![বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে না আসায় মাঠের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে : ইসি আলমগীর](uploads/2023/12/24/1703419924.1703067128.EC-alamgir.jpg)
বিএনপির নির্বাচনে না আসা এবং ভোট প্রতিরোধী কর্মসূচির কারণে এবারে মাঠের পরিস্থিতি কিছুটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও কমিশন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে এলে ভোটের মাঠে আচরণবিধি নিয়ে ভারসাম্য বজায় থাকতো- এমন মন্তব্যও করেন তিনি। কারণ তারা না এসে নির্বাচনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনে বাধা দেওয়ার কার্যক্রম করে যাচ্ছে। এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনি ম্যানেজমেন্টের চেয়ে বড় একটা সময় ব্যয় করছে ভোট বিরোধীদের সামলাতে।
ইসি আলমগীর বলেন, এবার সব দল নির্বাচনে না আসলে এটাকে একতরফা ভোট বলা যাবে না। কেননা অনেকগুলো দল ভোটে অংশ নিয়েছে। তারা আসলে পরিবেশটা আরও ভালো হতো। যেখানে আমরা খুব সহজে পজেটিভ রেজাল্ট পেতাম। তবে কেউ যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন ভোট বর্জনের আহ্বান জানায়, তা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আহ্বান যে কেউ জানাতে পারে। তবে আইনে যেসব বিধিনিষেধ করা হয়েছে, সেগুলোই তারা করে যাচ্ছে- বাসে আগুন দিচ্ছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে।
প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচনি মনিটরিং কমিটি আছে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইসি থেকে কয়েকজনকে সরাসরি শোকজ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে একাধিকবার। কোনও ক্ষেত্রে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলা করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি।
মো. আলমগীর বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যেটা আছে, সেটাই করছি। কার প্রার্থিতা বাতিল করবো এটা তো অগ্রিম বলা যাবে না। রিপোর্ট কী, কী আছে সেগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা তো রিপোর্টই পাইনি ৷ রিপোর্ট আসলে, আমরা বসবো আলোচনা করে দেখবো। রিপোর্ট আসার পরে প্রার্থীর কথা শুনতে হবে। আইন অনুযায়ী তার বক্তব্যও নিতে হবে। যাচাই বাছাই করতে হবে, তারপর সিদ্ধান্ত।
নৌকার প্রার্থীদের মানানো যাচ্ছে না, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাঁড়াতে পারছে না এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, এই দাবিটা সঠিক না। নির্বাচনি ডামাডোলে সবাই এখন ব্যস্ত আছে। সব চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখি। নির্বাচনের আনন্দ সব জায়গায় দেখছি। ১৮শ'র ওপরে প্রার্থী। তাদের সমর্থক কত, ভোট কেন্দ্র কত? একটা আসনে তো আর একা না। সেখানে আরও অনেক সমর্থক আছে। গড়ে যদি আমরা ছয়জন বা সাতজন করে ধরি এবং তাহলে কিন্তু তাদের অনেক সমর্থক আছে। সেখানে টুকটাক ছোট ঘটনা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, একজন প্রার্থী আচরণবিধির কতটুকু ভঙ্গ করছেন, সেই মাত্রাটাও দেখতে হবে। বড় আচরণ ভঙ্গ করলে তার ছোট শাস্তি দেওয়া যাবে না। আর ছোট আচরণভঙ্গ করে তো বড় শাস্তি দেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশের সব নির্বাচনে এই ধরনের ঐতিহ্য আছে। এবারও ব্যতিক্রম না। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সব জায়গায় কঠিন বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আপনার একটু অপেক্ষা করেন, দেখতে পাবেন।
এলিস/এমএ/