ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

হাসতে ও গান গাইতে পারে ওপেনএআইয়ের নতুন এআই মডেল

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৫ মে ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
হাসতে ও গান গাইতে পারে ওপেনএআইয়ের নতুন এআই মডেল

প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন তোলা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই ‘জিপিটি-৪ও’ নামে নতুন এআই মডেল উন্মোচন করেছে। এই নতুন মডেল যেকোনো ধরনের অডিও, ভিশন ও টেক্সট একসঙ্গে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে, আবার তিনটিই ফরম্যাটে আউটপুট দিতে পারে। প্রতিষ্ঠাটির দাবি, জিপিটি-৪ও মডেল মানুষের মতো কথা বলতে, হাসতে, গান গাইতে ও দেখতে পারে। এটি মানুষ ও কম্পিউটারের মধ্যে বাস্তবসম্মত মিথস্ক্রিয়ার অনেক বেশি কাছাকাছি। এই মডেল মানুষের অনুভূতি শনাক্ত করতে পারে, কারও কথা বলার মাঝখানে বাধা দেয় ও কথোপকথনের সময় মানুষের মতো প্রায় দ্রুত সাড়া দেয়।
গত সোমবার ১৩ মে বিশেষ আয়োজনে এই নতুন মডেল নিয়ে হাজির হয় প্রতিষ্ঠানটি। এই অনুষ্ঠানে ওপেনএআইয়ের সিটিও মিরা মুরতি জানান, ‘জিপিটি-৪ও-এর বিশেষ দিক হলো এটি সবার জন্য, এমনকি আমাদের বিনামূল্যে ব্যবহারকারীদের জন্যও ‘জিপিটি-৪ লেভেলের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আসছে। ব্যবহারের সহজলতার ক্ষেত্রে এটি আমাদের বড় ধরনের প্রথম পদক্ষেপ।’
ওপেনএআই ডটকম থেকে সরাসরি সম্প্রচার চলাকালীন, এই নতুন মডেল ইংরেজি ও ইতালিয়ান ভাষা অনুবাদ করছে। আবার একজন গবেষককে কাগজে একটি রৈখিক সমীকরণ সমাধানে সহায়তা করছে। এ ছাড়া কেবল শ্বাস শোনার মাধ্যমে আরেকজন ওপেনএআই নির্বাহীকে শ্বাস নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। জিপিটি-৪ও মডেলের ‘ও’ অক্ষরটি মডেলের মাল্টিমোডাল সক্ষমতাকে বুঝায়। ওপেনএআই জানিয়েছে, জিপিটি-৪ও মডেলকে অডিও, ভিশন ও টেক্সটের ওপর প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। যার মানে সব ইনপুট ও আউটপুট একই নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠানটির আগের এআই মডেল জিপিটি-৩.৫ ও জিপিটি-৪-এর থেকে আলাদা। এই মডেলগুলো কেবল চ্যাটবট হিসেবে কাজ করেছে।
ওপেনএআই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিনামূল্যে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীসহ সবার জন্য নতুন মডেলটি উন্মুক্ত করবে। আয়োজনটিতে প্রাথমিকভাবে ম্যাকের জন্য চ্যাটজিপিটির একটি ডেস্কটপ সংস্করণও প্রকাশ করছে। সূত্র: এনগ্যাজেট

ওপেনএআইয়ের এআইভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন সার্চজিপিটি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
ওপেনএআইয়ের এআইভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন সার্চজিপিটি
সার্চ ইঞ্জিন সার্চজিপিটি। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক আমেরিকান প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এআই নির্ভর সার্চ ইঞ্জিন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। এই সার্চ ইঞ্জিনের নাম ‘সার্চজিপিটি’। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এই সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে আসার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে গুগল ও পারপ্লেক্সিটিসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামল ওপেনএআই।

প্রথম ধাপে সীমিত সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য প্রোটোটাইপ হিসেবে চালু হবে নতুন সার্চ ইঞ্জিন সার্চজিপিটি। পরবর্তীতে এটি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এই এআই চালিত সার্চ ইঞ্জিন ইন্টারনেটের বিশাল তথ্যভাণ্ডার থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করবে।

