![ব্যালট ছাপানো শুরু, জেলায় যাবে ২৫ ডিসেম্বরের পর](uploads/2023/12/19/1702992060.Asok_Kumar.jpg)
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এবার ১২ কোটি ব্যালট পেপার ছাপানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জেলাপর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পাঠানো হবে এবং সেখানেই সংরক্ষণ করা হবে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পরপরই সংসদীয় ৩০০ আসনের প্রার্থীদের তালিকা আমরা পেয়েছি। ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো বাজেট নেই। এ পর্যায়ে চাহিদা অনুযায়ী ৩৩ কোটি টাকার কাগজ কেনা হয়েছে। সরকারি তিনটি প্রেসে চলছে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ। যেসব আসনে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, সেগুলো আগে ছাপানো হচ্ছে। তবে ৪০টির বেশি আসনে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় সেসব আসনের ব্যালট শেষের দিকে ছাপানো হবে। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ব্যালট পেপার মুদ্রণের সব কাজ শেষ করা হবে। জেলাপর্যায়ে পাঠানো ব্যালট পেপারগুলো প্রথমে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হবে। সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো এখন কী পর্যায়ে আছে, জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য যেসব উপকরণ লাগবে আমরা তার সবই পেয়ে গেছি। শুধু স্ট্যাম্পটা নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছায়নি, কারণ সেটা পরে পেয়েছি। তবে অন্যান্য সামগ্রী আগেই পৌঁছে গেছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে স্ট্যাম্পও পৌঁছে যাবে।’
এদিকে এবারই প্রথম ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বেশির ভাগ আসনে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। তবে পাহাড়ি ও দুর্গম কয়েকটি অঞ্চলে ব্যালট পাঠানো হবে ভোটের আগেই বা বিশেষ ব্যবস্থায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে এবার ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন। তাই নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনে ভোটার সংখ্যার সমান সংখ্যক ব্যালট পেপার ছাপানো হবে।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এবারের সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। গত ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর নির্বাচনে এবার বৈধ প্রার্থী ১ হাজার ৮৯৫ জন। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় আপিলকারীদের মধ্যে যারা বৈধতা পাবে, তারাও ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।