![জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে
সমালোচনা করব : জি এম কাদের](uploads/2024/01/20/1705765108.gm qaderkk.jpg)
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘আমরা গত সংসদে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি এবং আমাদের সুপারিশসহ অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেছি। এখনো আমাদের রাজনীতি ওটাই। দ্বাদশ সংসদেও জাতীয় পার্টি হবে বিরোধী দল। আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে একমাত্র দল হিসেবে সমালোচনা করব। সরকারের খারাপ জিনিস তুলে ধরে ও সুপারিশ দিয়ে তাদের সঠিক পথে পরিচালনা করব।’
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর শহরের সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা বিরোধী দল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। সংখ্যাটা বড় কথা নয়। আমরা খুবই আশাবাদী যে দেশ ও জনগণের স্বার্থে বিরোধী দলের যে ভূমিকা হওয়ার কথা, সত্যিকার অর্থে আমরা সফলভাবে সেটা পালন করতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সংসদে প্রধানত দুটি দল। একটি আওয়ামী লীগ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা সরকার গঠন করেছে। আর ১১ জন সদস্য নিয়ে আলাদা একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি। সে কারণে আমরা মনে করি, সরকারের বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন স্পিকারের আওতাধীন। আমাদের জানামতে সার্বিকভাবে এটি আমাদের পাওয়ার কথা। সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাকে বিরোধীদলীয় নেতা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা ও মুজিবুল হক চুন্নুকে চিফ হুইপ মনোনীত করে রেজল্যুশন করে স্পিকার বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার। সরকার থেকে চলে আসার পর (১৯৯১ সালের পর) থেকে বিভিন্ন সময়ে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। সেটিকে বিভিন্নভাবে নষ্ট করতে তার প্রতিপক্ষরা চেষ্টা চালিয়েছেন। এখন যে ভাঙনের কথা বলা হচ্ছে, তার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।’
এ সময় দলের কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।