সার্চ ইঞ্জিনে একটি বড় টেক্সট বক্স থাকবে। যেখানে ব্যবহারকারী কোনো বিষয়ে জানাতে চাইতে পারবেন। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তালিকা দেওয়ার পরিবর্তে সার্চজিপিটি সেই তথ্যগুলোকে সাজিয়ে বোধগম্যভাবে উপস্থাপন করবে। ওপেনএআইয়ের একটি উদাহরণে দেখা যায়, সার্চ ইঞ্জিনটি সঙ্গীত উৎসব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, সে সম্পর্কিত তথ্য সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরে এবং এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ইভেন্টের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়। এ ছাড়া সেখানে উৎসব সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করেছে।

আরেকটি উদাহরণে টমেটো গাছের চারা কখন রোপণ করা হবে, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এখানে টমেটো গাছের চারা রোপণের সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়। এরপর বিভিন্ন ধরনের টমেটো সম্পর্কে তথ্য দেয়। 

কোনো বিষয়ে ব্যবহারকারী প্রশ্নের উত্তর জানার পর আরও প্রশ্ন করতে পারবেন। অথবা সাইডবারে ক্লিক করে সংশ্লিষ্ট লিঙ্কগুলোর মাধ্যমে ওয়েব সাইটগুলোতে ঢুকতে পারবেন। এ ছাড়া ‘ভিজ্যুয়াল অ্যানসারস’ নামে একটি ফিচার রয়েছে, যার বিস্তারিত তথ্য ওপেনএআই প্রকাশ করেনি।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জকে চ্যাটজিপিটির মুখপাত্র কায়লা উড বলেন, সার্চজিপিটি এখনো প্রোটোটাইপ বা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এই সার্চ ইঞ্জিন জিপিটি-ফোর মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রথম ধাপে মাত্র ১০ হাজার ব্যবহারকারীর জন্য পরীক্ষামূলক উন্মোচন করা হবে।

উড আরও বলেন, থার্ড পার্টি অংশীদারত্বদের সঙ্গে কাজ করছে ওপেনএআই এবং সার্চ ফলাফল তৈরির জন্য সরাসরি কনটেন্ট ফিড ব্যবহার করবে সার্চ ইঞ্জিনটি। চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ফলাফলগুলো একত্রিত করাই কোম্পানিটির চূড়ান্ত লক্ষ্য।ss

হুয়াওয়ের প্রথম ট্রাই-ফোল্ডিং ফোন আসতে পারে দুই মাসের মধ্যে

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
হুয়াওয়ের প্রথম ট্রাই-ফোল্ডিং ফোন আসতে পারে দুই মাসের মধ্যে

চীনা প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে আবারও ফোল্ডেবল অর্থাৎ ভাঁজযোগ্য ডিসপ্লের স্মার্টফোনের বাজারে দাপট দেখাতে চলছে। গণমাধ্যমে গুঞ্জন রয়েছে বিশ্বের প্রথম ট্রাই-ফোল্ডিং বা তিন ভাঁজযোগ্য ডিসপ্লের স্মার্টফোন আনতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোর ‘ফিক্সড ফোকাস ডিজিটাল’ নামে পরিচিত এক টিপস্টারের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গিজমোচায়না জানিয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে এই ফোন বাজারে আসতে পারে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, এই আসন্ন ফোল্ডেবল ফোন ব্যয়বহুল হবে। সীমিত সংখ্যায় এ স্মার্টফোনট উৎপাদন করবে হুয়াওয়ে। সূত্রের তথ্যমতে, হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের বাজার দখলের চেয়ে বরং উদ্ভাবনী পণ্যের শক্ত অবস্থান জানান দিতেই আনতে চলেছে এই ট্রাই-ফোল্ডিং।

