![কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড](uploads/2024/07/03/Kishoreganj_Adalot-1720018014.jpg)
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় সোহেল খন্দকার (৩৫) নামে এক অটোরিকশাচালককে হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক সব আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ভৈরব উপজেলার ভাটি কৃষ্ণনগর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (২৫), বাঁশগাড়ী গ্রামের মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে মো. কাজল (৩৪), ছনহুরা গ্রামের মৃত আ. লতিফ মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৬) ও একই এলাকার মো. আবু মিয়ার ছেলে মো. রাব্বানী (২৬)।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার অটোরিকশাচালক সোহেল খন্দকার দুপুরে তার রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়কের কালিকাপ্রসাদ এলাকা থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায়। এরপর নিহত যুবকের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরের সূত্র ধরে ঘাতক চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, যাত্রীবেশে তারা চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ও মোবাইল ছিনতাই করেন।
গ্রেপ্তার চারজনকে অভিযুক্ত করে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. জামির হোসেন জিয়া ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার চারজনের মৃত্যদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু নাসের ফারুক সঞ্জু বলেন, ‘আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। আজকের এই এ রায়ে আদালতের প্রতি আমরা সন্তুষ্ট।’