![বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার এক বছর](uploads/2023/12/18/1702873172.Argentina WC 1 Year.jpg)
টাইব্রেকারে গঞ্জালো মন্তিয়েলের সঠিক নিশানা। সঙ্গে সঙ্গে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে লুটিয়ে পড়েন লিওনেল মেসি। ফুটবল ভালোবাসুক কিংবা ভালো না বাসুক, সেই মুহূর্তে গোটে বিশ্ব ডুব দিয়েছিল আবেগে ভিজে ওঠা মেসির দুই চোখে। তার অশ্রুজলে ভেসে ওঠা বিশ্বকাপ জয়ের পরম আনন্দ প্রত্যেকে অনুভব করেছিল হৃদয় ভরে। সেই অনুভূতি ভারী করে তুলেছিল সবার চোখ। আনন্দের হাসি-কান্নায় আবেগের মহাসমুদ্রে ভাসার দিন আজ। গত বছর এই দিনেই বিশ্বকাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন বিশত-পরিহিত মেসি এবং তার দল আর্জেন্টিনা।
প্রত্যাবর্তনের দৃষ্টান্ত স্থাপনের মধ্য দিয়ে লা আলবিসেলেস্তেরা জন্ম দিয়েছে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের গল্প। মেসিরা আসর শুরু করেছিলেন সৌদি আরবের বিপক্ষে হার থেকে। তখন অনেকেই তাদের হাতে দেখছিল বাড়ি ফেরার টিকিট। তারাই শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছিলেন বিশ্বকাপ জয় করে বীরের বেশে। কাতার বিশ্বকাপে শুরুর হার ভুলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মেসিবাহিনী। একের পর এক জয়ে ওঠে ফাইনালে এবং গত আসরের ২০১৮ ডিসেম্বর শিরোপাধারী ফ্রান্সের বিপক্ষে আসে অবিস্মরণীয় জয়। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ৩-৩ সমতার পর বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত করেছিল টাইব্রেকার ৪-২ ব্যবধানে জিতে।
ফাইনালে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সেই সেভ (শেষ মুহূর্তে চৌমেনির শট রুখে দিয়েছিলেন) এখনো তাজা ভক্তদের হৃদয়ে। স্মৃতির পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে মেসির গোল্ডেন বল (টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হওয়ার) জয়ের গল্পও। বিশ্বজয়ের সেই রেশ লম্বা সময় ধরে টিকিয়ে রাখে আর্জেন্টাইনরা। হোম এবং অ্যাওয়েতে একাধিক ম্যাচে বিশ্বকাপের প্রতীকী ট্রফি নিয়ে উল্লাস করে ভক্তদের সঙ্গে। এমনকি ছন্দ ধরে রেখেছে মাঠের লড়াইয়ে। ইতোমধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপ মিশনে। লাতিন অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। ৬ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট জমা পড়েছে মেসিদের ঝুলিতে।
লা আলবিসেলেস্তেরা ফুটবল খেলতে পুনরায় মাঠে ফিরবে নতুন বছরে। কিন্তু তার আগে আজ বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার এক বছর পূর্তির দিন।