ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

চসিকের ১৯৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
চসিকের ১৯৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ হাজার ৯৮১ কোটি ৫২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে নগরের নন্দনকাননে থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী এ বাজেট ঘোষণা করেন। 

নতুন অর্থবছরের বাজেটের পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চসিকের ১ হাজার ৬৬১ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেন মেয়র। ওই অর্থবছরে ১ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। চসিকের ইতিহাসে এবার বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে রেকর্ড ৮৮ শতাংশ।

বাজেট ঘোষণাকালে মেয়র চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক এবং স্মার্ট নগর হিসেবে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বর্তমান ও ভবিষ্যতের আলোকে, নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা করেন তিনি।

সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপনবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, আফরোজা কালাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিকের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এই শহরের আয়তন অনুসারে জনসংখ্যা বেশি। তাই সিটি করপোরেশনের আয়তন বাড়ানোর পরিকল্পনা তার রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশের নয়, এশিয়ার অর্থনৈতিকভাবে প্রতিশ্রুতিশীল দেশগুলোর মধ্যে একটি সম্ভাবনার জনপদ চট্টগ্রাম। ৬০ বর্গ মাইলের এই শহরের বাসিন্দা প্রায় ৭০ লক্ষাধিক। 

১০৭৫ কোটি টাকা দেনা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, গত ৩ বছরে তা কমিয়ে ৪৪০ কোটি টাকায় এনেছি। এ ছাড়া আয়কর ১১৩ কোটি টাকা ও মূল্য সংযোজন কর ১৩৪ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আনুতোষিক ও ভবিষ্যৎ তহবিল পরিশোধ করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে মেয়র বলেন, পানিপ্রবাহ সচল রাখার লক্ষ্যে নগরের সুন্নিয়া খাল, গুলজার খাল, নাসির, বির্জা, সৈয়দশাহ্, চাক্তাই ডাইভারশন খাল, কৃষি খাল ও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বড় নালা থেকে দুই লক্ষাধিক ঘন ফুট মাটি ও ভাসমান বর্জ্য উত্তোলন করে ডাম্পিং করা হয়েছে। রাস্তা-নালা-ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চলছে। নিউমার্কেট ও স্টেশন রোড এবং আগ্রাবাদ এলাকায় দীর্ঘদিনের ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদের মাধ্যমে নগরবাসীকে চলাফেরার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক ২৪৯০.৯৬ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। এয়ারপোর্ট রোড তথা শেখ হাসিনা সড়কের উন্নয়নের পাশাপাশি এয়ারপোর্ট মোড়ে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু ভার্টিক্যাল ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। বহদ্দারহাট বারইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খননে (২য় সংশোধিত) ১৩৬২.৬২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। চসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণে ১২৬৮.৮২৭১ কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া ২৬০ কোটি টাকার সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী-নিবাস নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সাতটি ১৪তলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্টের অর্থায়নে ২৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার ৮টি মাঠ উন্নয়ন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাত উন্নয়ন, বিভিন্ন সড়কের আলোকায়নসহ বেশ কিছু সড়ক উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। 

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন জুনে নির্বাচনি সহিংসতার শিকার ৪৯৪ জন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:২৩ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:২৭ এএম
জুনে নির্বাচনি সহিংসতার শিকার ৪৯৪ জন
প্রতীকী ছবি

জুন মাসে নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা উদ্বেগজনক। সব মিলিয়ে জুন মাসে নির্বাচনকে ঘিরে ৪৭টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। যে সব ঘটনার শিকার হয়েছেন ৪৯৪ জন মানুষ। এদের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) জুন মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে রবিবার (৩০ জুন) এ সব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি মনে করে, এক পাক্ষিক নির্বাচন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি জনজীবনকে আতঙ্কের মধ্যে রেখে সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করেছে সে বিষয়টি জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড জুন মাসে পরিলক্ষিত না হলেও সরকারদলীয় অভ্যন্তরীণ অন্তর্দ্বন্দের কারণে রাজনৈতিক সহিংসতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের কোন্দলের ২০টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৮৯ জন। এর মধ্যে ৪ জন নিহত  ও ১৮৫ জন আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বন্দুকযুদ্ধ, হেফাজতে মৃত্যু, পুলিশি নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অবিরত হুমকির সম্মুখিন হচ্ছেন। অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক হতাহতের মতো ঘটনা বন্ধ হয়নি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা  বিগত মাসের তুলনায় কিছুটা কমলেও এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার ও গণপিটুনির মত ঘটনায় হতাহতের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে যা মানবাধিকারের চরম লংঘন।

