![৩ সেতু থেকে টোল এসেছে ১৪৭২ কোটি টাকা](uploads/2024/06/27/okjjjjkkk-1719489659.jpg)
গত এক বছরে পদ্মা সেতুসহ দেশের তিন সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে মোট ১ হাজার ৪৭২ কোটি ৫ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে নোয়াখালী-৩ আসনের এমপি মো. মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই তথ্য জানান।
সেতু মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ওই তিন সেতু থেকে গত বছরের জুলাই’২৩ থেকে জুন’২৪ পর্যন্ত এই টোল আদায় করা হয়। অন্য সেতু দুটি হলো- যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু ও ধলেশ্বরী নদীর উপর মুক্তারপুর সেতু।
ওবায়দুল কাদের জানান, ওই সেতুগুলোর মধ্যে- পদ্মা সেতু থেকে ৮১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর উদ্বোধনের পর থেকে চলতি বছরের ১৯ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহন থেকে মোট ১ হাজার ৬৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ৬৪৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু থেকে টোল আদায় করা হয় ১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
সেতু রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় ৪ হাজার ১৬৬টি সেতু রয়েছে। সেতুগুলো রক্ষণাবেক্ষণে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ১ হাজার ৯১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সেতুগুলো রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৩৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রতিদিন ৩ লাখ মানুষ মেট্রোরেলে চড়ছে
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণ নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বল সময়ে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুফল ভোগ করছে। প্রতিদিন ৩ লাখ মানুষ মেট্রোরেল ব্যবহার করছে। বিআরটি প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট এলাকাকে যানজটমুক্ত এবং সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আনতে ছয়টি স্থানে সাতটি ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করা হয়েছে। গাজীপুর চৌরাস্তায় আরেকটি ফ্লাইওভার আগামী আগস্ট নাগাদ শেষ হবে। গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ হলে এই সড়কে ট্রাফিকের চাপ কমে যাবে।
বাসরুট রেশনালাইজেশনের কাজ চলছে
রাজধানীতে বাস রুট রেশনালাইজেশন সম্পর্কে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন রঙের ৯টি ক্লাস্টার, ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে ৬টি ক্লাস্টার নগর পরিবহন ও ৩টি ক্লাস্টার শহরতলী পরিবহন।
২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে পরীক্ষামূলক ঢাকা নগর পরিবহন উদ্বোধন করা হয়। উক্ত সেবায় বিআরটিসির ৩০টি বাস চলছে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের অক্টোবরে ঘাটারটর-স্টাফ কোয়ার্টার ও ঘাটারচর-কমদতলী থানা রুটে নগর পরিবহন চালু করা হয়। বর্তমানে ঘাটারটর-স্টাফ কোয়ার্টার রুটটি বন্ধ রয়েছে। অপর রুটে ২৫টি দ্বিতল বাস চলছে। ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে ২৫টি বাস চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পরে ঘাটারচর- মিরপুর-উত্তরা দিয়াবাড়ি ও ঘাটারচর-খামারবাড়ি-দিয়াবাড়ি রুট দুটি চালু করা হবে। চলতি বছরের মধ্যে আরও দুটি রুটে বাস চালুসহ সবুজ ক্লাস্টার সম্পূর্ণরূপে চালু করা হবে।
এলিস/এমএ/