![ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের জামিন](uploads/2024/04/04/1712240539.mamunul haqkk.jpg)
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তবে জামিন শুনানির সময়ে মামুনুল হককে আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এদিন আসামির পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়নসহ অন্যান্য আইনজীবীরা মামুনুল হকের জামিনের পক্ষে শুনানি করলে আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
তিনি জানান, আসামিপক্ষ মামলাটির বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করার জন্য বারবার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করছে। এই পর্যন্ত তারা তিনদিন জেরা করেছে। আরও একদিন সময় চেয়েছে। রায় তাদের বিপক্ষে যাবে এজন্য তারা দেরি করছে। এ পর্যন্ত যারা স্বাক্ষী দিয়েছেন সকলেই মামুনুল এই ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেছেন। আদালত মামুনুর হককে জামিন দিয়েছেন তবে মামলাটির বিচারকার্য শেষের দিকে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মামুনুর হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আজ আদালতে আমরা জামিনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছি। মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট তুলে ধরেছি। আদালত আমাদের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী ও জেরা চলমান রয়েছে। গত ১৯ মার্চ একই আদালতের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সফেক্টর এস এম শফিকুল ইসলামকে তৃতীয় দফায় জেরা করা হয়। জেরা শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আরও একদিন জেরার করার জন্য সময় চাইলে আদালত আগামী ২৩ এপ্রিল পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। এ ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে ওই নারী জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে মামুনুল হক দাবি করেছিলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এমন দাবীর স্বপক্ষে মামুনুল হক এখনও পর্যন্ত কোন দালিলিক প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি।
বিল্লাল হোসাইন/এমএ/