ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে  সমালোচনা করব : জি এম কাদের

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে 
সমালোচনা করব : জি এম কাদের
রংপুরের সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘আমরা গত সংসদে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি এবং আমাদের সুপারিশসহ অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেছি। এখনো আমাদের রাজনীতি ওটাই। দ্বাদশ সংসদেও জাতীয় পার্টি হবে বিরোধী দল। আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে একমাত্র দল হিসেবে সমালোচনা করব। সরকারের খারাপ জিনিস তুলে ধরে ও সুপারিশ দিয়ে তাদের সঠিক পথে পরিচালনা করব।’

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর শহরের সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা বিরোধী দল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। সংখ্যাটা বড় কথা নয়। আমরা খুবই আশাবাদী যে দেশ ও জনগণের স্বার্থে বিরোধী দলের যে ভূমিকা হওয়ার কথা, সত্যিকার অর্থে আমরা সফলভাবে সেটা পালন করতে সক্ষম হব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সংসদে প্রধানত দুটি দল। একটি আওয়ামী লীগ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা সরকার গঠন করেছে। আর ১১ জন সদস্য নিয়ে আলাদা একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি। সে কারণে আমরা মনে করি, সরকারের বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন স্পিকারের আওতাধীন। আমাদের জানামতে সার্বিকভাবে এটি আমাদের পাওয়ার কথা। সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাকে বিরোধীদলীয় নেতা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা ও মুজিবুল হক চুন্নুকে চিফ হুইপ মনোনীত করে রেজল্যুশন করে স্পিকার বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।’

জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার। সরকার থেকে চলে আসার পর (১৯৯১ সালের পর) থেকে বিভিন্ন সময়ে অনেক ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। সেটিকে বিভিন্নভাবে নষ্ট করতে তার প্রতিপক্ষরা চেষ্টা চালিয়েছেন। এখন যে ভাঙনের কথা বলা হচ্ছে, তার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।’

এ সময় দলের কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

নরসিংদীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
নরসিংদীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
ছবি : খবরের কাগজ

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় তিন মাসের ওভারটাইম ও বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকরা। ওই সময় তারা কাঠের আসবাবপত্র দিয়ে সড়কের ওপর অগ্নিসংযোগ করেন। 

রবিবার (৩০ জুন) ৩ ঘণ্টাব্যাপী কারারদী এলাকায় আদুরী গার্মেন্টসের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন। এদিকে অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই প্রান্তে সাত কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

শ্রমিকরা জানান, তিন মাস ধরে ওভারটাইমের বকেয়া পরিশোধ করছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঈদের আগে থেকে দিচ্ছি দিচ্ছি করছে কর্তৃপক্ষ। তবে তা এখনো পরিশোধ করেনি। বকেয়া পরিশোধের দাবি করলে নানা অজুহাতে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়। এসবের প্রতিবাদে রবিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির সামনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম। 

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করছি।’

চোরকে বাড়িতে ডেকে হত্যার শিকার গৃহবধু!

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
চোরকে বাড়িতে ডেকে হত্যার শিকার গৃহবধু!
ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের লালপুর উপজেলার কামারহাটি তেনাচুরা গ্রামের দুবাই প্রবাসী সোহানুর রহমান শুভ'র স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের শিকার শিউলি খাতুন (২৩) নিজেই তার হত্যাকারীকে বাড়ির ঠিকানা দেয় বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। আসামি আগে থেকেই চোর। তার বিরুদ্ধে চুরির মামলা রয়েছে। হত্যাকারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয় ঢাকার গাজীপুর কোনাবাড়িতে।

এসপির দাবি, কোনাবাড়িতে শিউলীর বোন ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন। পাশের রুমেই ভাড়া থেকে এক হোটেলে কাজ করতেন আসামি। বেনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা। শিউলী মেবাইল ফোনে ওই হত্যাকারীকে বাড়ির ঠিকানা দেয়। ট্রেনে লালপুরের আব্দুলপুর স্টেশনে নেমে অটোরিক্সাযোগে শিউলীর বাড়িতে পৌঁছে আসামি।

রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি তরিকুল ইসলাম আরও জানান, ভিকটিম আনুমানিক একমাস আগে তার বোন সোনালী খাতুন এর ভাড়া বাসা গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী বেড়াতে গেলে সেখানে আসামির সঙ্গে পরিচয় এবং পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৬ জুন  আসামি জাকির হোসেন পরকীয়া প্রেমের সূত্রে গাজীপুর থেকে ট্রেনে ভিকটিমের বাড়িতে মামা পরিচয় দিয়ে বেড়াতে আসে। ভিকটিমের সঙ্গে টাকা পয়সা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ২৯ জুন ভোর ৫টার দিকে কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হলে আসামি ভিকটিমের গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ও বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম (৩৪) লালপুর থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলা হয়।

গতরাতে বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের মাড়িয়া এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তায়,আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় আসামির কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন, ২ জোড়া রূপার নুপুর, ১টি স্বর্ণের চেইন, ১টি স্বর্ণের নাকফুল, ২টি রূপার আংটি ও ১ জোড়া কানের দুল উদ্ধার করাহয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

আসামি জাকির হোসেন (৩৫) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার গচিয়া গ্রামের বিলাল মিয়ার ছেলে। সে বিবাহিত। এর আগে আসামির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে চট্রগ্রামে একটি মামলা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে এসপি জানান, ভুক্তভোগীর বাবার বাড়ি দিনাজপুর, স্বামীর বাড়ি নাটোর। আর আসামির বাড়ি সুনামগঞ্জ। প্রাথমিকভাবে ভুক্তভোগীর সঙ্গে আসামির আত্মীয়তার সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। তবে কী কারণে শিউলী তাকে মামা পরিচয় দিয়েছে তা তদন্তের পরই জানা যাবে।

লালপুর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ এবং আইও হিমাদ্রি হালদার জানান আসামিকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।

কামাল মৃধা/এমএ/

কবরস্থানে মিলল ১০০ বস্তা ভারতীয় চিনি

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
কবরস্থানে মিলল ১০০ বস্তা ভারতীয় চিনি
জব্দকৃত ১০০ বস্তা ভারতীয় চিনি। ছবি : খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের রূপনগর গ্রামের কবরস্থান থেকে ১০০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। 

রবিবার (৩০ জুন) বিকেলে বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের সাকিন বেরবেরী হাওরের কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এই চিনি জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সাকিন বেরবেরী হাওরের পাশের একটি কবরস্থানে অভিযান চালানো হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কবরস্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ত্রিপল দিয়ে ঢাকা ১০০ বস্তা চিনি পাওয়া যায়। তবে অভিযানের সময় কাউকে পাওয়া যায়নি।

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন চিনি জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পা দিয়ে লিখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে রাসেল

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
পা দিয়ে লিখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে রাসেল
পায়ের আঙুলের ফাঁকে কলম রেখে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে রাসেল। ছবি : খবরের কাগজ

শারীরিকভাবে সক্ষম দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর বাবা-মা যেখানে সন্তানকে পড়ালেখায় মনোযোগী করতে ব্যর্থ হয়ে হতাশায় ভুগছেন, তাদের অনুপ্রেরণা হতে পারে নাটোরের সিংড়া উপজেলার প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধা। সে সিংড়া পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লার দিনমজুর আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে ও শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে এ বছর আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে। 

রবিবার (৩০ জুন) দেশব্যাপী শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সে আলিম পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় আল মাদ্রাসাতুল জমহুরিয়া কেন্দ্রে।

সরেজমিনে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের শিক্ষার্থীরা হাতে কলম নিয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে ব্যস্ত। পাশেই সিটবেঞ্চে বসে বাঁ পায়ের আঙুলে কলম ধরে উত্তর লিখছে রাসেল মৃধা। দেখা যায়, রাসেলের দুই হাত নেই। নেই ডান পা-ও। বাঁ পা থাকলেও তা স্বাভাবিক আকারের চেয়ে ছোট।

২০২২ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩.৮৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় রাসেল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভাব-অনটনের মধ্যেও প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধার লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে খুশি তার বাবা। তাইতো শত অভাব অনটনের মধ্যেও তারা রাসেলকে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।

