না কেন সোফার গদির কাপড়ের জন্য অবশ্যই গাঢ় রং ব্যবহার করুন।

অফিসে কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে সোফা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অতিথি আপ্যায়ন কিংবা কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রামের জন্য সোফার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই অফিসের সোফা কেনার ক্ষেত্রে ফেব্রিক ও নকশাকে গুরুত্ব দিন, যাতে ব্যবহারের ফলে সহজে নষ্ট না হয়ে যায়।

 কলি

নীলুর ‘সেলাইঘর’

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:১০ পিএম
নীলুর ‘সেলাইঘর’
তাসলিমা নীলু

তাসলিমা নীলু ২০০৭ সাল থেকে হোপ ইন্টারন্যাশনাল বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছেন। ২০১৮ সালে শিক্ষকতার পাশাপাশি কিছু করার ইচ্ছায় উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা করেন। সেই চিন্তা থেকে কিছু পোশাক এনে স্কুলের কলিগ ও আত্মীয়স্বজনদের কাছে বিক্রি করেন। ভালোই সাড়া পেয়েছিলেন। একটা ফেসবুকে পেজ খুলেছিলেন। কিন্তু কীভাবে পণ্যের ছবি তুলতে হয়, সে সম্পর্কে একেবারেই ধারণা ছিল না। যা বিক্রি হতো পরিচিতের মধ্যে।

কিন্তু চাকরি ও ব্যবসা একসঙ্গে করতে পারছিলেন না। তাই ২০১৯ সেটা বন্ধ করে দেন। এরপর ২০২০ সালে করোনাকালীন যখন সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলের কাজে তেমন চাপ ছিল না। এ ছাড়া তার স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ার কারণে তিনি তার ফেসবুক পেজটা আবার চালু করেন। পুরোনো পেজটা কাজ না করার কারণে সেটা খুলতে পারছিলেন না। তাই সেলাইঘর নাম দিয়ে আরেকটা পেজ খুলেন। একটু আলাদা ধরনের নাম দেওয়ার জন্য পেজটির নাম দিয়েছিলেন সেলাইঘর। যাতে সবার মুখে মুখে থাকে। অনেকভাবে সেলাইঘর মানে সেলাই শিখানো হয়, আসলে কিন্তু তা নয়। সেলাইঘর মানে পোশাক বিক্রি হয়। তিনি সেলাইয়ের কাজ জানতেন বলে এই নামটি দেওয়া। নীলু সবসময় নিজের এবং তার শাশুড়ির জন্য অনেক কাপড় ও লেইস কিনে রাখতেন। করোনাকালীন এটি কাজে দিয়েছিল। শিশুদের একটা পোশাক বানিয়ে হাতের কাজ করে প্রথম সেলাইঘরে পোস্ট করেন। পোশাকটি ছবি পোস্ট করার পর অনেকগুলো প্রি-অর্ডার পেয়ে গেলেন। তখন নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল, সবগুলো অর্ডারই সময়মতো নিজেরাই ডেলিভারি করলেন। যেহেতু পেজ থেকে সাড়া ভালোই পেলেন, তাই চিন্তা করলেন একটা শোরুম দেওয়ার। ২০২১ সালে দিয়েও ফেললেন। সেখানে নিজের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাইরের পোশাকও বিক্রি করা শুরু করলেন।

এই ক্ষেত্রে প্রথম যেটা হয়েছে সেটা হলো কাপড় সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা ছিল না। শোরুম দেওয়ার পর মার্কেটে মার্কেটে ঘুরেছেন, কোথায় ভালো শাড়ি পাওয়া যায়, কোথায় থ্রি-পিস পাওয়া যায়, সেখানে গিয়ে সেগুলো সংগ্রহ করেছেন। যত দিন গিয়েছে ততই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এসএমই থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপে ফ্যাশন ডিজাইনারের কোর্স করে সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এটা তার জীবনের একটা বড় প্রাপ্তি। এ ছাড়া ব্লক বাটিকের ওপরে অনেকগুলো কোর্স করেছেন। বিভিন্ন রকমের মেলায় অংশগ্রহণ করে অনেকের ভালোবাসা পেয়েছেন। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে অনেক সমস্যায় সম্মুখীন হয়েছেন। পেজের লাইভ করার সময় অনেক নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয়েছে। এ ছাড়া যেখানে শোরুম দিয়েছেন সেখান থেকে কটূক্তি শুনতে হয়েছিল। কিন্তু তার স্বামী এবং তার শাশুড়ি অনেক সাপোর্ট কারণে তাকে পারিবারিকভাবে তেমন কোনো বাধা পেরোতে হয়নি। বরং অনেক বেশি সাপোর্ট পেয়েছেন।

