ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামে পোশাকশ্রমিক আন্দোলন এক কারখানায় বেতন বৃদ্ধির খবরে ১০ কারখানা উত্তাল

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০১ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
এক কারখানায় বেতন বৃদ্ধির খবরে ১০ কারখানা উত্তাল
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম ইপিজেডের এক পোশাক কারখানায় বেতন বৃদ্ধির খবরে আন্দোলনে নামেন ১০ কারখানার শ্রমিকরা। গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার কাজ বন্ধ রেখে লাগাতার বিক্ষোভ করেন ওই সব কারখানার শ্রমিকরা। ওই সময় তারা তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানান।

জানা যায়, বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি ‘ইয়ংওয়ান’ তাদের শ্রমিকদের বোনাস হিসেবে গড়ে সাড়ে চার হাজার টাকা বেতন বাড়ায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের কারখানার শ্রমিকরা একই হারে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। 

গত বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শ্রমিক জানান, সরকারনির্ধারিত বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক শ্রমিক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন একদম নতুন শ্রমিকরা। যারা সম্প্রতি চাকরিতে যোগদান করেছেন তাদের বেতন এক লাফে ৪ হাজার টাকা বেড়ে গেছে।

ফোর এইচ গ্রুপের শ্রমিক রোমানা আক্তার বলেন, ‘নতুন যেসব শ্রমিক ৮ হাজার ৫০০ টাকায় চাকরিতে প্রবেশ করেছেন, তাদের বেতন এক লাফে বৃদ্ধি পেয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা হয়ে গেছে। কিন্তু পুরোনো যেসব শ্রমিক আগে থেকেই ১০ থেকে ১১ হাজার বেতন পেতেন, নতুনদের মতোই এখন তাদেরও বেতন হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। সে হিসাবে নতুনদের বেতন বেড়েছে ৪ হাজার টাকা। আর পুরোনোদের বেতন বেড়েছে কম। অথচ তাদের ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা বেতন এক দিনে হয়নি। কয়েক বছর ইনক্রিমেন্ট পাওয়ার পর তারা ওই বেতন পেয়েছেন। কিন্তু এখন পুরোনো ও নতুন শ্রমিকদের বেতন একই হয়ে গেল। তার মধ্যে কারও কারও বেতন বাড়েইনি। এতে জ্যেষ্ঠ এবং দক্ষ কর্মীদের মাঝে কিছুটা চাপা অসন্তোষ আগে থেকেই ছিল।  ইয়ংওয়ান কারখানায় সব শ্রমিকের সমান বেতন বৃদ্ধির খবর শুনে আশপাশের কারখানার শ্রমিকদের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ হতে শুরু করে। তারা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে গাড়ি অবরোধ করেন। এসব কারণে এ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দাবি হচ্ছে, সরকারনির্ধারিত বেতনের সঙ্গে পুরোনো শ্রমিকদের বেতন কমপক্ষে আরও ৪ হাজার টাকা বৃদ্ধি করতে হবে। এটা যেন ৪ হাজার টাকার কম না হয়।’ 

সিইপিজেড, কেইপিজেডসহ আশপাশের মোট ১০টি কারখানায় আন্দোলন হয়েছে। এর মধ্যে আছে ইপিজেড মেরিম কু লিমিটেড, এইচ কে ডি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, আরএসবি ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, কেনপার্ক, প্রিমিয়ার গার্মেন্টস লিমিটেড, প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সীতাকুণ্ডে প্যাসিফিক নিটেক্স লিমিটেড, কর্ণফুলীতে ফোর এইচ টেক্সটাইল, স্মার্ট জিন্স ও এনএসটি ফ্যাশন।

এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার ক্লিপটন গ্রুপের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মহি উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পোশাকশ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি সরকার কর্তৃক সমাধানকৃত। এ ইস্যুতে পুনরায় আন্দোলন হওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের ন্যায্য হিসাবমতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বাড়িয়ে বেতন সমন্বয় করেছি। শ্রমিকরা এই সমন্বয়ের বিষয়টি ৪ হাজার টাকা বৃদ্ধি চাইছে। যা মেনে নিয়ে কারখানা চালানো সম্ভব হবে না। পোশাক কারখানার মালিকরা গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন ঋণে জর্জরিত। অনেক কারখানা বন্ধের পথে।’ 

এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী গতকাল খবরের কাগজকে বলেন, এ পরিমাণ টাকা বৃদ্ধি করা অনেক কারখানার মালিকের পক্ষে সম্ভব হবে না। ফলে অনেকে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হবেন। এটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ইস্যু। সেটিতেই মালিক-শ্রমিক সবাইকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। 

চট্টগ্রাম ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবাহান বলেন, ‘নতুন বেতনকাঠামোতে অন্যান্য পোশাক কারখানায় ন্যূনতম বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি হচ্ছে, নভেম্বর মাসে প্রাপ্ত বেতনের সঙ্গে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা বাড়াতে হবে। অনেক মালিক বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলেছেন। 

বৃহস্পতিবার প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছি। ফলে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।’ 

শিল্প পুলিশ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোলাইমান গতকাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। তবে আমরা মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষকে নিয়েই বসেছি। কিছু কিছু কারখানার শ্রমিকরা সমঝোতা করে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।’

নরসিংদীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
নরসিংদীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
ছবি : খবরের কাগজ

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় তিন মাসের ওভারটাইম ও বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকরা। ওই সময় তারা কাঠের আসবাবপত্র দিয়ে সড়কের ওপর অগ্নিসংযোগ করেন। 

রবিবার (৩০ জুন) ৩ ঘণ্টাব্যাপী কারারদী এলাকায় আদুরী গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন। এদিকে অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই প্রান্তে সাত কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

শ্রমিকরা জানান, তিন মাস ধরে ওভারটাইমের বকেয়া পরিশোধ করছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঈদের আগে থেকে দিচ্ছি দিচ্ছি করছে কর্তৃপক্ষ। তবে তা এখনো পরিশোধ করেনি। বকেয়া পরিশোধের দাবি করলে নানা অজুহাতে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়। এসবের প্রতিবাদে রবিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির সামনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম। 

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করছি।’

পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ‘ভুলবশত’ ছোড়া গুলিতে ২ ব্যবসায়ী আহত

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ‘ভুলবশত’ ছোড়া গুলিতে ২ ব্যবসায়ী আহত
ইয়াকুব আলী (বাঁয়ে) ও নুরুল আবসার। ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ‘ভুলবশত’ ছোড়া গুলিতে পঙ্গু হতে বসেছেন ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী। একই ঘটনায় আহত হন নুরুল আবসার (৪৩) নামের আরেক দোকানি। 

গত ২৪ জুন বেলা ২টার দিকে হাটহাজারীর মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছোড়া গুলিতে আহত হন তারা। এরই মধ্যে ইয়াকুব আলীর পায়ে গুরুতর জখম হয়। অন্যদিকে নুরুল আবসার হাতে আঘাত পান। 

মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে টেণ্ডলেরঘাটা বাজারে ইয়াকুব আলীর একটি কুলিং কর্নার রয়েছে। অন্যদিকে নুরুল আবসার করতেন মুরগির ব্যবসা। 

গুলিতে আহত হওয়ার পর দুই দিন চিকিৎসা শেষে গত ২৬ জুন দুজনই হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। ইয়াকুব আলীর বাড়ি বুড়িশ্চর ইউনিয়নের তালুকদারপাড়ায়। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলের বয়স ১৫ বছর। পুরো পরিবার চলে ইয়াকুব আলীর আয়ে। 

