![ছাত্রলীগের বাইরে কোনো নিয়োগ হবে না: চবি রেজিস্ট্রারকে ছাত্রলীগ](uploads/2024/03/21/1710997994.CUSL.jpg)
‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের বাইরে সাধারণ কোনো শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, ছাত্রলীগের বাইরে সব নিয়োগ বাতিল করতে হবে’। একটি ভিডিওতে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে বলা ছাত্রলীগের নেতাদের এমন বক্তব্য পাওয়া গেছে।
বুধবার (২০ মার্চ) চবির রেজিস্ট্রার অফিসের ভেতরে এমন ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদকের হাতে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, রেজিস্ট্রার অফিসের ভেতরে সহকারী প্রক্টরসহ আরও অনেকের উপস্থিতিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে শাসাতে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম। তিনি কম্পিউটার ল্যাব সহকারী হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ইয়াহিয়া টিপুকে দেখিয়ে বলতে থাকেন, ‘এখনো পেছনে বসে আছে ও। ও ছাত্রলীগ করে না। তবুও ওরে চাকরি দিয়েছেন। ওর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ খাইছে ভিসি ম্যাম (সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার)।’
একই গ্রুপের আরেক নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রিফাত রেজিস্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্রলীগ করেনি তাদের কোনো নিয়োগ হবে না। ছাত্রলীগের বাইরের সবার নিয়োগ ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগ দিলে সমস্যা নেই। ছাত্রলীগের চাকরি নেওয়ার অধিকার আছে। বাইরের পোলাপাইনের কী অধিকার?’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা হলেন একাকার গ্রুপের নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল, ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) আল আমিন শান্ত, রায়হান ও আশিব তানিম।
ঘটনার সময় রেজিস্ট্রার অফিসে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ, মোহাম্মদ রোকন উদ্দিনসহ কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার অফিসে এসে তারা (ছাত্রলীগ) এরকম আচরণ করেছে। যা আমার জন্য অপমানজনক। আমি তো তাদের নিয়োগ দিতে পারব না। নিয়োগ দেন উপাচার্য। তবুও তারা আমার এখানে এসে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে।’
বুধবার চবিতে নতুন উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ইয়াহিয়া টিপুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইয়াহিয়া টিপু বলেন, ‘আমার চাকরি হওয়ায় রেজিস্ট্রার অফিসে জয়েন করতে আসি। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমার গালে চড় মেরে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি ছাত্রলীগ করি কি না। আমি না বলাতে তারা আমাকে মারধর করেন।’