রাসেল মৃধার বাবা আব্দুর রহিম মৃধা বলেন, দিনমজুরি করে রাসেলকে পড়াশোনা করাচ্ছি। লেখাপড়া শিখে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে এমন আশা রয়েছে। শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোতাররফ হোসেন বলেন, বিগত পরীক্ষাগুলোতেও সে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেছে। রাসেল এবারও ভালো ফল অর্জন করবে বলে আমরা আশাবাদী।

হত্যা মামলার আসামির কাছ থেকে পেশকারের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
হত্যা মামলার আসামির কাছ থেকে পেশকারের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি দেওয়ান বেদারুল ইসলাম বেদিনের কাছ থেকে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার এস এম শাহীন ঘুষের টাকা নিচ্ছেন- এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফাঁসির আসামি দেওয়ান বেদারুল ইসলাম তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। 

ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘সাধু সাবধান, জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার শাহীন আমার মামলার রায়ে ফাঁসির ভয় দেখিয়ে খালাস করে দেবে বলে আমার বসার ঘর থেকে প্রত্যাহারকৃত বিচারক আব্বাস উদ্দীনের নাম করে টাকা নেওয়ার ভিডিও ফুটেজ। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

গত শুক্রবার (২৮ জুন) ভিডিওটি আপলোডের পর রবিবার (৩০ জুন) বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ৩৫টি কমেন্ট, ২২টি শেয়ার ও ১১ হাজার ৭০০ ভিউ এবং ২২২টি রি-অ্যাকশন পড়েছে। ওই ভিডিওর স্ক্রিনে ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ লেখা রয়েছে। 

৬ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, দেওয়ান বেদারুল ইসলাম বেদিনের বাসার একটি ঘরে এক ব্যক্তি গায়ে জ্যাকেট ও মাথায় মাফলার পরে ঢোকেন। তাকে ঘরে বসিয়ে রেখে বেদিন কিছুক্ষণের জন্য চলে যান। এরপর বেদিন একটি লাল রঙের ব্যাগ নিয়ে ঘরে ঢুকে পাশের টেবিলের ওপর রাখেন। তখন ওই ব্যক্তি বেদিনকে কিছু বলছিলেন। বেদিন এদিক-ওদিক তাকিয়ে কথার উত্তর দিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে কিছু কথোপকথনের পর বেদিন টেবিলের ওপর রাখা লাল ব্যাগটি নিজের হাতে নিয়ে ব্যাগের ভেতর থেকে টাকার বান্ডিল বের করে ওই ব্যক্তির হাতে দেন। ওই ব্যক্তি টাকার বান্ডিলগুলো দেখে লাল ব্যাগটি চেয়ে নিয়ে সেই ব্যাগে টাকাগুলো ঢুকিয়ে নেন। 

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, বেদারুলের বাসায় গিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নেওয়া ব্যক্তিটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম শাহীন।

এদিকে ভিডিওতে টাকা নেওয়া ব্যক্তিটি তিনি বলে স্বীকার করেছেন বেঞ্চ সহকারী এস এম শাহীন। তবে তিনি কোনো ঘুষ নেননি বলে দাবি করে বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন বেদারুল ইসলাম বেদিন। তিনি আমার ভাই ও আমার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা তিনি আমাকে ফেরত দিয়েছেন। তার মামলা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ছিল না। তাই মামলা থেকে খালাসের কথা বলে তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা সত্য নয়।’

জয়পুরহাট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহনূর রহমান শাহীন বলেন, ‘ভিডিওটি আমাকে একজন আইনজীবী দেখিয়েছেন। টাকা নেওয়া ব্যক্তিটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহীন বলে মনে হয়েছে। এটি তদন্ত করে দেখা উচিত।’

জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে বাড়ি থেকে বেড়ানোর কথা বলে বের হয় মোয়াজ্জেম। দুর্বৃত্তরা অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জামালগঞ্জ রোডের একটি আমগাছের নিচে তাকে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেই রাতেই মোয়াজ্জেম মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ওই মামলার রায়ে বেদারুল ইসলাম বেদিনসহ ১১ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।