![টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সরকারের অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী](uploads/2024/06/27/infokkk-1719500416.jpg)
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার এবং জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা তার বহির্প্রকাশ।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘ইউনাইটেড ইন প্রোগ্রেস: শেয়ারিং ন্যাশনাল এসডিজি’স কমিউনিকেশনস স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৪-২০৩০’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাগুলোর কার্যালয় (ইউএনওপিএস)-এর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক ইউনিট এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধারণা ও দর্শন হচ্ছে, শুধু উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হতে হবে টেকসই এবং সুষম। কারণ উন্নয়ন যদি টেকসই ও সুষম না হয়, তা হলে তা সত্যিকার অর্থে কাজে আসে না। টেকসই ও সুষম উন্নয়ন সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ আমাদের জাতীয় পরিকল্পনা কাঠামোতে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে একীভূত করা হয়েছে। এটি শুধু একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, এটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘এসডিজি বাস্তবায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করার উদ্যোগ সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই কৌশল এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাসমূহ স্থানীয় পর্যায়ে সম্পৃক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রতিটি নাগরিককে তাদের অবস্থান নির্বিশেষে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সচেতন ও সম্পৃক্ত করবে। এটি কাউকে পিছনে না রাখার জন্য সরকারের অঙ্গীকারের বহির্প্রকাশ।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল বাস্তবায়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ মন্ত্রণালয় সরকারের নীতি এবং জনগণের বোঝাপড়া ও অংশগ্রহণের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। মন্ত্রণালয়ের সম্পদ, নেটওয়ার্ক এবং প্ল্যাটফর্মগুলো কাজে লাগিয়ে এসডিজির বার্তাগুলো নগরকেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছানো আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এসডিজি এজেন্ডার সাফল্য জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি হলো একজন সচেতন এবং নিযুক্ত নাগরিক। যখন মানুষ এসডিজির তাৎপর্য এবং সেগুলো অর্জনে তাদের ভূমিকা বুঝতে পারে, তখন তারা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠে।’
এই অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) সম্পর্কিত প্রথম জাতীয় কমিউনিকেশনস স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৪-২০৩০ এর চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করা হয়। এটি উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয় (ইউএনওপিএস)-এর এসডিজি কমিউনিকেশনস সিনিয়র অফিসার নুসরাত আমিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহমেদ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।