![‘সব বাবা- মা চায় তার ছেলে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে’](uploads/2024/05/22/Tanzid-Tamim-1716368797.jpg)
২০২৩ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তানজিদ হাসান তামিমের। এরপর তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দলে জায়গা পেয়েছিলেন যুব বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও আছেন তিনি।
জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য বনে যাওয়া তামিমের মা-বাবাও চেয়েছিলেন তাদের ছেলে যেন ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের নেওয়া সাক্ষাৎকার ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছে বিসিবি। সেখানেই এই কথা বলেন তিনি।
বুধবার (২২ মে) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড: দ্য টাইগার্স অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে তামিমের সাক্ষাৎকার। যেখানে তিনি বলেন, ‘সব বাবা-মা চায় তার ছেলে পড়াশুনা করে বড় কিছু হবে। ডাক্তার হবে বা ইঞ্জিনিয়ার হবে, আমার বাবা-মাও ছোটবেলায় সেই স্বপ্নটা দেখেছিল। সে লক্ষ্যে গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে আসছিল পড়াশোনা করার জন্য এবং জিলা স্কুলে এডমিশন নিয়ে পড়াশোনা করি।’
জাতীয় দলের অন্যসব ক্রিকেটারের মতো তামিমও খেলার প্রতি ঝোঁক থেকে অবসর সময় পেলেই তা ব্যয় করতেন খেলার পেছনে। তবে লেখাপড়ার যাতে করে ক্ষতি না হয় তাই কিছু শর্ত পূরণ করলেই তামিমকে খেলতে দিতেন তার মা।
মায়ের সেই শর্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘খেলার প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল, যখনই ছুটি পেতাম সেই সময়ে খেলাধুলা করতাম। বাসায় অনেক প্রাইভেট টিচার আসতো এবং স্কুলের পড়া থাকতো, তারপর রাতেও টিচার আসতো। তো সময় পাওয়াটা খুব কঠিন হয়ে যায়। আম্মু আমাকে বলতো স্কুল থেকে আসার পর স্যারদের পড়াটা শেষ করতে পারলে বিকেলে খেলার সুযোগ দেবে। আম্মু একটা কথাই বলতো পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারলে একাডেমিতে (ক্রিকেট) ভর্তি করিয়ে দিবে। তো এসব শর্ত পূরণ করলে আম্মু খেলতে দিত।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে একাদশে না থাকলেও বিপিএলের এবারের আসরে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। এরপর জিম্বাবুয়ে সিরিজেও দারুণ করেন তিনি। ১৬০ রান করে হয়েছেন সিরিজের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।