নতুন ও উদ্ভাবনী পণ্যের দাম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। তবে প্রযুক্তির পরিপূর্ণ উন্নতি ও উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ট্রাই-ফোল্ডিং ফোনটি আগামীতে আইপ্যাড ও বর্তমান ফোল্ডেবল ফোনের বিকল্প হতে পারে। তবে দেখার বিষয় এটি সেই জায়গা দখল করতে পারে কি না।
ফোনের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। তবে চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা গেছে, ফোনটির মোট স্ক্রিনের আকার প্রায় ১০ ইঞ্চি হবে। এই ফোনে আলাদা তিনটি স্ক্রিন থাকবে। এ ছাড়া ফোল্ডেবল ফোনের স্ক্রিনে ভাঁজের সমস্যা থাকে, তবে এই ফোনে সেটির উন্নত হবে বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া আসন্ন ট্রাই-ফোল্ডিং ফোনের বিষয়ে আর কিছু জানা যায়নি। তবে হুয়াওয়ে অনেক দিন ধরেই ডিসপ্লে তিন ভাঁজ করা যায় এমন ফোন নিয়ে কাজ করছে। তারা ২০২১ সাল থেকে এই প্রযুক্তির জন্য পেটেন্ট করতে শুরু করে। এরপর ২০২২ সালে আরও কিছু পেটেন্ট করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে করা আরেকটি পেটেন্টে দেখা গেছে, একটি ট্রাই-ফোল্ডিং ফোনে দুটি হিঞ্জ ও একটি নমনীয় স্ক্রিন আছে, যা বাইরের দিকে ভাঁজ হয়।

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের ডিজাইনসহ উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে যোগ করতে কাজ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি এবার ট্রাই-ফোল্ডিং বা ডিসপ্লে তিন ভাঁজ করা যায়- এমন স্মার্টফোন বাজারে আনতে চলেছে। ডিভাইসটি ভাঁজ করা অবস্থায় ইংরেজি ‘জেড’ অক্ষরের মতো দেখাবে। ভাঁজের জন্য ডিভাইসে আলাদা দুটি হিঞ্জ সিস্টেম থাকবে। এ ডিভাইসের অন্যতম একটি ফিচার হলো দ্বিতীয় হিঞ্জে থাকা ডিসপ্লেটি বাইরের দিকেও খোলা যাবে। ফলে ডিভাইস ভাঁজ করা থাকলেও ডিসপ্লের তৃতীয় অংশটি পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে।

 

নতুন স্পেসস্যুটে ৫ মিনিটে মূত্র পানযোগ্য পানিতে রূপান্তর

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
নতুন স্পেসস্যুটে ৫ মিনিটে মূত্র পানযোগ্য পানিতে রূপান্তর
ছবি: সংগৃহীত

মহাকাশযাত্রীদের পানির সমস্যা দূর হচ্ছে। আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মহাকাশে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। গবেষকরা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে মূত্র থেকে পানযোগ্য পানি ফিল্টার করতে সক্ষম, এমন একটি প্রোটোটাইপ ফিল্টারেশন সিস্টেম উন্মোচন করেছেন। এর ফলে ভবিষ্যতে নাসার মিশনে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীরা তাদের স্পেসস্যুটের ভেতরে রিসাইকেল করা মূত্র থেকে পানযোগ্য পানি পান করতে পারবেন।

জনপ্রিয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনির সিরিজ ‘ডুন’-এর ‘স্টিলস্যুট’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই স্পেসস্যুট তৈরি করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর মানুষকে আবার চাঁদের মাটিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামে স্পেসস্যুটটি ব্যবহার করা হতে পারে।

বর্তমানে স্পেসস্যুট পরে মহাকাশচারীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অস্বস্তিকর ও অস্বাস্থ্যকর ডায়াপারের মতো পোশাক পরতে হয়। তবে নতুন এই সিস্টেম অসমোসিস প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মূত্র থেকে দূষিত পদার্থগুলো আলাদা করে তা পানযোগ্য পানিতে রূপান্তরিত করে।

