ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে এগিয়ে যারা

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০৩:২২ পিএম
টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে এগিয়ে যারা
ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছেন ভারতের হিটম্যান খ্যাত ব্যাটার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সতীর্থ ওপেনার বিশ্বসেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি যেখানে রান খরায় ভুগছেন। একের পর এক ম্যাচে দলকে বিপদে রেখে দ্রুত আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন। সেখানে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে শুরুতেই ভালো একটা সূচনা এনে দিচ্ছেন রোহিত। এ কারণেই মূলত তাকে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে সবার আগে এগিয়ে রাখছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক-বোদ্ধা থেকে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিশেষ করে শেষ দুটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া (৯২ রান) এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (৫৭ রান) খেলা ইনিংস দুটি তাকে সবার থেকে আলাদাভাবে এগিয়ে রাখছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার সিঁড়ি। এরপর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিতের ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে ফাইনালের টিকিট পায় শিরোপা প্রত্যাশী ভারত।

চলতি বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ৩টি ফিফটিসহ ৪১ গড়ে মোট ২৪৮ রান সংগ্রহ করেছেন রোহিত শর্মা। স্ট্রাইকরেটটা দারুণ, ১৫৫.৯৭। বিশ্বকাপে এখনো এক ম্যাচ বাকি রোহিতের। ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচ খেলতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবেন রোহিতরা। এই ম্যাচেও তার কাছ থেকে দারুণ কিছুর প্রত্যাশা তার সমর্থকদের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বড়সড় একটা ইনিংস খেলতে পারলে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার নিশ্চিত হয়ে যাবে রোহিতের। তবে ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলে সেক্ষেত্রে সেরার দৌড়ে আর যারা এগিয়ে রয়েছেন তাদের পারফরম্যান্স তখন বিবেচনায় আসবে। বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে রোহিতের পাশাপাশি এগিয়ে রয়েছেন আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এবারের আসরে আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালে তুলে আনার পেছনে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন তিনি। ৮ ম্যাচে ৩৫.১২ গড়ে ২৮১ রান সংগ্রহ করেছেন। যা এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান। ৩ ফিফটিতে ১২৪ স্ট্রাইকরেটে রান তুলেছেন গুরবাজ। তার দল সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। ফাইনালে উঠতে পারলে গুরবাজেরও দারুণ সম্ভাবনা ছিল টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতার! তবে সেই সুযোগ যে একেবারে শেষ হয়ে গেছে তাও নয়। কারণ ফাইনাল ম্যাচ এখনো বাকি। সেই ম্যাচ শেষেই ফয়সালা হবে কে হচ্ছেন টুর্নামেন্ট সেরা?

এবারের আসরে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড (২৫৫ রান), আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান (২৩১ রান), ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান (২২৮ রান), যুক্তরাষ্ট্রের গাউস (২১৯ রান) কিংবা ইংল্যান্ডের দলপতি জস বাটলার (২১৪ রান) করলেও তাদের দল আসরের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় কিংবা সেমিফাইনালে না ওঠার দরুণ তাদের সেরা হওয়ার সম্ভাবনা আগেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। তবে ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের এখনো ভালো সুযোগ রয়েছে। আজ ভারতের বিপক্ষে শতরানের একটা ইনিংস ডি কককে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারে। কারণ ৭ ম্যাচে ইতোমধ্যে ১৪৩ স্ট্রাইকরেটে ২০৪ রান সংগ্রহ করেছেন এ প্রোটিয়া ওপেনার। ব্যাটিংয়ে ভারতের সূর্যকুমার যাদবকেও ভুলে গেলে চলবে না। কোহলি, রিশাভ পান্থদের ব্যর্থতার দিনে ভারতকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছেন এ মিডলঅর্ডার। ৭ ম্যাচে ১৩৭ স্টাইকরেটে ১৯৬ রান তুলেছেন সূর্যকুমার। ফাইনালে 
ঝলমলে একটা ইনিংস খেলে টুর্নামেন্ট সেরার কাতারে তারও চলে আসার দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। 

