ঢাকা ২৮ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০১:০০ এএম
মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়

তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময় পরিবর্তন, অ্যাসেম্বলি বন্ধসহ বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাপমাত্রা কমায় মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ক্লাস ও অন্যান্য কার্যক্রম।

সোমবার (৬ মে) মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ মে থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণিকার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে।

 

দরপত্রের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ এএম
দরপত্রের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহিত

সরকারি বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়নে দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে, এটা ভাঙতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রয় প্রক্রিয়ায় ‘পিপিএ-২০০৬’ এবং ‘পিপিআর-২০০৮’-এর বিধিবিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় নির্ধারণবিষয়ক সভা শেষে এ কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। এ কাজগুলোকে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাবমুক্ত করা যাচ্ছে না। যে মন্ত্রণালয়গুলোর বেশি কাজ থাকে, এখানে কোথায় কোথায় সংশোধন করা প্রয়োজন, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়।

তিনি বলেন, ‘কোনো কাজের সর্বনিম্ন একটা টাকা আমরা ঠিক করলাম। সর্বনিম্ন এ টাকার কথা গোপন থাকার কথা, কিন্তু সেটা প্রকাশ হয়ে যায়। তাই ঠিকাদাররা আর সেটার নিচে নামেন না। যেভাবে করে টেন্ডারিং চলছে, এটা একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। এটাকে ভাঙতে হবে। পাবলিক প্রক্রিয়ুরমেন্টের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় ব্যত্যয় আছে, কোথায় কোথায় সংযোজন-বিয়োজন করলে এই সিন্ডিকেট কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হবে, এটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার প্রক্রিয়াটা আজকে শুরু হলো। দেখা যাক কতদূর কী করা যায়। অনেক সময় প্রকল্পের সময় এবং ব্যয় বাড়ানো হয়। এতে অনেকে লাভবান হয়। সেই বিষয়গুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

উত্তরবঙ্গ ব্লকেডের হুঁশিয়ারি রংপুর-রাজশাহী থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ এএম
রংপুর-রাজশাহী থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবি
আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারে উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নিয়োগসহ তিন দফা দাবি তুলেছেন উত্তরবঙ্গের সাধারণ ছাত্র-জনতা। ছবি: সংগৃহিত

আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারে রংপুর-রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো থেকে উপদেষ্টা নিয়োগসহ তিন দফা দাবি তুলেছেন উত্তরবঙ্গের সাধারণ ছাত্র-জনতা। দাবি না মানলে উত্তরবঙ্গ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

 মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনে ৩ দফা দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।


সমাবেশে ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে যারাই সরকারে এসেছিল, তারাই উত্তরবঙ্গের মানুষকে বঞ্চিত করে শোষণ করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ স্বাধীনের পর নতুন সরকার গঠনের পরও আমাদের সঙ্গে বৈষম্যের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, এটি আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি।’


ব্লকেডের হুঁশিয়ারি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাবি শিক্ষার্থী মাহিন সরকার বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে কোনো উপদেষ্টা নেই। উত্তরবঙ্গের সন্তানরা কেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আসার সুযোগ পাবেন না? সচিবালয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে মাত্র ২ জন সচিব। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করেছি কিন্তু এর পরও বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। উপদেষ্টা নিয়োগে যারা বাড়াবাড়ি করছে, তাদের বলব যমুনা সেতু ব্লকেড দিয়ে পুরো উত্তরবঙ্গ ব্লক করে দেওয়া হবে। উপদেষ্টা পরিষদে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, মনে হচ্ছে এটি যেন চিটাগং ক্লাবে পরিণত হয়েছে।’


আরেক সমন্বয়ক আবু সাইদ লিয়ন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর থেকে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। আমরা শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের তিন ছাত্র উপদেষ্টার (আসিফ-নাহিদ-মাহফুজ) সঙ্গে বসব, সেখানে সমাধান না পেলে আমরা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কাছে সাহায্য চাইব। আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি কোনো সমাধান না পাই, আমরা উত্তরবঙ্গ ব্লকেডে চলে যাব।’


সমাবেশে ঢাবিসহ রাজধানীর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওই বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় তিন দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, সুষম উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগ থেকে কমপক্ষে ২ জন করে ৪ জন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে; সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমলা ও কর্মকর্তা নিয়োগে আঞ্চলিক বৈষম্য করা যাবে না। সেই সঙ্গে প্রত্যেক উপদেষ্টার কার্যক্রমের অগ্রগতি সাপ্তাহিক জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে; বিতর্কিত ও জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না, এমন কোনো উপদেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকারে রাখা যাবে না ও পলিসি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।


প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এই ২৪ জনের মধ্যে ১৪ জনের বাড়িই চট্টগ্রাম বিভাগে।

অপহরণের নাটক বাবার থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ এএম
বাবার থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা
ছবি: সংগৃহিত

