ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

অযত্নে ভাষাশহিদ স্মৃতিচিহ্ন রফিক উদ্দিন আহমেদ গ্রন্থাগার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
অযত্নে ভাষাশহিদ স্মৃতিচিহ্ন রফিক উদ্দিন আহমেদ গ্রন্থাগার
ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। খবরের কাগজ

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হোস্টেল প্রাঙ্গণে এলে পুলিশ গুলি চালায়, এতে রফিক উদ্দিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগের জন্য ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করেন। ২০০৮ সালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের রফিকনগর গ্রামে তার স্মৃতিতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয় ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। নির্মাণের পরই সেখানে বই ছাড়া ছিল না শহিদ রফিকের কোনো স্মৃতিচিহ্ন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেখানে যুক্ত হয় ভাষাশহিদ রফিকের ব্যবহার করা কিছু আসবাবপত্র। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সিংগাইর উপজেলার রফিকনগরে অবস্থিত ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের একটি কর্নারে শহিদ রফিকের ব্যবহৃত চারটি চেয়ার, একটি টেবিল, ফুলতোলা টেবিল ক্লথ, একটি ফতুয়া ও একটি লুঙ্গি আছে। আর গ্রন্থাগারে সব মিলে বই আছে ১৫ হাজারের মতো। ২০০০ সালে বেসরকারি সংস্থা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র দুটি আধা-পাকা ঘর তৈরি করে দেয়।

অপরদিকে ২০১৬ সালে শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদের বাড়ির সামনে একটি শহিদ মিনার নির্মাণ করে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ। তবে, যে ঘরে রফিকের জন্ম সে ঘরটি এখন জরাজীর্ণ। বাড়িটিতে আত্মীয়স্বজন ও দর্শনার্থীদের থাকার উপযোগী নেই কোনো ঘর। 

স্থানীয়দের সঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরটি নামেই করা হয়েছে। অন্য জাদুঘরে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও আমাদের এখানে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, এখানে তেমন কিছুই নেই। থাকার মধ্যে রফিকের ব্যবহৃত চেয়ার, টেবিল, ফতুয়া ও লুঙ্গি আর বেশ কয়েকটি আলমারিতে কয়েক হাজার বই আছে। দেশের প্রথম ভাষাশহিদ তিনি। তার স্মৃতি রক্ষার্থে তার বাড়িসংরক্ষণসহ এখানে পর্যটনকেন্দ্র করা হলে আরও ভালো হতো।

ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরেও রফিকের পরিবারের পাশে না দাঁড়ানোয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে শহিদ পরিবারের।

শহিদ রফিকের ভাতিজা মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দেশের ভাষাশহিদরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে আজ পর্যন্ত কেউ তেমন কোনো বড় পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয়দের প্রত্যাশা ছিল গ্রামের নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায়ও নানা উন্নয়ন হবে। প্রসার ঘটবে শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির। কিন্তু তা হয়নি।’

শহিদ রফিকের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাস এলেই রফিকের পরিবারের গুরুত্ব বাড়ে। এ সময় অনেকে অনেক কিছু করতে চায়। ২১ তারিখ চলে গেলে যে যা প্রতিশ্রুতি দেয় তার সবই ভুলে যায়। তখন আর কেউ খোঁজ রাখেন না। শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদকে কবর দেওয়া হয় ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে। এখনো তার কবরটি চিহ্নিত করা হয়নি। জানি না আর কত সময় হলে এটি করা সম্ভব হবে।’

ভাষাশহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের লাইব্রেরিয়ান ফরহাদ হোসেন খান বলেন, ‘জাদুঘরে সব মিলে প্রায় ১৫ হাজারের মতো বই আছে। এখানে পড়ার জন্য পর্যাপ্ত চেয়ার ও টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে। তুলনামূলকভাবে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই কম আছে। শুরুর দিকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই শ দর্শনার্থী এলেও এখন দর্শনার্থীর সংখ্যা খুব কম। গেল বছর জাদুঘরে শহিদ রফিকের ব্যবহার করা চারটি চেয়ার, একটি টেবিল, টেবিল ক্লথ ও গায়ের ফতুয়া ও একটি লুঙ্গি যুক্ত হয়েছে।’