বাড়িফেরার পর ইয়াকুব আলী বলেন, ‘যখন আমার পায়ে গুলি লাগে, আমি ব্যথায় চিৎকার করতে থাকি। চিৎকার শুনে বাজারের লোকজন এগিয়ে আসেন। তারাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তার আমাকে কমপক্ষে ছয় মাস বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। আমি এখন পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে আছি। অথচ আমি ছাড়া সংসারে আয়ের কোনো লোক নেই। আমার বড় ছেলেরও ব্যবসা সামলানোর মতো বয়স বা সামর্থ্য নেই। সংসার কীভাবে চলবে তা নিয়ে আমি চরম দুশ্চিন্তায় সময় পার করছি।’ 

এদিকে ইয়াকুব আলীর পাশেই আহত আরেক ব্যবসায়ী নুরুল আবসারের বাড়ি। তার তিন সন্তান। বড় ছেলের বয়স আট বছর।

নুরুল আবসার বলেন, ‘আমার ডান হাতে দুটি গুলি লেগেছে। বেশ ক্ষত হয়েছে। চিকিৎসা নিয়েছি। পুরোপুরি সুস্থ হতে ছয় মাস লাগতে পারে। আমি মুরগি বিক্রি করে সংসার চালাতাম। এখন দোকান বন্ধ। পরিবার কীভাবে চালাব সেটা ভাবলেই বুক কেঁপে উঠছে।’ 

গত ২৪ জুন বেলা ২টার দিকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শটগান পুলিশ ফাঁড়িতে এনে গুলি ছোড়ার কাজ পরীক্ষা করছিলেন এক কনস্টেবল ও ব্যাংকের এক নিরাপত্তা কর্মী। তাদের আকাশের দিকে ছোড়া গুলিতে আহত হন ওই দুই ব্যবসায়ী। এদিকে ঘটনাটি তদন্তে গত ২৬ জুন কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। গুলিবিদ্ধ দুই দোকানির চিকিৎসার ব্যয় পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।
 
মদুনাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মহিউদ্দিন সুমন জানান, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আহত দুই ব্যক্তিকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

চোরকে বাড়িতে ডেকে হত্যার শিকার গৃহবধু!

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
চোরকে বাড়িতে ডেকে হত্যার শিকার গৃহবধু!
ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের লালপুর উপজেলার কামারহাটি তেনাচুরা গ্রামের দুবাই প্রবাসী সোহানুর রহমান শুভ'র স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার শিউলি খাতুন (২৩) নিজেই তার হত্যাকারীকে বাড়ির ঠিকানা দেয় বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। আসামি আগে থেকেই চোর। তার বিরুদ্ধে চুরির মামলা রয়েছে। হত্যাকারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয় ঢাকার গাজীপুর কোনাবাড়িতে।

এসপির দাবি, কোনাবাড়িতে শিউলীর বোন ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন। পাশের রুমেই ভাড়া থেকে এক হোটেলে কাজ করতেন আসামি। বেনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা। শিউলী মেবাইল ফোনে ওই হত্যাকারীকে বাড়ির ঠিকানা দেয়। ট্রেনে লালপুরের আব্দুলপুর স্টেশনে নেমে অটোরিক্সাযোগে শিউলীর বাড়িতে পৌঁছে আসামি।

রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি তরিকুল ইসলাম আরও জানান, ভিকটিম আনুমানিক একমাস আগে তার বোন সোনালী খাতুন এর ভাড়া বাসা গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী বেড়াতে গেলে সেখানে আসামির সঙ্গে পরিচয় এবং পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৬ জুন  আসামি জাকির হোসেন পরকীয়া প্রেমের সূত্রে গাজীপুর থেকে ট্রেনে ভিকটিমের বাড়িতে মামা পরিচয় দিয়ে বেড়াতে আসে। ভিকটিমের সঙ্গে টাকা পয়সা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ২৯ জুন ভোর ৫টার দিকে কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হলে আসামি ভিকটিমের গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ও বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম (৩৪) লালপুর থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলা হয়।

