![শুরুর ধাক্কা সামলে ভারতের ১৭৬ রানের পুঁজি](uploads/2024/06/29/1st-Innings-1719677608.gif)
বিশ্বকাপজুড়ে বিরাট কোহলির অফ ফর্ম নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। সেই কোহলিই ফাইনালে হয়ে গেছেন ভারতের ব্যাটিংয়ের ত্রাণকর্তা। তার ও অক্ষর প্যাটেলের ৭২ রানের জুটিতে ব্যাটে ভর করেই শুরুর ধাক্কা সামলে ভারতের বোর্ডে সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৭৬ রান। কোহলির ব্যাটে আসে ৫৯ বলে ৭৬ রান। এই সংস্করণের ফাইনালে ভারতের সর্বোচ্চ স্কোর।
শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোসের কেন্সিংটন ওভালে ফাইনাল ম্যাচের শুরুটা দক্ষিণ আফ্রিকার হলেও সেই চাপ সামাল দিয়েছে স্কোরবোর্ডে ম্যাচ জেতার মতো পুঁজি সংগ্রহ করে ফেলেছে তারা।
ম্যাচের প্রথম ওভারে মার্কো জানসেনকে তিনটি চার মেরে ভারতের ইনিংসের গতি আনেন বিরাট কোহলি। পরের ওভারে কেশব মহারাজকে দুই বলে দুই চার মেরে সেই রানের চাকায় আরও গতি দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সেই ওভারের চতুর্থ বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্লাসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এক বল পর ঋষভ পন্তও আউট হন সুইপ করতে গিয়ে। তিনি ক্যাচ দেন উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কককে। ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত।
মাঠে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সূর্যকুমার যাদবও। কাগিসো রাবাদার বলে পুল করে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন হেনরিখ ক্লাসেনকে। তিনি করেন মাত্র ৩ রান। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। পাওয়ার প্লে শেষে ভারতের স্কোরবোর্ডে রান দাঁড়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান।
এরপর ওপরে ব্যাটিং করতে আসেন অক্ষর প্যাটেল। কুইন্টন ডি ককের থ্রোতে অপ্রত্যাশিত রানআউট হওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ৩১ বলে চারটি ছক্কা ও ১ চারে ৪৭ রান। তখনই ভাঙে কোহলির সঙ্গে তার ৭২ রানের জুটি। অক্ষরের বিদায়ে ১০৬ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। একপ্রান্ত আগলে রাখা কোহলি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩৮তম অর্ধশতক। মার্কো জানসেনের বলে আউট হওয়ার আগে ৫৯ বলে ৭৬ রান আসে তার ব্যাটে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ২ দুইটি ছয়ের মারে। তিনি আউট হন দলীয় ১৬৩ রানে। তার বিদায়ে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে ভারতের।
কোহলিকে সঙ্গ দিতে আসা শিভম দুবেও খেলেন ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ইনিংস। পুরো বিশ্বকাপে রান খরায় ভোগা দুবেও এদিন পান রানের দেখা। তিনি খেলেন ১৬ বলে ২৭ রাবের ক্যামিও। আউট হন আনরিখ নর্টজের বলে। ব্যাটিং অর্ডার সামলে নীচে ব্যাটিং করতে নামা হার্দিক পান্ডিয়া অপরাজিত থাকেন ২ বলে ৫ রান করে। ইনিংসের শেষ বলে ২ রান করে শেষ ওভারে নর্টজের বলে ক্যাচ দেন কেশব মহারাজকে। ফলে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ ও আনরিখ নর্টজে দুটি, কাগিসো রাবাদা ও মার্কো জানসেন নেন ১টি করে উইকেট।