লেখক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মিয়াজান কবির বলেন, ‘রফিক উদ্দিন আহমদ ছিলেন ১৯৫২ সালের প্রথম ভাষাশহিদ। তার স্মৃতিকে জাগ্রত করে রাখার জন্য রফিকের জন্মভিটাকে হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণ করলে এখানে গড়ে উঠতে পারে একটি পর্যটনকেন্দ্র। এ ছাড়া রফিকনগরে নির্মিত জাদুঘরটি আরও সমৃদ্ধ করাসহ এই শহিদের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।’

বলধারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাজেদ খান বলেন, ‘শহিদ রফিক উদ্দিন আহমদ আমাদের অহংকার। ভাষা আন্দোলনে তার আত্মদানে সিংগাইর উপজেলার পারিল গ্রামের মাটি ও মানুষ ধন্য। এই ফেব্রুয়ারি মাসসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে আসেন। এখানে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা না থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে যান তারা। তাই দর্শনার্থীদের জন্য একটি বাংলো নির্মাণ করার দাবি জানান তিনি।’

জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার বলেন, ‘ভাষাশহিদ রফিকের মায়ের কবর সংরক্ষণ, জাদুঘরে রফিক কর্নার স্থাপনসহ কিছু কাজ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও কাজ করা হবে।

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদার

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সুমন হালদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে পাঁচগাঁও আলহাজ ওয়াহিদ আলী উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল ১০টা থেকে পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনে বিজয়ী সভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মনিরুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদার। অপর প্রার্থী মিলনের সমর্থক নূর মোহাম্মদ ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাকে মাঠে ফেলে দিয়ে প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। সুমনকে প্রথমে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে বেলা ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান। 

তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রকাশ্যে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেননি পুলিশ সুপার। 

প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া, দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায়

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি ছাড়া, দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায়
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানার বড়হাতিয়া এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর বড় দুই ভাই ও তাদের পরিবাবার মিলে বেধব মারধর করে হাত ভেঙে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় অপর ভাইয়ের পরিবারকে। দুই সন্তান নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাসায় রয়েছেন। ভয়ে তিনি নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন না, চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তিনি। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ জুলাই এ ঘটনার পর লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ফেরদৌসী বেগম (৩৩)। মামলায় মোহাম্মদ হারুন (৫৬), মোহাম্মদ আকতার (৫১) শাহিনা আক্তার রুবি (৪২), রুবি আক্তার (৪৯) আসামি করা হয়। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই এলাকার প্রবাসী মোহাম্মদ আজমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩৩) বসত ঘরে ছাদে পানি জমাকে কেন্দ্র করে ভাসুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের তাকে পিটিয়ে জখম করেন। বেধব মারধরের কারণে ফেরদৌসী বেগমের বাম হাতের কব্জির হাড় ভেঙে যায়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার পর আসামিদের ভয়ে আর বাড়ি যাচ্ছেন না। 

ফেরদৌসী বেগমের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আফিফা জান্নাত (১৩) ও মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাজিফা বিনতে আজমকে (৬) নিয়ে  চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের আত্নীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। প্রবাসি আজম বিদেশে থাকায় তার দুই ভাই আসামি হারুন ও আকতার পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করার জন্য আজমের পরিবারকে বাড়িভিটে ছাড়া করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে বড়হাতিয়া এলাকার আজিজ ডাক্তার পাড়ার সর্দার মোহাম্মদ বাদশা বলেন, আজমের বউ ফেরদৌসীকে আসামিরা আমার সামনেই বেধব মারধর করেন। আমি তাদের ক্ষান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তারা আমার গায়েও হাত তুলে। আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। 

ফেরদৌসী বেগম খবরের কাগজকে বলেন, আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আসামিরা। আমার চিৎকার শুনে পাড়ার সর্দারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তারা আমাকে ও আমার সন্তানদের বাড়িভিটে ছাড়া করতে চাইছে। আমি এর বিচার চাই। তাদের ভয়ে আমি বাড়িতে যেতে পারিছি না। দুই সন্তানকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি বাড়ি গেলে আমার সন্তান ও আমার উপর আবার আঘাত করবে আসামিরা। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। 

