![খোকা থেকে জাতির পিতা হওয়ার গল্প তুলে ধরা হয়েছে অ্যানিমেশনে: পলক](uploads/2024/06/27/Zunayed_Ahmed_Polok-1719499327.jpg)
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন এবং উন্নত আধুনিক সোনার বাংলা গড়ার ভিত্তি রচনা করে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’র প্রিমিয়ার শোতে সাংবাদিকদের পলক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দুরন্ত কৈশোর, সংগ্রামী ছাত্রজীবনকে আমরা শিশু-কিশোরদের প্রিয় মাধ্যম অ্যানিমেশনে তুলে ধরেছি। প্রত্যন্ত অঞ্চল টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে কীভাবে বড় হয়ে ধীরে ধীরে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতায় পরিণত হলেন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ এবং আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক নেতৃত্বকে এই অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সহজ-সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম (৯৬ মিনিট) অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’র প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর স্টার সিনেপ্লেক্সে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের উদ্যোগে ১১ পর্বের এই অ্যানিমেশন সিরিজ নির্মাণ করা হয়। পুরো সিরিজটিকে একসঙ্গে করে অ্যানিমেশন ফিল্ম হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
পথশিশু এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যানিমেশন ফিল্মটি উপভোগ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া দুপুরে সংসদ সদস্যরা এবং বিকেলে একটি প্রদর্শনীতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা সিরিজটি উপভোগ করেন। দিনব্যাপী সিরিজটির মোট ৫টি প্রদর্শনী হয়।
‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই সিরিজ পরিচালনায় ছিলেন প্রোল্যান্সার স্টুডিওর সোহেল মোহাম্মদ রানা। প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন শেখ অলিদুর রহমান হীরা এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মার্স সলিউশনের কর্ণধার আইসিটি বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা, সংস্কৃতি ও সমাজকর্মী এম ই চৌধুরী শামীম ও লেখক দিলারা আফরোজ খান রুপা।
এই সিরিজে স্ক্রিপ্টের দায়িত্বে ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় নাট্যরচয়িতা ও নাট্যব্যক্তিত্ব মাসুম রেজাসহ পুলক রাহা, রতন সিদ্দিকি, শেখ সাদি, মিথুন হাসান প্রমুখ। গবেষণার দায়িত্বে ছিলেন সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশগুপ্ত। ভয়েস ডিরেকশনের দায়িত্বে ছিলেন রফিকুল সেলিম। লিড ক্যারেক্টার ডিজাইনার ছিলেন যাওয়াদ মাহমুদ।