![সাজার মামলায় ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন ড. ইউনূসের](uploads/2024/07/05/D.-Enus-1718168962-1720117377.jpg)
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ চারজনকে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তাদের করা আপিলের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) হাজির হয়ে তারা স্থায়ী জামিন চান। আদালত শুনানি মুলতুবি করে ১৪ আগস্ট পরবর্তী শুনানি ধার্য করেন এবং ওই সময় পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল।
এ সময় আদালতে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্তরা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে ড. ইউনূসের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি এক রায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন শ্রম আদালত। রায়ের পরই আপিল করার শর্তে তাদেরকে ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়। এরপর রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। শুনানি নিয়ে নতুন করে জামিন দিয়ে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন ট্রাইব্যুনাল।
সাজা স্থগিতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর। ৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনের শুনানি নিয়ে ড. ইউনূসের সাজা স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সাজা স্থগিতের আদেশ কেন বাতিল হবে না, মর্মে রুল জারি করেন। পরে রুলের শুনানি শেষে গত ১৮ মার্চ ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা ও দণ্ড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিল করেন হাইকোর্ট। ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে বলে রায়ে বলা হয়। পরে গত বুধবার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়, সাজা স্থগিতের কোনো বিধান নেই। জামিন দেওয়া হলে সাজা স্থগিতের আলাদা আদেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এদিকে গত ১৬ এপ্রিল ধার্যদিনে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্তদের ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৩ মে ধার্যদিনে ৪ জুলাই পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়।