নীলু যেহেতু দেশীয় প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন। তিনি চান ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ভালো মানের পোশাক দিতে। তাই তার মূল ফোকাস হচ্ছে দেশীয় পোশাক নিয়ে কাজ করা। দেশের পণ্যকেই তুলে ধরা। দেশের গণ্ডি পেরোনোর ইচ্ছা কার না থাকে, তারও ইচ্ছা আছে। কিন্তু তার আগে দেশের ভেতরেই নিজের একটা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে চান। তিনি চান তার পোশাক দেশের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে যাক। সবার মুখে মুখে সেলাই ঘরের নাম থাকুক। এরপর দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন। এখনই দেশের অনেক জেলায় তার অনেক ক্রেতা আছে। সেসব ক্রেতাও ইনবক্সে খোঁজখবর নেন। নীলু বলেন, নারীরা কেন বসে থাকবেন। সংসার চালানোর পাশাপাশি যেকোনো কিছু করতে পারেন। সে শিক্ষিত, অশিক্ষিত যেকোনো নারীই হতে পারে। যে বিষয় তিনি দক্ষ সেটা নিয়েই কিছু করতে পারেন। পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে অনেকে শিক্ষার সুযোগ পায় না।

তারাও যেন পিছিয়ে না থাকে। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে তুলে পারি। এখন নারীরা অনেক আগ্রহী তাই অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। নারীরা যে যা পারেন তাই নিয়ে কাজ করেন। সেটা ক্রাফটের কাজ হোক, কিংবা গয়না তৈরি। নারীকে সৃজনশীল কাজ করতে হবে। নিজে স্বাধীনভাবে থাকতে চাইলে, নিজের যে গুণ আছে সেটা কাজে লাগাতে হবে। তারা কাজ করে আয় করে স্বনির্ভর হতে পারে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। সরকারের কাছে নীলুর চাওয়া হলো স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা। সরকার যদি আমাদের স্বল্প সুদে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন থাকলে নারীরা আরও এগিয়ে যাবে।

কলি  

সামলে চলুন সংসারের খরচ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
সামলে চলুন সংসারের খরচ
মডেল: উল্কা, সৌম্য। ছবি: শরিফ মাহমুদ

প্রমা ও সৌরভের টোনাটুনির সংসার, মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে খাওয়া, কোথাও দুজন ঘুরতে চলে যাওয়া, অনলাইনে নতুন কোন পোশাক দেখলেই কিনে ফেলা, এভাবে চলে তাদের সংসার। তবে সৌরভের বেতন ভালো থাকলেও মাস শেষে হাতে একেবারের জমা কোন টাকা থাকে না। কোথাও কিভাবে খরচ হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছে না। এখন দুইজন আছে, কিন্তু  সঞ্চয় করতে না পারলে তো সমস্যায় পরবে। এটা নিয়ে প্রমা বেশ চিন্তিত। বর্তমানে এখন অনেকের অবস্থাই প্রমা আর সৌরভের মতো। দৈনন্দিন জীবনে চাহিদার সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে, তাই  যথেষ্ট আয় থাকা স্বত্বেও খরচ মিটিয়ে সংসার চালানো এখন বেশ কঠিন। খাবার, স্বাস্থ্য,শিক্ষা, জামাকাপড়,যাতায়াত, বাসাভাড়া, বিনোদন  সংসারের খরচে বেতনের মোটা  একটা  অংশ  চলে যাচ্ছে। তবে একটু চেষ্টা করলেই প্রতি মাসের খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। সংসারের খরচ কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি

