![শিশুদের নিরাপদ রাখতে যা বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)](uploads/2024/05/13/childreen-nn-1715574556.jpg)
ভালো চরিত্রের শিশু নির্মাণ করতে পারে সুন্দর পৃথিবী। শিশুকে সুন্দর ও ভালো চরিত্রে নির্মাণ করা অভিভাবকের নৈতিক দায়িত্ব। শিশুর জন্মের পর থেকে অভিভাবকের ওপর কিছু দায়িত্ব এসে পড়ে। জন্মের পর প্রথমত তার জন্য দুধপানের ব্যবস্থা করতে হবে। সুন্দর নাম রাখতে হবে। তাকে ভালোবাসতে হবে। দ্বীন শেখাতে হবে। মেধা বিকাশে যত্ন নিতে হবে। নামাজে অভ্যস্ত করতে হবে। তার সঙ্গে কখনো রূঢ় আচরণ করা যাবে না।
শিশুদের সব ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে ইসলাম। দৃশ্যমান অনেক ক্ষতিকর বস্তু থেকে মানুষ তার শিশুসন্তানদের রক্ষা করে; কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের অদেখা বস্তুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে আরও বেশি নিরাপত্তাবলয়ে রাখতে চান। অদেখা বলতে জিন-শয়তানের উদ্দেশ্য। এদের থেকে নিরাপদ থাকার উপায় অনেক। এর একটি হলো রাতের প্রথম প্রহরে বাচ্চাদের ঘরে রাখা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে, বা বলেছেন যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে, তখন তোমরা তোমাদের শিশুদের (ঘরে) আটকে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তাদের ছেড়ে দিতে পারো। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করবে এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না।’ (বুখারি, হাদিস: ৩১২৮)
সন্ধ্যাবেলায় শিশুদের ঘরের বাইরে রাখা যাবে না। তাদেরকে আদর-আপ্যায়নে ঘরে রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আর তোমরা ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখো, সন্ধ্যাবেলায় তোমাদের শিশুদের ঘরে আটকে রেখো। কেননা এ সময় জিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোনো কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে।’ (বুখারি, হাদিস: ৩১৩৮)
হাদিসগুলোর অর্থ হলো, শয়তানের দল রাতের প্রথম প্রহরে ছড়িয়ে পড়ে। মনে হচ্ছে দিনের বেলায় তাদের আনাগোনা সীমিত থাকে। আর তাই সূর্যাস্তে সময় তাদের তৎপরতা বেড়ে যায়। তাই এ মুহূর্তটি আশঙ্কাজনক। শিশুদের ওপর তারা চড়াও হতে পারে। এটি হতে পারে শিশুরা আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ থাকার কারণে অথবা তাদের গায়ে নাপাক লেগে থাকার কারণে। সুতরাং এই শঙ্কা থেকে শিশুদের বাঁচাতে প্রয়োজন রাত শুরু হতেই তাদের ঘরে রাখা। ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ করে রাখা। কারণ, বদ্ধ দুয়ার শয়তানরা খুলতে পারে না।
লেখক: আলেম ও সাংবাদিক