এমএসএফ মনে করে, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও আইনি পরিবেশ উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সব ধরনের সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও ভীতিকর পরিবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ত্বরিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। 

এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কর্তৃক গোলাগুলির ৫টি ঘটনা ঘটেছে। পাঁচটি গোলাগুলির ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ মাসে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ মাসে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১০টি নির্যাতন ও অপতৎপরতার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশের গুলিতে ৩ জন আহত, পুলিশি নির্যাতনে আহত হয়েছেন ৪ জন, হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ২ জন ও পুলিশ কর্তৃক শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে একটি।

এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে কারা হেফাজতে একজন কয়েদি আত্মহত্যাসহ মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এর সংখ্যা ছিল ১০ জন। 

এমএসএফ বলছে, জুন মাসে ১৬টি ঘটনায় ২৩ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত ও আক্রমণের শিকার হয়েছেন ৮ জন, হুমকির সম্মুখীন ২ জন, লাঞ্ছিত হয়েছেন ৪ জন এবং সংবাদ প্রকাশের জেরে ৩টি মামলা হয়েছে ৯ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। 

এমএসএফ এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, এ মাসে সাইবার নিরাপত্তা আইনে ৯টি মামলায় অভিযুক্ত ২০ জন ব্যক্তির মধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪ জন হিন্দু ধর্মাম্বলী যুবক যাদেরকে ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া, ১ জন এনজিও কর্মীকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি, ১ জন যুবককে ফেসবুকে অশ্লীল ছবি পোস্ট করার এবং ২ জন যুবককে দিনাজপুরে এসপির নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এমএসএফের সীমান্তে হত্যা ও পরিস্থিতি বিষয়ক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না বরং বেড়েই চলেছে। অপরদিকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তাদের অভ্যন্তরে ও বাংলাদেশ সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে ভয়াবহ অবস্থার তৈরি করে চলেছে। এমএসএফ কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী জুন ২০২৪ মাসে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক গুলিতে ২ জন নিহত, বাংলাদেশের অভ্যান্তরে ঢুকে ৩ জনসহ মোট ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন, বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে এক বাংলাদেশি কৃষককে শারীরিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করেছে। এছাড়া ভারতীয় খাসিয়াদের নির্যাতনে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তেরক্ষী বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটেই চলেছে ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকেরা উৎকন্ঠা ও আতংকে জীবনযাপন করছে।

এমএসএফ বলছে, এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ৪টি ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে ২৯৬টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যা গত মাসের তুলনায় ৩৩টি কম। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৪১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১১টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৩টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী।

তিথি/এমএ/

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও সরব হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৯ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৯ এএম
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও সরব হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
ছবি : খবরের কাগজ

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল না করায় আবারও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

গত ৫ জুন হাইকোর্ট ‘২০১৮ সালে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে’ অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসগুলো। আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত বাতিলে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা চারটি দাবি জানান। সেগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে)। এ ছাড়া সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

কবির/এমএ/

সাংবাদিকদের নিয়ে লায়লা কানিজের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি ডিইউজের

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:৪৩ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:৪৩ পিএম
সাংবাদিকদের নিয়ে লায়লা কানিজের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি ডিইউজের
ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকদের নিয়ে ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজের উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার এবং হীন বক্তব্যের জন্য তাকে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

রবিবার (৩০ জুন) এক বিবৃতিতে ডিইউজে এ আহ্বান জানায়।

সংগঠনটির সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও হীন উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই তারপর এসেছি। সব থেমে যাবে।’ তার এ হীন বক্তব্য সাংবাদিক সমাজকে মর্মাহত করেছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং একই সঙ্গে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