প্রত্যেক মাসে বাজেট করুন
মাসের শুরুতেই বাজেট তৈরি করুন। সেই বাজেট থেকে  চাইলে কাটছাঁট করুন। অন্যান্য খরচের জন্যেও আলাদা টাকা বরাদ্দ করুন। যা বাজেট করেছেন চেষ্টা করুন সেই টাকার মধ্যেই খরচ করার। তার পরেও কিছু কেনার সময়ে দরদাম করে কিনলে দেখবেন কিছুটা টাকা বাঁচবে।চাইলে প্রতি সপ্তাহে খরচের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করুন এবং শুধু সেই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করুন। এছাড়া প্রতি মাসে ভ্রমণের জন্যে, বিনোদনের জন্য আলাদা টাকা রাখতে পারেন।

যাতায়াত খরচ বাঁচান
অফিসে যাওয়ার সময় হেঁটেই বাসস্ট্যান্ডে যান। তাই চেষ্টা করবেন  কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার। এতে  রিকশা ভাড়া বাঁচবে এবং  সকালের হাঁটা হয়ে যাবে।  আবার অফিস থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নেমে রিকশায় না চড়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরুন।  এছাড়া যেখানে হেটে যাওয়ার রাস্তা সেখানে হেঁটে যান।  সিএনজি কিংবা পাঠাও এড়িয়ে চলে বাসে যাতায়াত করুন। এতে করে প্রতিদিনের সামান্য টাকা মাস শেষে বড়ই হবে।

কার্ডে নয়, নগদ লেনদেন
ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে কেনাকাটা করা বাদ দিন। কার্ডে লেনদেন করলে আপনি নিজেও জানতে পারবেন না কত টাকা খরচ করে ফেলছেন। কেনাকাটার সময় বেশি মনে না হলেও মাস শেষে দেখা যায় বড় অংকের টাকা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে খরচ করে ফেলেছেন। তাই কার্ড নয় নগদ লেনদের করুন। তাহলে সহজে বুঝতে পারবেন কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। যা আপনাকে খরচের ব্যাপারে সাবধানী করবে। এছাড়া অতি প্রয়োজন না হলে ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা  করবেন না। কারণ সেখানে সুদের হার অনেক বেশি থাকে।

খরচের হিসেব রাখুন
দিনশেষে খরচের হিসেব রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খাওয়া-দাওয়া, বাড়িভাড়া, বিদ্যুতের বিলের মতো কিছু খরচ নির্দিষ্ট থাকে। এগুলোর হিসাব ও নির্দিষ্ট। তবে প্রতিদিন কোথায় কত খরচ হল তার হিসেব একটা খাতায় লিখে রাখুন। মাস শেষে এটা নিয়ে বসুন। দেখুন কোন কোন খাতে খরচ বেশি হয়েছে এবং সেগুলো চেষ্টা করলেই কমানো সম্ভব কিনা। এছাড়া ব্যাংকের স্টেটমেন্ট খেয়াল করে দেখুন, সবচেয়ে বেশি কোন খাতে আপনি টাকা খরচ করছেন। সেখানে দাগ দিয়ে রাখু্ন। পরের মাসে সেই খাতে চেষ্টা করবেন খরচ কমিয়ে  আনতে। আর কোনটা বেশি প্রয়োজনীয়, কোনটা না হলেও চলবে সেগুলোর দিকেও খেয়াল রাখুন।

ব্র্যান্ডের পণ্য এড়িয়ে চলুন
অনেক সময় বিভিন্ন পণ্যে ব্রান্ড থেকে কিনে থাকি। কিন্তু ব্রান্ডের পণ্য আর সাধারণ পণ্যে খুব বেশি পার্থক্য  থাকে না । এছাড়া সুপারশপে কিছু পণ্যে আপনি লোকাল মার্কেটে পাওয়া যায়, পাইকারি ধরে সেই পণ্যের দাম সুপারশপের চেয়ে ও কম পড়ে। তাই  চেষ্টা করুন খরচ কমিয়ে কেনাকাটা করতে। ব্রান্ডের কিনতে চাইলে মূল্য ছাড়ের সময় কেনাকাটা করতে পারেন। এছাড়া কোথায় কী কিনলে ছাড় মিলছে খোঁজ রাখুন। কুপন পেলে রেখে দিন। পরবর্তী সময়ে তা দিয়েই কেনাকাটা করুন।

