![গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ, ৮ কারখানা ছুটি](uploads/2024/01/08/1704719874.Garments_Gazipur.jpg)
গাজীপুরের টঙ্গীতে দুটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর আন্দোলন এড়াতে পাশের ৬ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে পোশাকশ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামোতে পাওনা পরিশোধের দাবিতে টঙ্গীর বিসিক এলাকায় একই মালিকানাধীন সুমি অ্যাপারেলস লিমিটেড ও দিশারী ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড কারখানায় শ্রমিক সন্তোষ দেখা দেয়। এ ঘটনার পর আন্দোলন ঠেকাতে দুপুর ১২টার দিকে পাশের ত্রিভলী অ্যাপারেলস লিমিটেড, জিন্স অ্যান্ড পোলো, রেডিসন গার্মেন্টস লিমিটেড, আরবিএস ফ্যাশন অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেলিসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পেট্রিয়ট ইকো গার্মেন্টস লিমিটেড নামের ৬ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৯ এপ্রিল গঠিত ন্যূনতম মজুরি বোর্ডে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদের দাবি অনুযায়ী গেজেটে পোশাকশ্রমিকদের গ্রেড সংখ্যা সাত থেকে কমিয়ে পাঁচ করা হয়। গত ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর এবং জানুয়ারিতে নতুন কাঠামোয় পোশাকশ্রমিকরা বেতন পাওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কারখানা দুটির মালিক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেননি।
কারখানা দুটির কয়েক হাজার শ্রমিক গত শনিবার কাজে যোগ দিয়ে ডিসেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করার দাবি জানান। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ নতুন মজুরি কাঠামোতে বেতন পরিশোধ করতে পারবে না বলে জানায়। পরদিন রবিবার জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ছিল। সোমবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে প্রধান ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
কয়েকজন শ্রমিক জানান, কারখানা দুটি একই মালিকের। শনিবার নতুন মজুরি কাঠামোতে বেতন পরিশোধের দাবি জানালে কারখানার মালিক তাতে রাজি হননি। আজ সকালে কারখানায় কাজে যোগ দিতে এলে মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পান তারা। বেলা ২টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পাশের ছয়টি কারখানার শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে অনুরোধ করেন। এরপর ওই ছয় কারখানার কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারখানা দুটির বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দুপুর ১টার দিকে ঢাকার বিজিএমইএ ভবনে চলে যান।