অপহরণের নাটক সাজিয়ে আত্মগোপন করে বাবার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে ছেলেসহ দুজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণ নাটকের কথিত ভুক্তভোগী মো. মুছা শিকদার (২৮) ও তার সহযোগী মো. পারভেজকে (২০) ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ছনটেক এলাকা থেকে মুছা শিকদার নামে ওই যুবক নিখোঁজ হন বলে তার পরিবার জানতে পারে। পরে তার ভাই মাহাবুব আলম ২৬ অক্টোবর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি জিডি করেন। সেই হারানো জিডির ছায়া তদন্তে নেমে ডিবি পুলিশ রহস্য উদঘাটন করে মুছা ও তার সহযোগী পারভেজকে আটক করে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, মুছা শিকদার নারায়ণগঞ্জে একটি শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার ব্যক্তিগত ঋণ পরিশোধের জন্য কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন হলে কৌশলে বাবার কাছ থেকে সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি বের করেন। সেই অনুসারে মুছা নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজান। পরবর্তী সময়ে পূর্বপরিচিত পারভেজকে দিয়ে তার বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ মোটা অঙ্গের টাকা চাইতে থাকেন। এ ছাড়া টাকা না দিলে মুছাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ডিবি পুলিশ রহস্য উদঘাটন করেছে। আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গুলিস্তানে হকারদের ৫ শতাধিক ভ্যানগাড়ি জব্দ

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
গুলিস্তানে হকারদের ৫ শতাধিক ভ্যানগাড়ি জব্দ
গুলিস্তানে হকারদের ভ্যান গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর গুলিস্তানে শহিদ মতিউর পার্কে লুকিয়ে রাখা হকারদের পাঁচ শতাধিক ভ্যানগাড়ি জব্দ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এসব ভ্যান গাড়ির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এ সময় ওই এলাকায় সেনা বাহিনীর টহল দল ও থানা পুলিশের উপস্থিতি ছিল।

এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার খোন্দকার নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাস্তায় হকারদের ভ্যানগাড়ির দোকানের কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারে না। এ জন্য প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। গুলিস্তানে অভিযানে এসে তাৎক্ষণিক ওই জাতীয় কোনো ভ্যানগাড়ি দেখা যাচ্ছিল না। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় হকাররা তাদের গাড়িগুলো শহিদ মতিউর পার্কের ভেতরে লুকিয়ে রাখেন। মূলত এর আগে অভিযানের খবর পেলে তারা একই কায়দায় এ কাজটি করেছেন। অভিযান দল চলে গেলেই হকাররা আবারও রাস্তায় চলে আসতেন। এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় এবার ওই সব ভ্যানগাড়ি রাখার স্থানেই অভিযান চালানো হয়েছে। ভ্যানগাড়িগুলো সিটি করপোরেশন বাজেয়াপ্ত করেছে।’

ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল হাসান বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন বা লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি ও অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। তবে গত ২১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ‘ট্রাফিক পক্ষ’ ছিল। সেই ১৫ দিনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সাড়ে ২৪ হাজার গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যার মধ্যে অবৈধ গাড়ি পার্কিং, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রুট পারমিট ছাড়া গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ছিল।’

ঋণ একটি মানবাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ এএম
ঋণ একটি মানবাধিকার: প্রধান উপদেষ্টা
বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

ঋণ মানুষের অধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, ঋণ একটি মানবাধিকার। কারণ এটি মানুষের জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯-এর এক সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত না করে আপনি জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।’

সম্মেলনের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড যৌথভাবে ‘এ গ্লোবাল কনভারসেশন: অ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স ফর স্মল স্কেল ফার্মার্স’ শিরোনামের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। 

এতে নেদারল্যান্ডসের জলবায়ু দূত বোরবন-পারমার, ডাচ যুবরাজ জেইমি বার্নার্ডোও উপস্থিত ছিলেন। 

ডাচ যুবরাজ আলোকপাত করেন- যে কিভাবে ক্রেডিট, বীমা, বিনিয়োগ, গবেষণা এবং অর্থ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। তিনি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ কৃষকের এখন এই সহায়তার প্রয়োজনীতার ওপর জোর দেন। 

আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইভন পিন্টো বলেন, কৃষকদের ঋণ পাওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ধানের উৎপাদন বেড়েছে। 

ডাচ উদ্যোক্তা উন্নয়ন ব্যাংক এফএমও-এর পরিচালক জোরিম শ্রেভেন, ঋণ অধিকারের বিষয়ে প্রসারিত নৈতিক সমর্থনের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি জনগণের জানার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ফারহানা হক রহমান বলেন, বর্তমানে ৫৫০ মিলিয়ন ক্ষুদ্র পরিবারের কৃষক সারা বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষকে খাওয়াচ্ছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একজন কৃষককে ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি উদ্যোক্তা হতে পারেন। ‘প্রতিটি ব্যবসার জন্য অর্থ এবং বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।’

তিনি বলেন, ‘একজন কৃষক শুধু ফসল ফলায় না, বাজারে বিক্রিও করে। যদি তাকে ঋণের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি অন্য কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে এবং তার জীবনকে উন্নত করার জন্য বিক্রি করতে পারতেন।’  

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশগুলোকে গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল অনুসরণ করে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো উচিত, যাতে কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য করা যায়, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী। ‘প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত।’

তিনি প্রশংসা করে বলেন যে বর্তমানে সারা বিশ্বের অন্তত ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় একটি কোর্স হিসাবে সামাজিক ব্যবসা শেখাচ্ছে।

বাসস/অমিয়/