![২৯ ডিসেম্বর থেকে ভোটের মাঠে সেনা চেয়ে ইসির চিঠি](uploads/2023/12/18/1702907635.Army.jpg)
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েনে সশস্ত্র বাহিনীকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসির ওই চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে নির্বাচন কমিশন সব আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার সার্বিক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরে শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় সংসদ নির্বাচনে সব নির্বাচনী এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সহ) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের একটি করে অগ্রবর্তী টিম পাঠানো যেতে পারে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনের বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে। মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে নিম্নরূপ সহায়তা করবে।
ভোটের মাঠে যেভাবে থাকবে সেনাবাহিনী
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে। রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক মোতায়েন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।
ভোটের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম নেওয়া এবং মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা ইসিকে অবহিত করতে হবে। এ ছাড়া বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদামতো আইনানুগ কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা পরে জারি করা হবে।
এলিস/সালমান/