নেতারা বলেন, এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারবেন না’ লায়লা কানিজ। মতিউর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সাংবাদিকরা প্রকাশ করবেনই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাজে মন্তব্য করে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ থেকে সাংবাদিকদের বিরত রাখা যাবে না।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রকাশ্যে ও ঢালাওভাবে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার ওপর চরম আঘাত করেছে ও সমাজের কাছে সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি যে অন্যায় করেছেন তা ক্ষমাহীন। 

নেতারা বলেন, একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের কাজ অপরাধের শেকড় খুঁজে বের করা। তার প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য ও সত্যে গরমিল থাকলে যে কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে সেটি নিয়ে অভিযোগ তুলতে পারেন। তবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থেকে সাংবাদিকদের সম্পর্কে উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ছাঁটাই প্রস্তাবে আলোচনা শিক্ষাব্যবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি, এমপিদের কড়া সমালোচনা

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
শিক্ষাব্যবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি, এমপিদের কড়া সমালোচনা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্য লেগেই আছে। শিক্ষার দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। এমপিওভুক্তির জন্য টেবিলে টেবিলে টাকা দিতে হয়।’ তবে এমপিদের দুর্নীতির অভিযোগের কোনো সদুত্তর দেননি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রবিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মঞ্জুরি দাবির বিরুদ্ধে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় তারা এসব অভিযোগ করেন। 

বরিশাল-৪ আসনের এমপি পংকজ নাথ বলেন, ‘এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রশংসনীয়। তবে কুড়িগ্রামের চিলমারীর কেউ যদি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে নিয়োগ পান, তাহলে তিনি যোগদান করেন না। পার্বত্য এলাকায় তো আরও সমস্যা। এ কারণে শিক্ষক নিয়োগের পরেও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই নিয়োগটি অঞ্চলভিত্তিক করার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারদের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে।’

নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। টাকা ছাড়া কোনো শিক্ষক অবসর ভাতা পাচ্ছেন না। আমার শ্যালক শিক্ষক ছিল, মারা গেছে। আমি নিজে তিন বছর তদবির করলেও অবসর ভাতা পাইনি। টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। এটা সর্বগ্রাসী দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কারণে গোটা জাতি গ্রাস হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত বেকার যুবকরা আত্মহত্যা করছে।’

শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার মানের পরিবর্তন হয়নি। আমার নির্বাচনি এলাকায় একটি সরকারি বিদ্যালয়ে ৪৩টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। পাঠদান হয়নি পাঁচটিতে। সেখানকার ৪৩টি রুমের মধ্যে ১৫ থেকে ২০টি ব্যবহার হয়। বিষয়টা এমন- আমার পাকা বাড়ি, পাকা পায়খানা কিন্তু খাবার নেই। এই হচ্ছে আজকের শিক্ষার অবস্থা।’

সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘দূরবর্তী জায়গায় অনেকে যোগদান করে না, এটা ঠিক। তারপরও বিগত ছয় মাসে ৯৯ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। আমরা আইন সংশোধনের মাধ্যমে তা নিরসনের চেষ্টা করছি।’ 

এলিস/এমএ/

ঢাকা-রিয়াদ রাজনৈতিক সংলাপ সোমবার

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:২০ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:২০ পিএম
ঢাকা-রিয়াদ রাজনৈতিক সংলাপ সোমবার

ঢাকা-রিয়াদ দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই)। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপে রিজার্ভ সংকট কাটাতে সৌদি আরবের সহযোগিতা চাইতে পারে বাংলাদেশ।

যদিও সংলাপের লিখিত এজেন্ডায় রিজার্ভ সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে সহায়তা চাওয়ার প্রসঙ্গটি নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়েছেন। লিখিত এজেন্ডায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের বিষয়টির উল্লেখ আছে। এ ছাড়া আছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক নানা ইস্যু।

সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অন্যদিকে সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে থাকছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক, যুবরাজের বাংলাদেশ সফর, জনশক্তি রপ্তানি, বিনিয়োগ, সৌদি উন্নয়ন তহবিলের (এসএফডি) মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, যৌথ বিনিয়োগের প্রকল্প রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের বাইরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুও যেমন ফিলিস্তিন সংকট, মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি, ইয়েমেন পরিস্থিতি, পবিত্র মক্কা-মদিনাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হুতিদের হামলা, রোহিঙ্গা সংকট, ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।