ওয়েইল কর্নেল মেডিসিন ও কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা সোফিয়া এটলিন বলেন, ‘এই নকশায় একটি ভ্যাকুয়াম-ভিত্তিক বাহ্যিক ক্যাথেটার রয়েছে, যা একটি কম্বাইন্ড ফরোয়ার্ড-রিভার্স অসমোসিস ইউনিটের সঙ্গে সংযুক্ত। এটি মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অবিরাম পানযোগ্য পানি সরবরাহ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে মহাকাশচারীদের স্পেসস্যুটের পানীয় ব্যাগে মাত্র এক লিটার পানি থাকে। এটি পরিকল্পিত ও দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্র অভিযানের জন্য যথেষ্ট নয়; যা দশ ঘণ্টা, এমনকি জরুরি পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।’ গবেষকরা এখন বাস্তব মহাকাশ মিশনে এটি ব্যবহার করার আগে সিমুলেটেড মাইক্রোগ্রাভিটি পরিস্থিতিতে ডিজাইনটি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছেন।

গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন স্পেস টেকনোলজি’ জার্নালে নতুন স্পেসস্যুটের ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এক গবেষণাপত্রে। গবেষকরা গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘মহাকাশযানের বাইরে কার্যকলাপ চলাকালে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, কর্মক্ষমতা ও কাজের দক্ষতার ক্ষেত্রে মহাকাশযাত্রীদের সমস্যার সমাধানে, আমরা পরবর্তী প্রজন্মের স্পেসস্যুটের জন্য নতুনভাবে মূত্র সংগ্রহ এবং ফিল্টারেশন সিস্টেম ডিজাইন করেছি।’

 

কনটেন্ট খাতে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিচ্ছে ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
কনটেন্ট খাতে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিচ্ছে ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস
সংগৃহীত

আজকের ডিজিটাল যুগে শিশুদের অনলাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের ক্ষতিকর বিষয়বস্তু, সাইবার বুলিং ও অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহারের মতো অনলাইন ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস এমন একটি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সফটওয়্যার, যা তৈরি করেছে রুশ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাব। 

সম্প্রতি অনুপযুক্ত কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে অসাধারণ কার্যকারিতার জন্য টেস্টিং প্রতিষ্ঠান এভি-টেস্ট ও এভি-কম্পারেটিভস অনুমোদনপ্রাপ্তির সনদ পেয়েছে ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস। উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট সফলভাবে ব্লকিংয়ের ক্ষেত্রে এই সল্যুশন শতভাগ এবং ৯৮ দশমিক ১ শতাংশ সফল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি বাচ্চাদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস অনলাইনের বিপজ্জনক বিষয়গুলো ব্লক করে দেয় খুব সহজেই।

এভি-টেস্টের ইতিহাসে এটিই ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট ব্লক করার মতো কার্যকর সল্যুশন হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। এ ছাড়া এভি-কম্পারেটিভসের গবেষণায় ২০১৯, ২০২১ এবং ২০২২ সালের ধারাবাহিকতায় এবারও ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে শীর্ষ রয়েছে।  

উভয় প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা পরিচালনা করেছে। এভি-টেস্ট  প্রোডাক্টের ব্লকিং সক্ষমতা যাচাই করতে, বিশ্বের ছয়টি ভাষায় ৭ হাজার ৫০০টি ওয়েবসাইটে থাকা ১৩টি ক্যাটাগরির কনটেন্টের মাধ্যমে তাদের প্যারেন্টার কন্ট্রোল সল্যুশনকে যাচাই করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে সহিংসতামূলক, অস্ত্র ও প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট সম্পর্কিত ইত্যাদি ক্যাটাগরি। এভি-কম্পারেটিভস ১ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের ওয়েবসাইট ও ১০০টি শিশুর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সল্যুশনটি পরীক্ষা করেছে, যা ৯৮ শতাংশ ওয়েবসাইট শনাক্তকরণে সফল হয়েছে।

ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস অ্যাডাল্ট কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছে। উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে এর হার শতভাগ। ২০২১ ও ২০২৩ সালের মতো এবারও ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই সফলতা অর্জন করেছে। একই সঙ্গে এই সল্যুশন সহিংসতামূলক ও বেটিং ওয়েবসাইটের মতো অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্যাটাগরির কনটেন্ট ব্লকিংয়ের ক্ষেত্রেও গড়ে ৯২ দশমিক ২০ শতাংশ সফলতা দেখিয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস অ্যাডাল্ট কনটেন্টের ক্ষেত্রে ৯৯ দশমিক ০৯ শতাংশ ব্লকিং রেট প্রদর্শন করেছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোতে ক্ষতিকর ওয়েবসাইট ব্লকিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও সময় সীমিতকরণসহ ক্যাসপারস্কি সল্যুশনের মূল কার্যকারিতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

দেশে অপোর এআই ফিচারের রেনো১২ সিরিজ

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
দেশে অপোর এআই ফিচারের রেনো১২ সিরিজ
ছবি: সংগৃহীত

চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো বাংলাদেশের বাজারে এনেছে ‘অপো রেনো১২’ সিরিজ। গত বুধবার রাজধানীর এক কনভেনশন সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সিরিজের ঘোষণা করে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি। এর আগে কোম্পানিটি চলতি বছরের মে মাসে চীনা স্মার্টফোন বাজারে এই সিরিজ উন্মোচন করেছে।

অপোর উন্মোচিত নতুন রেনো১২ সিরিজে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর ফিচার। একই সঙ্গে ফোনটিতে রয়েছে অসাধারণ ইমেজিং প্রযুক্তি। ফোনটির উন্নত এআইয়ের সুবিধা ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী সহজেই ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। ধরুন আপনি হয়তো কোথাও একটি গ্রুপ ছবি তুলছেন। এর মধ্যে একজন পথচারীর ছবি উঠে গেল। রেনো১২ সিরিজের এআই ইরেজার ছবির অনাকাঙ্ক্ষিত অংশকে কয়েক ক্লিকেই মুছে দিতে পারে। কোনো ছবিতে আপনার চোখ বন্ধ অবস্থায় থাকলে ফোনটির এআই ম্যাজিক স্টুডিও ফিচারের মাধ্যমে তা খুলে দেওয়া যায় সহজেই। কোনো ছবিতে যদি একজন বন্ধু বা শিশুর ছবি যোগ করতে চাইলে, ফোনটির এআই ম্যাপিং ফিচারের মাধ্যমে সেটাও করা সম্ভব।

দুর্বল সিগন্যাল, নেটওয়ার্ক কনজেশন ও শব্দ আটকে যাওয়ার সমস্যাগুলো দূর করতে অপোর তৈরি এআই লিঙ্কবুস্ট ফুল-লিঙ্ক নেটওয়ার্ক ডেটা ট্রান্সমিশন ইঞ্জিনটি ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ও অন্যান্য প্রযুক্তিকে সমন্বয় করতে পারে। কোথাও মোবাইলের সিগন্যাল না থাকলেও ফোনটির বিকনলিঙ্ক ফিচার ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেবে। এতে রয়েছে আইপি৬৫ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট সুবিধা। পাশাপাশি স্প্ল্যাশ টাচ ফিচারটি হাত ভেজা থাকলেও ফোনের স্ক্রিনকে রাখবে পুরোপুরি সক্রিয়।  ‘রেনো১২ এফ-এ’ ফোনে ৪৫ ওয়াট সুপারভুকসহ ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে। 

৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ সুবিধার ‘রেনো১২ এফ’ ফোনের দাম ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকা, ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজের রেনো১২ এফ ৫জি ফোনের দাম ৪২ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ১২ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি স্টোরেজের রেনো১২ ফোনের দাম পড়বে ৪৯ হাজার ৯৯০ টাকা।

গ্রাহকরা ১০ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত অপো রেনো১২ এফ (৮ জিবি+২৫৬ জিবি) প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। ফোনটি ১৮ জুলাই থেকে বাজারে পাওয়া যাবে।

/আবরার জাহিন