গতরাতে বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের মাড়িয়া এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায়,আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় আসামির কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন, ২ জোড়া রূপার নুপুর, ১টি স্বর্ণের চেইন, ১টি স্বর্ণের নাকফুল, ২টি রূপার আংটি ও ১ জোড়া কানের দুল উদ্ধার করাহয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

আসামি জাকির হোসেন (৩৫) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার গচিয়া গ্রামের বিলাল মিয়ার ছেলে। সে বিবাহিত। এর আগে আসামির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে চট্রগ্রামে একটি মামলা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে এসপি জানান, ভুক্তভোগীর বাবার বাড়ি দিনাজপুর, স্বামীর বাড়ি নাটোর। আর আসামির বাড়ি সুনামগঞ্জ। প্রাথমিকভাবে ভুক্তভোগীর সঙ্গে আসামির আত্মীয়তার সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে কী কারণে শিউলী তাকে মামা পরিচয় দিয়েছে তা তদন্তের পরই জানা যাবে।

লালপুর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ এবং আইও হিমাদ্রি হালদার জানান আসামিকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।

কামাল মৃধা/এমএ/

কবরস্থানে মিলল ১০০ বস্তা ভারতীয় চিনি

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
কবরস্থানে মিলল ১০০ বস্তা ভারতীয় চিনি
জব্দকৃত ১০০ বস্তা ভারতীয় চিনি। ছবি : খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের রূপনগর গ্রামের কবরস্থান থেকে ১০০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। 

রবিবার (৩০ জুন) বিকেলে বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের সাকিন বেরবেরী হাওরের কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এই চিনি জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সাকিন বেরবেরী হাওরের পাশের একটি কবরস্থানে অভিযান চালানো হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কবরস্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ত্রিপল দিয়ে ঢাকা ১০০ বস্তা চিনি পাওয়া যায়। তবে অভিযানের সময় কাউকে পাওয়া যায়নি।

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন চিনি জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পা দিয়ে লিখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে রাসেল

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
পা দিয়ে লিখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে রাসেল
পায়ের আঙুলের ফাঁকে কলম রেখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে রাসেল। ছবি : খবরের কাগজ

শারীরিকভাবে সক্ষম দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বাবা-মা যেখানে সন্তানকে পড়ালেখায় মনোযোগী করতে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় ভুগছেন, তাদের অনুপ্রেরণা হতে পারে নাটোরের সিংড়া উপজেলার প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধা। সে সিংড়া পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লার দিনমজুর আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে ও শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে এ বছর আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে। 

রবিবার (৩০ জুন) দেশব্যাপী শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সে আলিম পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় আল মাদ্রাসাতুল জমহুরিয়া কেন্দ্রে।

সরেজমিনে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের শিক্ষার্থীরা হাতে কলম নিয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে ব্যস্ত। পাশেই সিটবেঞ্চে বসে বাঁ পায়ের আঙুলে কলম ধরে উত্তর লিখছে রাসেল মৃধা। দেখা যায়, রাসেলের দুই হাত নেই। নেই ডান পা-ও। বাঁ পা থাকলেও তা স্বাভাবিক আকারের চেয়ে ছোট।

২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩.৮৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় রাসেল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভাব-অনটনের মধ্যেও প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধার লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে খুশি তার বাবা। তাইতো শত অভাব অনটনের মধ্যেও তারা রাসেলকে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।

রাসেল মৃধার বাবা আব্দুর রহিম মৃধা বলেন, দিনমজুরি করে রাসেলকে পড়াশোনা করাচ্ছি। লেখাপড়া শিখে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে এমন আশা রয়েছে। শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোতাররফ হোসেন বলেন, বিগত পরীক্ষাগুলোতেও সে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেছে। রাসেল এবারও ভালো ফল অর্জন করবে বলে আমরা আশাবাদী।