![শুধুই ক্যাচ মিসের আক্ষেপ](uploads/2024/04/01/1711945991.Catch-Miss.jpg)
‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’- ক্রিকেটের চিরায়ত প্রবাদ! চট্টগ্রাম টেস্ট এখনো হাতছাড়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে ফিল্ডারদের একের পর এক ক্যাচ মিসে শ্রীলঙ্কা ওঠে গেছে রান পাহাড়ে। একটা নয়, দুটো নয়; চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক ফিল্ডারদের হাতছাড়া হয়েছে সাত সাতটা ক্যাচ। শুধু কী ক্যাচ হাতছাড়া? না, রান আউটের সুযোগও মিস করেছে বাংলাদেশ। একের পর এক বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে স্কোরবোর্ডে শ্রীলঙ্কা যোগ করে ৫৩১ রান। এত ক্যাচ হাতছাড়া হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশ শিবিরে যে চিন্তার ভাঁজ তৈরি করেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। চিন্তার খোরাক আরও বাড়াতে পারে স্লিপে তিন তিনটি ক্যাচ মিসের ঘটনা।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ক্যাচ মিস করে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। স্লিপে ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম দিনের তৃতীয় সেশনে শাহাদাত হোসেন দিপু একই জায়গায় ধরতে ব্যর্থ হন আরও একটি ক্যাচ। স্লিপে প্রথম দিনের এই ভুল খানিকটা মানা যায়। তবে গতকাল চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে স্লিপে প্রবাথ জয়াসুরিয়ার ক্যাচ মিসের ঘটনা তো বিস্ময়কর। প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্ত, দ্বিতীয় স্লিপে থাকা শাহাদাত হোসেন দিপু ও তৃতীয় স্লিপে থাকা জাকির হাসান মিলে ছাড়েন জয়াসুরিয়ার ক্যাচ। অথচ খালেদ আহমেদের করা বলে জয়াসুরিয়ার তুলে দেওয়া ক্যাচ বেশ সহজই ছিল প্রথম স্লিপে থাকা শান্তর জন্য।
পরে আরও একবার জীবন পান জয়াসুরিয়া। শেষ পর্যন্ত ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। অন্যদিকে জীবন পেয়ে ইনিংস বড় না করার ব্যর্থতা আছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসেরও। একবার জীবন পাওয়া ম্যাথিউস আউট হন মাত্র ২৩ রানে। জীবন পেয়ে অন্য লঙ্কান ব্যাটাররা অবশ্য ভুল করেননি। জীবন পাওয়া চার লঙ্কান ব্যাটারই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। তাদের ওই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে ৫৩১ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। তবে সেঞ্চুরি দেখা না পাওয়ার আক্ষেপ থাকতে পারে দুই মেন্ডিসের। কুশল ৯৩ রানে আউট হন আর সঙ্গীর অভাবে ৯২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে হয় কামিন্দুর। ব্যক্তিগত আক্ষেপ থাকলেও দলীয় সংগ্রহ যে পাহাড়সম হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রথম দিন শেষে ফিল্ডিংয়ে চার ক্যাচ মিসের পর বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস বলেন, ‘আমরা এটা (ক্যাচিং) নিয়ে কাজ করছি। তারা (ফিল্ডার) তাদের কাজ করেছে, কিন্তু তবুও মিস হয়েছে। আমাদের কাজ (ক্যাচ অনুশীলন) চালিয়ে যেতে হবে।’ তার ওই কথারও পর দ্বিতীয় দিনের চিত্রও বদলায়নি। উল্টো আরও হাস্যকরভাবে ক্যাচ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। যার কোনো ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন।
স্লিপে হাস্যকর ওই ভুলের পরও শিষ্যদের পক্ষে থাকছেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। তার কথায়, ‘স্লিপে ফিল্ডিং করা কঠিন কাজ। আগে থেকে ধারণা করতে হয় এবং প্রত্যাশা থাকে। আপনি আশা করবেন প্রত্যেকটা বল আসবে। না হলে মানসিকতা ঠিক থাকবে না, এটা জীবনকে কঠিন করে দিবে। আপনি যত অনুশীলন করবেন, তত ভালো সুযোগ থাকবে ম্যাচে।’ ম্যাচে সাত সাতটি ক্যাচ মিস নিয়ে হেম্প বলেন, ‘আমরা অস্বীকার করতে পারব না এটা (ক্যাচ মিস) ঘটছে। আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। বোলাররা যখন সুযোগ তৈরি করে তখন সেটা আমাদের নেওয়া উচিত।’