খবরের কাগজ গ্রাফিকস
চট্টগ্রামের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সাবেক সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম (৬১) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ দাবি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আবুল হাশেমের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার দেওয়ানপুর এলাকার গুড়ামিয়া সেক্রেটারি বাড়িতে। বর্তমানে নগরের পলিটেকনিক্যাল কলেজ রোড রূপসী হাউজিং বসবাস করছেন।
মামলা বিরণিতে জানা যায়, তিনি দুদকের হিসাব বিবরণিতে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ২৯৪ টাকার সম্পদ গোপন করেন। এ সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
তার স্ত্রী মিসেস তাহেরিনা বেগম এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করার সুপারিশ করে দুদক।
দুদক প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখেন যে, আসামি মো. আবুল হাশেম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ২০ লাখ ২৬ হাজার ৮৩০ ঘোষণা দেন ।
মো. আবুল হাশেম ১৯৮৮ সনে এস আই পদে চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি গত অক্টোবর, ২০২২ সালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে চাকুরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি ১৯৮৮-৮৯ অর্থ বছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছর (সম্পদ বিবরণী দাখিল) পর্যন্ত বেতন ভাতাদি ও তার প্রবাসী ভাই থেকে উপহার বাবদ রেমিট্যান্স, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়, ব্যাংক সুদ ও অন্যান্য আয় বাবদ সর্বমোট ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৫৬ টাকা আয় করেছেন। ট্যাক্স ফাইলের তথ্য পর্যালোচনায় তার মোট গ্রহণযোগ্য দায় ৩১ লাখ ৮ হাজার ৩৪১ টাকা।
এদিকে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর (সম্পদ বিবরণী দাখিল) পর্যন্ত আবুল হাশেম এর নামে দায় বাদে মোট ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৪৮৯ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় এবং একই সময়ে তিনি ১৭ লাখ ১৯ হাজার ১৬১ টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন।
কিন্তু কোটি টাকা তিনি কীভাবে অর্জন করেছেন তার বিবরণ দেয়নি। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যেও তিনি তথ্য গোপন করেছেন বলেন দুদক কর্মকর্তারা জানান।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপ পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত খবরে কাগজকে বলেন, সাবেক সহকারি পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বিবরণীতে সম্পদ গোপন করেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে।