শিশুশ্রম নিরসনবিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় কথা বলছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী
শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীতে শিশুশ্রম নিরসনবিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও অধিকার সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে সব শিল্পকারখানা রাষ্ট্রীয়করণ করেন, ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-তে যোগ দেন এবং তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আইএলওর সদস্যপদ লাভ করে। শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালেই শিশু নীতি প্রণয়ন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ শিশুশ্রম নির্মূলে অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে আইএলও কনভেনশন ১৩৮-এর আনুষ্ঠানিক অনুসমর্থন করেছে। আইএলও কনভেনশন, ইউএনসিআরসি, শ্রম আইন ২০০৬-সহ আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিশুশ্রম নিরসনে একটি জাতীয় নীতি অনুমোদন করা হয়েছে। ৪৩টি সেক্টরকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করার জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’
শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮৪.৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন (৪র্থ পর্যায়)’ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে ৬ মাস উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং চার মাস মেয়াদি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়েছে।” সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি শিশুশ্রম নিরসনে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব আলম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রহিম খান, ঢাকার উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কর্মশালায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওর প্রতিনিধি, শ্রমিক-মালিক পক্ষসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন/সালমান/