ব্যাটে-বলে ডাবল রোল-প্লে করে টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মারকাস স্টইনিসরাও। ৭ ম্যাচে ১৩৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৮ উইকেট শিকার করেছেন পান্ডিয়া। আজ ফাইনালেও সুযোগ থাকছে নিজেকে প্রমাণের। ভারতকে এবার দারুণ কিছু ইনিংস উপহার দিয়েছেন; প্রয়োজনের সময় কখনো ব্যাট হাতে কখনো আবার বল হাতে সেবা দিয়ে শিরোপার মঞ্চে তুলে এনেছেন হার্দিক। এদিকে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দারুণ একটা সুযোগ বলতে গেলে হাতছাড়া হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ান স্টয়নিসের। কারণ তার দল সেমির আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। তারপরও স্টয়নিসের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স তাকে এখনো আলোচনার টেবিলে রেখেছে। ৭ ম্যাচ খেলে ১৬৯ রান করার পাশাপাশি ১০ উইকেট শিকার করেছেন এ অজি স্টাইলিশ অলরাউন্ডার। স্টয়নিসও তাই টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতার দৌড়ে রয়েছেন।

বিশ্বকাপে এবার ব্যাটারদের চেয়ে ভালো করছেন বোলাররা। ২০২৪ যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপকে বোলারদের বিশ্বকাপ বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এবারের আসরে বল হাতে সবার আগে নাম রয়েছে আফগানিস্তানের পেসার ফজলহক ফারুকীর। ৮ ম্যাচে ৬.৩১ ইকোনমিরেটে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ৯ রানে ৫ উইকেট শিকার এই আসরে ফারুকীর সেরা বোলিং ইনিংস। টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে ফারুকীকে তাই এগিয়ে রাখতেই হচ্ছে। ভারতের তরুণ পেসার অর্শদ্বীপ সিং ১৫ উইকেট নিয়ে ফারুকীর গায়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলছেন। ফাইনাল ম্যাচে দারুণ বোলিং করলে অর্শদ্বীপেরও সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দারুণ সুযোগ থাকছে। এ ছাড়া বল হাতে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান (১৪ উইকেট), বাংলাদেশি অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন (১৪ উইকেট), আফগান পেসার নাভিন-উল-হক (১৩ উইকেট) দখল করলেও তাদের সেরা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ১৩ উইকেট শিকার করা ভারতের আরেক পেসার জসপ্রিত বুমরাহ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার এনরিচ নর্টজে (১৩ উইকেট), কাগিসো রাবাদাদের (১২ উইকেট) টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। ফাইনাল ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স এখনো বাকি রয়েছে।

আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ মৌসুমটাই আইপিএলে দিনেশ কার্তিকের শেষ ছিল। এরপর ধারাভাষ্যকের ভূমিকায় দেখা যায় সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হলেন তিনি।

কোচ হওয়ার খবরে ৩৯ বছর বয়সী কার্তিক বলেছেন, ‘বিষয়টা দারুণ যে আমি বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। চেষ্টা করব দলকে আরও শক্তিশালী করার। পেশা হিসেবে আমার কাছে কোচিং খুবই রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার। জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে আমি সত্যিই খুবই রোমাঞ্চিত। আশা করি খেলোয়াড় হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা সেটা দলের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব। এই দলের ব্যাটিং বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে আমার তর সইছে না।’

ভারতের হয়ে ওয়ানডে ও টেস্ট দলে তার অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০০৬ সালে। খেলোয়াড়ি জীবন চলমান অবস্থাতেই তিনি ধারাভাষ্যকক্ষে বিচরণ শুরু করেন। ২০২১ সালে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে। একই ভূমিকায় ছিলেন দ্য হান্ড্রেডেও।

জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্তিক। খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন ১টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২টি এশিয়া কাপ। 

বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আইসিসির শিরোপা খরা কাটিয়েছে ভারত। এই জয়ে ভারত ক্রিকেট দলকে পুরস্কৃত করেছে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। যে পুরস্কার আইসিসি হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের চেয়েও বেশি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত। টুর্নামেন্টজুড়ে এই দলটি ব্যতিক্রমী প্রতিভা, দৃঢ়তা ও স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সবাইকে অসামান্য অর্জনের জন্য অভিনন্দন।’

এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আইসিসি থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজ মানি পাচ্ছে ভারত। ভার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি ৪২ লাখ রুপি।

এছাড়া সুপার এইট পর্যন্ত ৬ ম্যাচ জেতায় তারা আরও ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৪ ডলার পাচ্ছে। আইসিসি ও বিসিসিআই হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থসহ মোট দেড় কোটি রুপি পেয়েছে ভারত। আর রানার্সআপ হয়ে ১২ লাখ টাকা ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। 

কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নেতৃত্ব হারান বাবর আজম। কিন্তু, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘুরেফিরে সেই বাবরের কাছেই পাকিস্তান আরেকবার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। তাতেও লাভ হয়নি, এবারও ভরাডুবি হয়েছে দলটির। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। এরপর থেকে আবারও শুরু হয়েছে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা। আরেকবার শঙ্কায় তার নেতৃত্ব।

পাকিস্তান ক্রিকেটে তার অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত নিয়ে এখনও কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটে তাকে খেলতে হবে সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ানের অধীনে। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ভ্যানকুবার নাইটসের হয়ে খেলবেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেখানে রিজওয়ানের নেতৃত্বে খেলতে হবে বাবরকে।

রিজওয়ানকে অধিনায়ক ঘোষণা করে ফ্র্যাঞ্চাইজটি জানিয়েছে, ‘গ্লোবাল টি-২০ এর চতুর্থ সিজনের জন্য ভ্যানকুভার নাইটস অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম ঘোষণা করছে। তার অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতা আর দক্ষ উইকেটকিপিং দিয়ে তিনি আমাদের জয়ের পথে নিয়ে যেতে তৈরি। তৈরি হও নাইটসরা!’

দলটিতে সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তানের অন্য দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলীকে। 

ডেথ ওভারের কিং বুমরাহ

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:২০ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
ডেথ ওভারের কিং বুমরাহ
ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো জিতেই যেত। তাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৩০ রান। তখনো ৫ ওভার বাকি। হাতে রয়েছে ৬টি উইকেট। এমন ম্যাচেও তারা হেরেছে। আর হারের দ্বারপ্রান্তে থাকা ভারত জয় পেয়েছে ৭ রানে। ভারতের এমন জয়ে অনন্য অবদান রেখেছেন জসপ্রিত বুমরাহ। শেষ ৫ ওভারের মধ্যে দুই ওভার হাত ঘুরান বুমরাহ। মাত্র ৬ রান দিয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন ১ উইকেট। তাতে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

শুধু ফাইনাল ম্যাচেই নয়। এবার বিশ্বকাপে ভারতের প্রায় সব প্রতিপক্ষ ডেথ ওভারে বুমরাহর ছোবলে দিশেহারা হয়েছে। তাতে ‘ডেথ ওভারের কিং’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন এই ফাস্ট বোলার।

বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত ১৭৭ রানের টার্গেট দেয়। ডি ককের পর ক্লাসেনের ব্যাট আশার আলো দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫তম ওভার শেষে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল মাত্র ৩০ রান। অথচ শুধু ১৫তম ওভারেই ২৪ রান নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে জয়টি যেন শুধু সময়ের ব্যাপার ছিল। ভারতের সমর্থকদের কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ। হয়তো ফের ফাইনালে হেরে যাচ্ছে তারা।

