![পাবনায় আ. লীগ ও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা](uploads/2024/01/03/1704263330.pabna BCL.jpg)
পাবনার নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পাবনার ৪নং আমলী আদালত এবং রাতে চাটমোহর থানায় মামলা দুটি করা হয়।
আসামিরা হলেন- ভাঙ্গুড়া উপজেলার মণ্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু ও পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তিনি নিজে বাদী হয়ে মিন্টুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতের বিচারক ফারহানা ইয়ামীম মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি আসামি নুর ইসলাম মিন্টুকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর উপজেলার মল্লিকচক গ্রামে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় মণ্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা নুর ইসলাম মিন্টু বক্তব্য দেন, ‘ভোট হবে একমাত্র নৌকার, এর বাইরে কোনো লোক বা অ্যাজেন্ট থাকবে না। আফসারের সাঙ্গোপাঙ্গদের হাড়-হাড্ডি ভেঙে এলাকা থেকে শেষ করে দিবেন’ মর্মে হুমকি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।
এদিকে গত ২ ডিসেম্বর চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পথসভায় মিজানুর রহমান সবুজ ‘পাবনা-৩ আসনে মকবুল চাচা ছাড়া কেউ ভোট করতে পারবে না। যারা নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান করবে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম’ মর্মে হুমকি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।
তাদের এই বক্তব্য সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ১১ (ক)-এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার প্রেক্ষিতে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহারের নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মো. আব্দুছ ছালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশে মামলার এজাহার দেন ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা খবরের কাগজকে বলেন, ‘মামলা হয়েছে। মামলা নং ৬। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।’
এ বিষয়ে নুর ইসলাম মিন্টুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জেনেছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনগতভাবেই আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করব। আর এই মামলা প্রমাণ করে এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
পার্থ হাসান/জোবাইদা/অমিয়/