ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট
হাইকোর্ট

দুর্নীতি প্রতিরোধে আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস সোমবার (১ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলান তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চে এ রিট উপস্থাপন করেন।

তবে মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। 

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থসচিব, জনপ্রশাসন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএফআইইউর প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে। 

রিটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের অবৈধ-সম্পদ অর্জন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নীতিমালা, আইন ও নীতি করতে বিবাদীদের ভয়াবহ ব্যর্থতা এবং কথিত নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, আইনানুসারে দেশে-বিদেশে সরকারি কর্মচারীদের থাকা সম্পদের তথ্য সংগ্রহে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশ ও ডিজিটাল মাধ্যমে সময়ে আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

পরে অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব যেন নেওয়া হয় এবং সেগুলো যেন প্রকাশ করা হয়, তার নির্দেশনা চেয়ে রিট দাখিল করেছি। সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আয়ের কিছু অফিশিয়ালের বিপুল পরিমাণে সম্পদের খবর প্রকাশিত হয়েছে। যত বড় কর্মকর্তাই হোক না কেন, তিনি কীভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেন, সে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। কারণ সরকারের একটি রুলস আছে। ওই রুলস অনুযায়ী কোনো সরকারি অফিসার পুর্বানুমতি ছাড়া একটি বিল্ডিংও নির্মাণ করতে পারেন না। ইনভেস্ট করতে পারেন না। তিনি আইন থাকার পরেও কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তি অর্জন করলেন। চাকরির প্রবেশকালে সম্পদের হিসাব দাখিল করতে হবে। প্রতিবছর কত বাড়ল বা কমল তার বিবরণী দাখিল করার আইন রয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা সংশোধন করে প্রতি পাঁচ বছর পর পর দাখিল করার বিধান করা হয়। কিন্তু সর্বশেষ ২০০৮ সালে কিছু কর্মকর্তা দাখিল করেছিলেন। ২০০৮ সালের পরে সরকার চাইলেও কর্মকর্তারা সেটা দেননি। আমরা বলেছি, আইনটা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হোক।’

সাজার মামলায় ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন ড. ইউনূসের

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:২২ এএম
সাজার মামলায় ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন ড. ইউনূসের
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ চারজনকে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তাদের করা আপিলের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) হাজির হয়ে তারা স্থায়ী জামিন চান। আদালত শুনানি মুলতুবি করে ১৪ আগস্ট পরবর্তী শুনানি ধার্য করেন এবং ওই সময় পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল। 

এ সময় আদালতে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে ড. ইউনূসের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি এক রায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন শ্রম আদালত। রায়ের পরই আপিল করার শর্তে তাদেরকে ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়। এরপর রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। শুনানি নিয়ে নতুন করে জামিন দিয়ে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন ট্রাইব্যুনাল।

সাজা স্থগিতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর। ৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনের শুনানি নিয়ে ড. ইউনূসের সাজা স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাজা স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল হবে না, মর্মে রুল জারি করেন। পরে রুলের শুনানি শেষে গত ১৮ মার্চ ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা ও দণ্ড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিল করেন হাইকোর্ট। ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে বলে রায়ে বলা হয়। পরে গত বুধবার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়, সাজা স্থগিতের কোনো বিধান নেই। জামিন দেওয়া হলে সাজা স্থগিতের আলাদা আদেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। 

এদিকে গত ১৬ এপ্রিল ধার্যদিনে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্তদের ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৩ মে ধার্যদিনে ৪ জুলাই পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়।

সাবেক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
সাবেক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

চট্টগ্রামের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সাবেক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম (৬১) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ দাবি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

আবুল হাশেমের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার দেওয়ানপুর এলাকার গুড়ামিয়া সেক্রেটারি বাড়িতে। বর্তমানে নগরের পলিটেকনিক্যাল কলেজ রোড রূপসী হাউজিং বসবাস করছেন। 

মামলা বিরণিতে জানা যায়, তিনি দুদকের হিসাব বিবরণিতে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ২৯৪ টাকার সম্পদ গোপন করেন। এ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

তার স্ত্রী মিসেস তাহেরিনা বেগম এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করার সুপারিশ করে দুদক। 

দুদক প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখেন যে, আসামি মো. আবুল হাশেম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ২০ লাখ ২৬ হাজার ৮৩০ ঘোষণা দেন । 

মো. আবুল হাশেম ১৯৮৮ সনে এস আই পদে চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি গত অক্টোবর, ২০২২ সালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে চাকুরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি ১৯৮৮-৮৯ অর্থ বছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছর (সম্পদ বিবরণী দাখিল) পর্যন্ত বেতন ভাতাদি ও তার প্রবাসী ভাই থেকে উপহার বাবদ রেমিট্যান্স, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়, ব্যাংক সুদ ও অন্যান্য আয় বাবদ সর্বমোট ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৫৬ টাকা আয় করেছেন। ট্যাক্স ফাইলের তথ্য পর্যালোচনায় তার মোট গ্রহণযোগ্য দায় ৩১ লাখ ৮ হাজার ৩৪১ টাকা।

এদিকে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর (সম্পদ বিবরণী দাখিল) পর্যন্ত আবুল হাশেম এর নামে দায় বাদে মোট ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৪৮৯ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় এবং একই সময়ে তিনি ১৭ লাখ ১৯ হাজার ১৬১ টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। 

কিন্তু কোটি টাকা তিনি কীভাবে অর্জন করেছেন তার বিবরণ দেয়নি। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যেও তিনি তথ্য গোপন করেছেন বলেন দুদক কর্মকর্তারা জানান। 