তবে ১৬তম ওভারেই বুমরাহর হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৬ বলে মাত্র ৪ রান দিয়ে রান-বলের ব্যবধান বৃদ্ধি করেন বুমরাহ। ফের ১৮তম ওভারে বুমরাহকে নিয়ে আসেন রোহিত। এই ওভারেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্নের কবর রচনা করেন। শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ওভারটিতে মাত্র ২ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। তাতে শেষ ২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার হয় ২০ রানের। বলে বলে যেখানে রান হলে জয় নিশ্চিত, সেখানে এমন ব্যবধানেই যেন হকচকিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ১২ বলে তারা ১১ রান নিতে পারলেও আগের ঘাটতি আর পূরণ করতে পারেনি।

বুমরাহর বোলিং ছোবল শুধু ফাইনালেই নয়। টুর্নামেন্ট শুরুই করেছেন প্রতিপক্ষকে লণ্ডভণ্ড করে। প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৬ ওভারে অল আউট করতে বড় অবদান রাখেন তিনি। ৩ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট। তাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি। এরপর ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে হারায় ভারত। সেই ম্যাচে মাত্র ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার বুমরাহ হন ম্যাচসেরা। এবারের বিশ্বকাপের চমক আফগানিস্তানও ‘কিং বুমরাহ’র ছোবল থেকে রেহাই পায়নি। সুপার এইট পর্বের ম্যাচটিতে বুমরাহর রেকর্ড অনন্য। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে একটি মেডেনসহ তিনটি উইকেট নেন ডানহাতি পেসার। ম্যাচটা ৪৭ রানে জিতে ভারত। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষেও কম রান দেন তিনি। ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৩ রান। তুলে নেন দুটি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাই স্কোরিং ম্যাচেও আলো ছড়ান। ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া বুমরাহর করা ১৭তম ওভারে মাত্র ৫ রান নিতে পারে। যার ব্যাটে স্বপ্ন আঁকছিল অজিরা, সেই ট্রাভিস হেডের উইকেটটাও নেন বুমরাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২.৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বুমরাহ। আর ফাইনালের গল্পটা এখনো সবার মনে তাজা হয়েই থাকার কথা। সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছেন বুমরাহ। এমন সাফল্যের রহস্য হিসেবে বলেছেন নিজেকে শান্ত রাখা, ‘আমি শান্ত রাখতে চেষ্টা করি।’ বিশ্বকাপ জয়কে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমার ছেলে, আমার পরিবার আছে এখানে। আমরা এটা অর্জন করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। এর চেয়ে আনন্দের কিছু নেই।’

ইউরোর কোয়ার্টারে স্পেন-ইংল্যান্ড

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
ইউরোর কোয়ার্টারে স্পেন-ইংল্যান্ড
ছবি : সংগৃহীত

ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্পেন ও ইংল্যান্ড। নবাগত জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেওয়ার রাতেই জুড বেলিংহামের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টারে জায়গা করে নিয়েছে বাদ পড়তে যাওয়া ইংল্যান্ড।

রবিবার (৩০ জুন) শেষ ষোলোর দিনের প্রথম ম্যাচে স্পেনের গতিময় ফুটবলের কাছে জর্জিয়া বিধ্বস্ত হয়েছে ৪-১ ব্যবধানে হেরে ইউরো থেকে বিদায় নিয়েছে পর্তুগালকে হারানো জর্জিয়া।

যদিও স্পেনের শুরুটা হয়েছিল ১৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে। অথচ গ্রুপ পর্বে কোনো গোলই হজম করতে হয়নি এই স্পেনকে। সেই গোলে জর্জিয়া এগিয়ে গেলেও ম্যাচের ফলাফল এসেছে স্পেনের দিকেই। ৩৯ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরানো গোলটি করেন রদ্রি, ৫১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ফাবিয়ান রুইস, ৭৫ মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের গোলের পর চতুর্থ গোলটি করেন দানি ওলমো ৮৩ মিনিটে।

এদিকে, স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার হয়ে চলছিল অতিরিক্ত সময়ের খেলা। তখনও ১-০ গোলে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। প্রায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান জুড বেলিংহাম। তার গোলেই সমতায় ফেরে ইংলিশরা।

অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ এক গল্প লিখে ইংল্যান্ড পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।