বাসায় খাওয়া-দাওয়া করুন
অনেক সময় বাইরের খাবার খাই। দামি দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। প্রতিমাসে এর জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়। তাই এই অভ্যাস এড়িয়ে চলুন। কোনো বিশেষ কিছু খেতে ইচ্ছে হলে বাসায় রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে খরচ সাশ্রয় হবে আবার পরিবারের সবার সঙ্গে সম্পর্কটাও মজবুত হবে।

হুট করে কোন জিনিস কেনা থেকে দূরে থাকুন
অনেকেরই অভ্যাস হল রাস্তায় যেতে যেতে কোন দোকানে কিছু পছন্দ হলে হুট করে কিনে ফেলা। এটা করার ফলে বেশীরভাগ সময়েই আমরা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে ঘর বোঝাই করে ফেলি। অনলাইনের যুগে অনলাইন শপিংয়ের পেছনে অনেক টাকা খরচ করে ফেলি। সারা মাস খেয়াল রাখুন, কোথায় বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। অযথা কোনও শখের জিনিস কিনে খরচ করবেন না। জিনিস পছন্দ হয়ে গেলেই হুট করে কিনে না ফেলে একটু ভেবে তারপর কিনবেন। প্রয়োজন হলে একটু সময় নিয়ে দুইদিন পরে কিনুন।

মাসের বাজার একসঙ্গে  করুন
মাসের মাছ ও মাংসের বাজার একসঙ্গে করুন। এ ছাড়া মসলাও পাইকারি দোকান থেকে একসঙ্গে কেনার চেষ্টা করুন। তাতে যেমন ফ্রেশ পাবেন, দামেও কম হবে। এছাড়া দিনশেষে বাজার করার চেষ্টা করুন। কারণ এ সময় সব পণ্যের কিছুটা কমে যায়। বাজার বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে কিনলে কম দামে কিনতে পারবেন। তাই অফিস শেষে বাজার করতে পারেন।

দাওয়াতের দিন রান্না এড়িয়ে চলুন
যেদিন কোথায় দাওয়াত  থাকবে সেদিন বাড়িতে রান্নাবান্নার ঝামেলা কম করুন। এতে অনেকটা সাশ্রয়ী হবে। আর উপহাট কখনো বাজেটের বাইরে গিয়ে কিনবেন না। চেষ্টা করুন বাজেটের মধ্যে  উপহার কিনতে।

 কলি

উইমেন এন্টারপ্রেনার্স এসোসিয়েশনের "লিগাসি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪" প্রদান

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:১১ পিএম
আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম
উইমেন এন্টারপ্রেনার্স এসোসিয়েশনের

রাজধানীর ঢাকা ক্লাব লিমিটেডে উইমেন এন্টারপ্রেনার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে আগামীতে নেতৃত্ব দিবেন এমন তরুণ উদ্যোক্তা সদস্যকে প্রথম বারের মতো "লিগাসি অ্যাওয়ার্ড ২০২৪" প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রথম এই এসোসিয়েশন উই এর ফাউন্ডার মেম্বার এবং সাধারণ সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে থেকে মেধা, দক্ষতা , প্রতিভা ও উদ্যোগ যাছাই–বাছাই এর মাধ্যমে প্রথম বারের মতো ১০টা ক্যাটাগরিতে ১০ জন সদস্যকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

উইমেন এন্টারপ্রেনার্স বিজনেস "ফুড এন্ড বেভারেজ" ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান সুমি'স কিচেন এর স্বত্বাধিকারী আফরোজা নাজনীন সুমি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অন্য যারা এই লিগাসি অ্যাওয়ার্ড  ২০২৪ পেয়েছেন তারা হলেন ফাইজা রহমান, বেনোজীর আইনুন, ফারজিন খান, ফেরদৌস জাহান, ফারহানা মুন্না, নিশাত খান, রিজওয়ানা শেখ, সিরাজুম মাসুদ, জোয়ানা খান।

