![অপহরণ-চাঁদা দাবির মামলায় দুই পুলিশসহ ৬ জনের কারাদণ্ড](uploads/2024/07/03/Sirajganj_adalot-1720015666.jpg)
সিরাজগঞ্জে অপহরণ ও চাঁদা চাওয়ার মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে দুটি পৃথক ধারায় ২১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২৫২ বস্তা পেঁয়াজসহ ট্রাক লুট এবং চালক ও হেলপারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। এ ছাড়া লুট হওয়া পেঁয়াজ কেনার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পৃথক ধারায় আসামিদের জরিমানা, অনাদায়ে বিনাশ্রম কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি পলাতক ছিলেন।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম আলী আহামেদ এই দণ্ডাদেশ দেন। সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক উপপরিদর্শক মো. মাইনুল হাসান, সলঙ্গা থানার সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক মতিউর রহমান খান, সলঙ্গা থানার পাটধারী গ্রামের মো. রেজাউল করিম ওরফে রনি, একই থানার হাসানপুর গ্রামের মো. সবুজ আলী ও বাগুন্দা (বাগদা) গ্রামের মো. আনিস ওরফে আনিস ড্রাইভার। দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের মো. সাব্বির আলম।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রাত ১০টার দিকে ২৫২ বস্তা ভারতীয় এলসির পেঁয়াজসহ একটি ট্রাক চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। ১১ জুলাই দুপুরের দিকে ওই ট্রাকের চালক মোরশেদ আলী ট্রাকের মালিক মো. মুজিবুর রহমানকে ফোনে জানান সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সমবায় পেট্রলপাম্পের কাছে হেলপারসহ তাকে আটক করেছে পুলিশ। একটি প্রাইভেট কারে তাদের তুলে নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। পরবর্তী সময়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ ট্রাকটি পরিত্যক্ত অবস্থায় শিয়ালকোল বিসিক এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ট্রাকের মালিক রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মো. মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সলঙ্গা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত চলাকালে সবুজ আলী নামে এক আসামি গ্রেপ্তার হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ বাকি আসামিদের নাম। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য মোট ১৫ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। সাক্ষ্য শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।