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, বাড়ির ছাদে পানি প্রবাহকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের বাদির উপর আক্রমণ করে আসামিরা। ফেরদৌসী বেগমের দায়ের করা মামলায় একজন আমাসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার জন্য প্রচেষ্টা আছে।

আবদুস সাত্তার/এমএ/

কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
কসবায় ক্রেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক। ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনার ঘটে। 

এই দুজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, মহাসড়ক প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ কাটা হচ্ছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে উঠানো হচ্ছিল। এ সময় পাশের বিদ্যুতের তারে ক্রেনটি লেগে গিয়ে ক্রেনের চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

জুয়েল রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
সেন্টমার্টিন-টেকনাফ রুটে ট্রলার চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে দীর্ঘ ৩৩ দিন পর যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে তিনটি সার্ভিস ট্রলার নিরাপদে পৌঁছেছে।

সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন পর টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহী সার্ভিস ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বাংলাদেশের নাফ নদী দিয়ে নিরাপদে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে পৌঁছেছি। যদি গোলারচরটি খনন করা হয় তাহলে সাগরের বড় বড় ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং সহজে পণ্যবাহী ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের ট্রলার মালিক সমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, সকালে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার যাত্রীসহ টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। আমরা নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছতে পেরেছি।

তিনি বলেন, ‘আগে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন যে নৌরুট ছিল সেটি যদি খনন করা হয় তাহলে আমাদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। তখন আমাদের মায়ানমারের জলসীমানা আর ব্যবহার করতে হবে না। সেন্টমার্টিনে চাকরিরত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যাওয়া আসা করতে অসুবিধা হবে না। তবে তাদের চাকরির আইডি কার্ড অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।’

মায়ানমারে নিজেদের মধ্যে চলামান সংঘাতের কারণে গত ৫ জুন থেকে এ নৌরুটে সার্ভিস ট্রলার চলাচর বন্ধ ছিল।

মো. শাহীন/জোবাইদা/অমিয়/

সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
সিলেটে বালুর ট্রাকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি, গ্রেপ্তার চালক
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় বালুভর্তি এক ট্রাক থেকে ৩০০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ট্রাকের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে বালুভর্তি ট্রাকে ভারতীয় চোরাই চিনি পরিবহনের খবর পেয়ে, সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। পরে দুপুর সোয়া দুইটার দিকে গোয়াইনঘাটে একটি ট্রাক ধরা পড়ে। বালু যেভাবে পরিবহন করা হয়, ঠিক সেভাবেই ট্রাকটিতে বালু ছিল। বেলচা দিয়ে কিছু বালু সরালে চিনির বস্তা দেখা যায়। পরে ট্রাকের চালককে আটক করা হয়। তার নাম জাকির হোসেন (৩৪)। বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার পানিছড়ায়।

পরে পুলিশ শ্রমিক দিয়ে বালু সরিয়ে ৩০০ বস্তা ভারতীয় তৈরি চিনি জব্দ করে। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি চিনি রয়েছে। এ হিসেবে ১৫ হাজার কেজি চিনির বর্তমান বাজার দর প্রায় ১৮ লাখ টাকা। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিলেটের সীমান্ত উপজেলাগুলোতে একাধিক পাথর ও বালুমহাল রয়েছে। এসব মহাল থেকে বালু-পাথর পরিবহনে নিয়োজিত রয়েছে কয়েক হাজার ট্রাক। পাথরমহাল বন্ধ থাকার পরও ট্রাক দিয়ে পাথর পরিবহনের বিষয়টি খোঁজ নিতে গিয়ে একের পর বেরিয়ে আসে পাথরচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা। এরপর পাথরবাহী ট্রাকে আর কোনো চিনি পাওয়া যায়নি। তবে বালুচাপা দিয়ে চিনি চোরাচালানের ঘটনা এই প্রথম দেখা গেছে।

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি চোরাচালানের সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা করে আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

সিলেট ব্যুরো/পপি/অমিয়/