পুরস্কার প্রদান করেন বিশ্ব বরেণ্য ফ্যাশন ডিজাইনার এবং জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল মডেল বিবি রাসেল। আরও উপস্থিত ছিলেন মাইডাসের চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ, ড: রুবিনা হুসেইন, উই এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট সুলতানা সনিসহ আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। 

পুরস্কারপ্রাপ্ত সুমি বলেন, "যে কোন প্রাপ্তি কাজের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তোলে।"তার উদ্যোক্তা মা লায়লা জালালের হাত ধরেই উই এর মেম্বার হওয়া। তাই এই লিগ্যাসি এওয়ার্ড  এর জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তার মা লায়লা জালাল এবং উই এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট প্রায়ত রোকেয়া আফজাল রহমানকে।

সুমি উইমেন এন্টারপ্রেনার্স এসোসিয়েশন (WEA) এর জয়েন্ট সেক্রেটারি, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (e-Cab) উইমেন এন্টারপ্রেনার্স ফোরামের কো-চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রেনার্স (BFWE) এর বোর্ড মেম্বার এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স (BWCCI) এর সদস্য হিসেবে উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

 কলি 

জেন-জিদের লাইফস্টাইল

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১১ পিএম
জেন-জিদের লাইফস্টাইল
মডেল: প্রহেলিকা, রুদ্র, ঋতু। ছবি: শরিফ মাহমুদ

১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত যাদের জন্ম, তাদের ‘জেন জেড’ বা ‘জেন-জি’ বলা হয়। জেন-জিরা অল্প বয়স থেকে ইন্টারনেট ও পোর্টেবল ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বড় হওয়া প্রথম সামাজিক প্রজন্ম হিসেবে ধরা হয়। এই প্রজন্ম নিজেদের কঠোর পরিশ্রমী, আত্মনির্ভরশীল এবং সৃজনশীল হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মূল্যবোধ, চিন্তাভাবনা, জীবনযাপন, ভবিষ্যতের লক্ষ্য অন্যদের তুলনায় আলাদা। এই প্রজন্মের জীবনযাপন নিয়ে লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি 

জেন-জিদের ফ্যাশন 
জেন-জিদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, তারা কোনো নির্দিষ্ট স্টাইলে আটকে থাকে না। আবার অতীতের কোনো স্টাইল ফিরিয়ে আনতেও কোনো কার্পণ্য করে না। তাদের কারণে অতীতের কিছু ফ্যাশন আর স্টাইল আবার ফিরে এসেছে। ফ্যাশন নিয়ে বিশেষ আগ্রহ থাকার জন্য তাদের দিনের বড় একটা সময় বিভিন্ন রকমের ম্যাগাজিন, ব্লগ ঘেঁটে ও ফ্যাশন সংক্রান্ত ভ্লগ দেখে কাটায়। বাইকার শর্টস, কম্ফি বা টার্টলনেক ও কিউবান কলার শার্ট রয়েছে তাদের ফ্যাশন তালিকায়। এই প্রজন্মের সবচেয়ে বড় অর্জন লিঙ্গনিরপেক্ষ পোশাক। কয়েক দশক আগেও বিষয়টি চিন্তা করা যেত না। এখন তারাই প্রমাণ করেছে, লিঙ্গনিরপেক্ষ পোশাক পরা যায়।

এ ছাড়া মিনিমাল, অতিরিক্ত বড় ও আরামদায়ক সব ধরনের স্টাইলে তাদের দেখা যায়। পাশাপাশি তাদের নিজস্ব স্টাইল তো রয়েছে। এই প্রজন্মের প্রভাবে ডিজাইনাররা নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করছে। তাদের পোশাকে রঙের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হয় না। সব ধরনের রঙের পোশাক তাদের পরতে দেখা যায়। এখন তারা যা পরবে তাই ট্রেন্ডি। ছেলেরা বিভিন্ন নকশার শার্ট ও হাফপ্যান্ট এবং পায়ে কেডস অথবা লোফার পরে হাজির হয়ে যান যেকোনো অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া কালো ট্রাউজার আর ঢিলেঢালা ম্যাচিং টি-শার্ট পরে সাবলীল ভঙ্গিতেই বাইরে বের হয়ে যান। লুজ-ফিটিং জর্জেট ফেব্রিকের টেরাকোটা রঙের শার্ট এবং সাদা রঙের ফুলহাতা ক্রপ টপ সঙ্গে আশি-নব্বইয়ের দশকের হাই ওয়েস্ট মম জিনস বেশ জনপ্রিয়।


