![সাতক্ষীরায় বিটুমিনের বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১০](uploads/2024/04/17/1713329630.Satkhira-boiler.jpg)
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নির্মানাধীন সড়কে প্রাইম কোর্টের কাজ করার সময় বিটুমিনের বয়লার বিস্ফোরণে ১০ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) উপজেলার কালিকাপুর তালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত শ্রমিকদের মধ্যে রেজাউল ইসলাম (৩৩), জাহিদ হোসেন (৩৫), আবুল হোসেন (৪৫), মোনাজাত আলী (৫৫), বদরুজ্জামান (৩৫) ও নাজমুল কবীরের (২২) পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর, রহিমপুর, গনপতি, পাইকাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এদের ভিতরে জাহিদ, আবুল ও মোনাজাত আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা বর্তমানে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রায় ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জ্বালানো বিটুমিনের সঙ্গে ডিজেলের মিশ্রণকালে আকস্মিক এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
তবে আহত শ্রমিকদের দাবি, ডিজেলের পরিবর্তে দোকানদার ভুলবশত পেট্রোল সরবরাহ করেছিল। এ কারণে প্রচণ্ড তাপমাত্রায় জ্বালানো বিটুমিন প্রেট্রোলের সংস্পর্শে আসতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকরা আহমদ ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কালিকাপুর তালতলা থেকে খেয়াঘাট সংযোগ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজে নিয়োজিত ছিল।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আহমদ ট্রেডার্সের ম্যানেজার বদরুজ্জামান জানান, নির্মানাধীন সড়কে প্রাইম কোর্টের কাজের জন্য শ্রমিকরা শুরুতে বয়লারে বিটুমিন জ্বালায়। একপর্যায়ে তপ্ত বিটুমিনের সঙ্গে ডিজেল ভেবে পেট্রোল মেশানোর চেষ্টা করতেই মুহূর্তের মধ্যে বয়লার বিস্ফোরিত হয়। শ্রমিকরা সম্মিলিতভাবে জলন্ত বয়লারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ সময় সেখানে থাকা ১০ শ্রমিক আহত হয়। ছয়জনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিক নাজমুল জানান, প্রায় ১২ বছর এমন কাজে জড়িত হলেও প্রথমবার এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি। তার দাবি মূল্য বেশি হলেও দোকানদার ভুলবশত ডিজেলের পরিবর্তে তাদের কাছে পেট্রোল সরবরাহ করায় তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। এ ছাড়া প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে জ্বালানো বিটুমিনের সঙ্গে পেট্রোলের বিষয়টিও বয়লার বিস্ফোরণে ভূমিকা রাখতে পারে বলেও দাবি করেন তিনি।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাজমুল মুনির জানান, আহত শ্রমিকদের ভিতরে রেজাউলের শরীরের উপরিভাগের প্রায় ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া মোনাজাতের মুখ ও বুকসহ পেটের নিচে প্রায় ২৫ ভাগ পুড়েছে। এমতাবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আহতদের মধ্যে চারজনকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দুই শ্রমিক শঙ্কামুক্ত বলেও তিনি জানান।
নাজমুল শাহাদাৎ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/