![এনামুলের ৯ তলা বাড়িসহ শতকোটি টাকার সম্পদ ক্রোক](uploads/2024/07/05/Enamul-1720160854.jpg)
সিলেটের কাস্টমস কমিশনার হিসেবে কর্মরত মোহাম্মদ এনামুল হকের ঢাকার বসুন্ধরায় দুটি প্লটের ওপর নির্মিত একটি ৯ তলা বাড়ি, রাজধানীর কাকরাইল ও মোহাম্মদপুরে সাতটি বাণিজ্যিক ফ্লোর, কাকরাইল ও বনানীতে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, ১০টি কার পার্কিং, খিলক্ষেতে এক বিঘার (৩৩ শতাংশ) একটি প্লট, ঢাকার বাড্ডা ও গাজীপুর সদরে পাঁচ কাঠা করে আরও দুটি প্লট ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একটি মামলার ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের বিশেষ জজ মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন এ নির্দেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দলিলে এসব সম্পদের মূল্য ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা দেখানো হলেও বাস্তবে এ সম্পদের মূল্য শতকোটি টাকার কম নয়। কারণ দলিলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তিন কাঠার দুটি প্লট অর্থাৎ ছয় কাঠার মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ৬১ হাজার টাকা। দুদক কর্মকর্তাদের তদন্তকালে এসব সম্পদের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে এসব সম্পদের মূল্য শতকোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা।
গতকাল এনামুলের ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের ১৩ নম্বর রোডের ৯৫৪ ও ৯৫৫ নম্বর প্লটের ওপর নির্মিত ৯ তলা ভবন, কাকরাইল মোড়সংলগ্ন আইরিশ নূরজাহান ভবনে ১ হাজার ১৭০ বর্গফুটের বাণিজ্যক ফ্লোর, একটি কার পার্কিংসহ ১ হাজার ৮৩৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, এর পাশেই বহুতল ভবন ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে কার পার্কিংসহ ১ হাজার ৯০০ ও ৩ হাজার ৮০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট, বনানীতে কার পার্কিংসহ ২ হাজার ৪২৮ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট।
এ ছাড়া মোহাম্মদপুরে সাড়া সন্ধানী লাইফ টাওয়ারে চারটি কার পার্কিংসহ ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের তিনটি বাণিজ্যিক ফ্লোর, পার্শ্ববর্তী সাড়া আফতাব টাওয়ারে তিনটি কার পার্কিংসহ ১২ হাজার বর্গফুটের তিনটি বাণিজ্যিক ফ্লোর, রাজধানীর খিলক্ষেতে ৩৩ শতাংশ বা এক বিঘার একটি প্লট, বাড্ডায় চার কাঠার একটি ও গাজীপুর সদরে পাঁচ কাঠার আরেকটি প্লট ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, অবৈধ উপায়ে ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩১ জুলাই মামলা করে দুদক। মামলার তদন্ত চলাকালে সম্প্রতি এসব সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন এনামুল। ফলে এই হস্তান্তর ঠেকাতে ক্রোকের আদেশ চাইল দুদক। শিগগিরই এসব সম্পদ তদারকির জন্য রিসিভার (তত্ত্বাবধায়ক) নিয়োগের আবেদন জানানো হবে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।