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত খবরে কাগজকে বলেন, সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বিবরণীতে সম্পদ গোপন করেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে।

ড. ইউনূসসহ ৪ জনের সাজা বহাল, আপিল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
ড. ইউনূসসহ ৪ জনের সাজা বহাল, আপিল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

মামলার বাদী কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের আবেদন নিষ্পত্তি করে দেওয়া রায়ে এই নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৩ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চের পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এ রায়ের ফলে ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্টদের সাজা বহাল রয়েছে। তবে তারা জামিনে থাকায় সাজা ভোগ করতে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে তিনি এই রায় হাতে পাননি।

তিনি বলেন, ‘১৮ মার্চ রায় ঘোষণার দিন রায়ের কপি চেয়ে আবেদন করা হলেও আজ বুধবার পর্যন্ত কপি পাওয়া যায়নি। হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করা হলে তারা আবেদনটি পাননি বলে জানিয়েছেন।’ মামলার বাদীপক্ষ কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এ মামলার শুনানি নির্ধারিত আছে। আমরা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত। সবকিছু প্রকাশ্য দিবালোকেই হচ্ছে। যেখানেই ইউনূস, সেখানেই কলকারখানা প্রতিষ্ঠান। আইনি লড়াইয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

বুধবার প্রকাশিত ৫০ পৃষ্ঠার রায়ে পাঁচ দফা পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্ট চারজনের সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে আপিলটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সাজা স্থগিত করার কোনো বিধান নেই। জামিন দেওয়া হলে সাজা স্থগিতের আলাদা আদেশের প্রয়োজন নেই। আপিলের নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত জরিমানা আদায় স্থগিত থাকবে। এই রায়ের নির্দেশনাসহ প্রয়োজনীয় সব আদেশ-নির্দেশ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ বইতে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। 

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ের পরই আরেক আদেশে আপিল করার শর্তে ইউনূসসহ আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়। রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। শুনানি নিয়ে নতুন করে জামিন দিয়ে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন ট্রাইব্যুনাল।

সাজা স্থগিতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর। ৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনের শুনানি নিয়ে ড. ইউনূসের সাজা স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাজা স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল হবে না মর্মে রুল জারি করেন। পরে রুলের শুনানি শেষে গত ১৮ মার্চ ড. ইউনূসের ছয় মাসের সাজা ও দণ্ড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিল করেন হাইকোর্ট। ফলে ড. ইউনূসের ছয় মাসের সাজা চলমান থাকবে বলে রায়ে বলা হয়।

ট্রাইব্যুনালে আজ হাজিরা: শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূসসহ চারজনের করা আপিলের শুনানি নির্ধারিত আছে আজ বৃহস্পতিবার। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জামিনের মেয়াদও শেষ হচ্ছে আজ। ফলে তিনি বৃহস্পতিবার হাজির হয়ে জামিন চাইবেন বলে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন।

বহাল থাকল মুক্তিযোদ্ধা কোটা

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৪ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
বহাল থাকল মুক্তিযোদ্ধা কোটা
হাইকোর্ট

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রইল। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এর আগে গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। 

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। 

এই রায়ের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। 

এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিলও করে রাষ্ট্রপক্ষ।

অমিয়/

শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:২৮ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৮ এএম
শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও আদেশ দিয়েছেন। 

বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এ রায় দেন। চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ১৩ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে স্ত্রী পারভীন আক্তারকে হত্যার অভিযোগ ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি জামাল উদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. জামাল (৩৭)। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার বাস্তুহারা কলোনিতে বাস করতেন। অন্যদিকে খুন হওয়া স্ত্রী পারভীন আক্তারের (২৪) বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। 

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ভিকটিম পারভীন আক্তারের সঙ্গে জনৈক মনা মিয়ার বিয়ে হয়। ২০২০ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরে ২০২১ সালে আসামি জামালের সঙ্গে পারভীন আক্তারের বিয়ে হয়। এদিকে জামালের প্রথম সংসারের স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকতেন। কিন্তু একসঙ্গে বসবাস শুরুর পর থেকে পারভীন জামালের আগের স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া করতেন। দিনে দিনে তাদের মধ্যে অশান্তি বাড়তে থাকে। 

২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি নগরের বাকলিয়া থানার বাস্তুহারা দ্বিতীয় তলার মসজিদ গলিতে ওই ভাড়া বাসায় স্ত্রী পারভীন আক্তারকে ঘুমন্ত অবস্থায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে খুন করেন জামাল। হত্যার পর তিনি স্ত্রীকে বাসায় কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে খাটে শুইয়ে পালিয়ে যান।

ঘটনার দিন ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়িওয়ালা বিরক্ত হয়ে বাসা ছেড়ে দিতে বলার জন্য ওই বাসায় যান। কিন্তু বাড়িওয়ালা দরজা বাইরে থেকে হুক লাগানো দেখতে পান। সেটা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখেন, খাটের ওপর লাশ পড়ে আছে। এরপর ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। ১৮ জানুয়ারি পারভীন আক্তারের বোন বেবি আক্তার বাদী হয়ে জামালকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই পুলিশ জামালকে গ্রেপ্তার করে। 

ঘটনাটি তদন্ত করে বাকলিয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) কারিমুজ্জামান ২০২২ সালের ২৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৩ অক্টোবর আসামি জামালের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত জামালকে মৃত্যদণ্ড দিয়েছেন।