![শীত জেঁকে বসেছে লালমনিরহাটে](uploads/2024/01/04/1704358773.lalmonirhat.jpg)
শীত মৌসুমের শেষদিকে এসে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে। শীত মৌসুম বিদায়ের আগে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং কনকনে হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় ও সকাল নয়টায় জেলার তাপমাত্রা ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শিগগিরই তাপমাত্রা ঊর্ধ্বগতি হলেও এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এবং বৃষ্টির দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গত সপ্তাহে জেলায় মৃদু ঠান্ডা অনুভুত হলেও এই সপ্তাহ থেকে ঠান্ডা বেড়েই চলেছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা উষ্ণ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে কমছে তাপমাত্রা। রাতে তা গিয়ে ঠেকছে আরও কমে। আর তার সঙ্গে রয়েছে কুয়াশা। কিন্তু দুদিন ধরে চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সকাল হয়ে দুপুর গড়ালেও সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে তাপমাত্রার পারদ উঠছে না। ফলে শীতে কাবু হতে হচ্ছে মানুষদের।
এদিকে রাতের বেলা ঘন কুয়াশার ফলে বিভিন্ন যানবাহন অতিরিক্ত লাইট লাগিয়ে চলাচল করছে, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। অনেক গাড়িই রঙিন নিয়ন লাইট লাগিয়ে চলাচল করছে।
লালমনিরহাটের চলমান এই আবহাওয়ার ওঠানামায় শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এ শীত। শিশুদের সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রভাব দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও বয়স্ক রোগীদের শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে জেলার চার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সদর হাসপাতালে এসব রোগীর ভিড় বেড়েছে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা বেশি ভর্তি হচ্ছেন। যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমলাবাড়ি ইউনিয়নের আমেনা বেগম বলেন, ‘আমার দুই বছরের ছেলে কয়েকদিন ধরে সর্দিকাশিতে ভুগছে। তাই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। নিউমোনিয়া যাতে না হয় সেজন্য খুব সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’
জেলার আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন এলাকার কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘দুই দিন ধরে সূর্য উঠছে না। ফলে খেতে কাজ করতে পারছি না। বেশি শীত হলে ফসলের ক্ষতি হবে।’
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘দুদিন ধরে তাপমাত্রা কমছে। তবে দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। এ মাসের মধ্য থেকে শেষ দিন পর্যন্ত আবারও একটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।’