 
জেন-জিদের মেকআপ ট্রেন্ড
ফ্যাশনের মতো মেকআপের ব্যাপারেও এই প্রজন্ম বেশ সচেতন। তাদের সাজে থাকে মিনিমাল ছোঁয়া। সাজের ক্ষেত্রে খুব বেশি মেকআপ পণ্যের ব্যবহার করে না। ভালো মানের ফাউন্ডেশন, কনসিলার, ব্লাশন, কাজল, মাসকারা, আইশ্যাডো তাদের জন্য যথেষ্ট। তাদের কাছে মেকআপ শুধু নিজেকে সুন্দর দেখানোর মাধ্যম নয়। বরং ব্যক্তিত্ব বা নিজস্বতা প্রকাশের হাতিয়ার। বর্তমানে ‘গ্র্যাডিয়েন্ট লিপ’ বেশ জনপ্রিয়। ডার্ক শেডের লিপস্টিক বা লিপ টিন্ট দেওয়ার পর, ঠোঁট হালকা শেডের লিপলাইনার দিয়ে এঁকে নেওয়াকে গ্র্যাডিয়েন্ট লিপ ট্রেন্ড বলা হয়। এ ছাড়া গ্রাফিক আইলাইনার ট্রেন্ডও বেশ জনপ্রিয়। প্রজাপতি, ডলফিন, জ্যামিতিক প্যাটার্নের চোখে ডিজাইন করে। ব্লাশের প্রতি জেন-জিদের দুর্বলতা আছে। প্রাকৃতিক গোলাপি আভা ফুটিয়ে তুলতে ব্লাশ ব্যবহার করে যাকে ‘বয়ফ্রেন্ড ব্লাশ’ বলা হয়। এ ছাড়া ফো ফ্রেকলস ও ডাম্পলিং স্কিনের জনপ্রিয়তা অনেক। গহনা হিসেবে হালকা কানের দুল গলায় সিম্পল লকেটসহ চেইন বেশি পরতে দেখা যায়।

জেন-জিরা রেস্টুরেন্টপ্রেমী
এদের একটা বড় অংশই রেস্টুরেন্টপ্রেমী। ইন্ডিয়ান, জাপানিজ, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, রাশিয়ান কিংবা আমেরিকান সব খাবার সম্পর্কে তারা জ্ঞান রাখে। নতুন খাবার টেস্ট করার প্রতি তাদের আগ্রহ ব্যাপক। তাদের হাত ধরেই ‘ফাস্ট ফুড’ কালচারের ঢালাও প্রচলন হয়েছে। রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি ফুডকোর্ট কিংবা মিনি ফুডকোর্টের খাবার ও তাদের পছন্দ করে। এ ছাড়া সময় কাটানোর জন্য ‘রেস্টুরেন্ট’ বেশ জনপ্রিয়। 

তাদের নিজস্ব পছন্দ 
জেনারেশনেই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব অনেক বেশি। জেন-জির অধিকাংশই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। যেহেতু এরা স্ট্রিমিং কন্টেন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেই বড় হয়েছে। তাই তাদের আর্ট অ্যান্ড কালচারেও পরিবর্তন এসেছে। ওয়ার্ল্ড মিউজিক, থিয়েটার, মুভি ইত্যাদির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক মজবুত। সিনেমা দেখার রুচিবোধেও পরির্বতন এসেছে। শুধু হলিউড কিংবা বলিউডই নয়; পাশাপাশি কোরিয়ান, জাপানিজ, চায়নিজ, নেপালি, মালায়ালামসহ আরও অন্যান্য ধারার সিনেমা দেখে। এ ছাড়া বর্তমান সময়ের বাংলা সিনেমা কিংবা আর্টফিল্মও তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

কলি