গেল বুধবারে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার জ্যাক গ্রিলিশের বাসা থেকে ১৪কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেসময় তিনি এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠের লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সে ম্যাচ সিটি জিতলেও ম্যাচ জয়ের আনন্দ করতে পারেননি গ্রিলিশ চুরির ঘটনায়। বাসায় লুটপাটের ঘটনায় পাওয়া মানসিক আঘাতে বিধ্বস্ত অবস্থায় আছেন তিনি।
এভারটনে বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচে গ্রিলিশের বাসায় চুরির ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়। দ্যা সানের দেওয়া তথ্যমতে চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও ঘড়ির বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি টাকা।
মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়া গ্রিলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে লিখেন, ‘আমার পরিবারই আমার পৃথিবী। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই হতে পারেনা আমার কাছে। আমি কতোটা বিধ্বস্ত তা বলে বোঝাতে পারবো না।’
তার স্ত্রী সাশা অ্যাটউড, মা–বাবা, দুই বোন এবং ভাই উপস্থিত ছিলেন। ম্যাচ দেখার সময় হুট করে তারা ওপরের তলায় হট্টগোল ও কুকুরের চিৎকার শুনতে পান। শব্দ শুনে গ্রিলিশের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে ‘প্যানিক বাটন’ চাপ দেন। এরপর লুকিয়ে পড়েন দ্রুত।
একটি, কুকুর এবং হেলিকপ্টার দ্বারা পুলিশ অনুসন্ধান চালালেও তারা কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজে পায়নি।
এমন ঘটনায় ব্যাথিত হয়ে গ্রিলিশ বলেন, ‘এটি আমাদের সকলের জন্য একটি বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা। আমি খুব কৃতজ্ঞ যে কেউ আহত হয়নি। গত ১২ মাসে আমি অনেক দারুণ অভিজ্ঞতা পেয়েছি এবং অনেককিছু অর্জন করেছি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, ফুটবল ক্যারিয়ারে আমার সেরা বছরটি এখন আর আমি উদযাপন করতে পারি এমনটা মনে হয়না।’
এই অপরাধের সাথে যারা জড়িত তারা সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে ধারণা রাখেনা এবং তাদের বিচারের দাবি রেখে ম্যানসিটির এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘যারা এই ভয়ানক অপরাধ করে তারা জনগণের জীবনের ক্ষতির কোন ধারণা রাখে না। আমি আশা করি তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে যাতে অন্য কোন পরিবারকে আমাদের যা আছে তার মধ্য দিয়ে যেতে না হয়।’